বগল, দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থান, প্রজনন অঙ্গ, নিতম্ব, কোমরের ভাঁজের মতো শরীরের স্পর্শকাতর স্থানের কালো দাগ খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। পোশাকের ঘর্ষণ থেকে শুরু করে লোম পরিষ্কার, নানা কারণে এসব অঙ্গে কালো দাগ হয়। যাদের ওজন বেশি, তাদের অনেক বেশি মুখোমুখি হতে হয় এই সমস্যার। এসব অঙ্গের যত্ন নিয়ে কেউ পার্লারে যেতে চান না ও ওখানে সব ধরনের পণ্য ব্যবহার করা যায় না। জেনে নিন ৫টি দারুণ ঘরোয়া উপায়। অল্প সময়েই স্পর্শকাতর অঙ্গের কালো দাগ সরে যাবে, হবে খুবই চকচকে।
শসার রস :
শসার রস যে কোনো স্পর্শকাতর অঙ্গের দাগ দূর করার জন্য দারুণ উপকারী। এতে ত্বকের ক্ষতির কোনো আশঙ্কাই থাকে না। শসার রস লাগিয়ে রাখুন ২০-২৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিন ব্যবহারেই উপকার পাবেন।
আলুর রস :
আলু রস লাগানো একটু ঝামেলার হলেই এটি উপকারী শসার রসের চাইতেও বেশি। আক্রান্ত স্থানে আলুর রস লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটাও ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না।
লেবুর রস :
লেবুর রস হচ্ছে প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু এটি সরাসরি স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার না করাই উচিত। এটা সরাসরি ব্যবহারে ত্বকে হতে পারে র্যাশ ও জ্বলন। তাই লেবুর রসের সাথে শসার রস ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। তারপর একে আক্রান্ত স্থানে লাগান। লেবু ও হলুদ দাগ দূর করবে আর শসা রক্ষা করবে ত্বককে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় সাবান দেবেন না।
দই ও হলুদ :
দইয়ের সাথে এক চিমটি হলুদ, সামান্য লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি স্ক্রাবের মতো ঘঁষে ঘঁষে লাগান, তবে খুব হালকা হাতে। তারপর রেখে দিন ২০ মিনিট। ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে।
টিপস :
>>যে কোনো প্যাক লাগাবার পরই স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যবহার করবেন খুব ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার।
>>এসব অঙ্গে নানান রকম রং ফর্সা করার ক্রিম মাখতে যাবেন না কখনোই।
>>খুব মাইলড পণ্য ব্যবহার করুন এসব অঙ্গে। বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট কখনোই সরাসরি স্প্রে করবেন না।
>>নিয়মিত গোসল করুন এবং সেই সময়ে পরিষ্কার করুন এবং ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান প্রতিদিন।