হলুদ খেলে ত্বকের রং ফর্সা হয়—এমন একটি ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে। তাই অনেকে কাঁচা বা গুঁড়া হলুদ খান। আসলে কি তাই?
এ বিষয়ে কথা হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম আজিজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হলুদের সঙ্গে ত্বক ফর্সা হওয়ার একটি বিষয় রয়েছে। হলুদের মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান কারকিউমিন। এটি কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। এটিকে জাদুকরি উপাদান বলা হয়। এটি ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে পারে।’
তাবাসসুম আজিজ আরো বলেন, ‘কারকিউমিনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণ। এটি রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, ব্রণ প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে; হোয়াইট হেড, ব্ল্যাক হেড দূর করে। ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।’
হলুদ ত্বকের বাইরে থেকে মাখলে যে উপকার পাওয়া যায়, খেলেও প্রায় একই রকম উপকার পাওয়া যায় জানিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘হলুদ খেলে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়। হলুদ খেলে ত্বক ফর্সা হয়।’
কীভাবে খাবেন –
এক ইঞ্চি সমান কাঁচা হলুদ দুধের মধ্যে নিয়ে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে। এর পর হলুদটি তুলে ফেলে কেবল দুধ পান করতে হবে। ননিহীন দুধ হলে ভালো হয়।
দুই কাপ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মেশান। এর পর গরম করুন। ঠান্ডা হওয়ার পর পান করুন।
দুধ ঠান্ডা হওয়ার পরই পান করবেন। নয়তো হজমে সমস্যা হতে পারে।
আর যাদের হজমে সমস্যা আছে, তাদের খাওয়ার বিষয়ে সাবধান হতে হবে।
যদি কোনো সমস্যা না হয়, সব সময় খেতে পারেন।