ব্যস্ততার ফাঁকে কোনো মত রান্না করে রেফ্রিজেরেটরের পেটের মধ্যে সেগুলিকে চালান করে দেওয়া ছাড়া এখন যেন কোন উপাই নেই। ফলে আজকাল আর টাটকা খাবার কারও ভাগ্যে জোটে না। বেশিরভাগই একদিন রান্না করেন, খান তিন দিন ধরে। জেনে নিন কোন কোন খাবার ফ্রিজে রাখা একেবারেই উচিত নয়-
১. মধু:
এই খাবারটি ফ্রিজে রাখলে এর গুণাগুণ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মধুটা এতটাই শক্ত হয়ে যায় যে খাবার উপযোগী থাকে না। তাই ভুলেও এই খাবারটি ফ্রিজে রাখবেন না। বরং সূর্যের আলো পরে না, এমন জায়গায় রাখবেন মধুর শিশিটাকে। তাহলে আর এই নিয়ে কোনও চিন্তাই থাকবে না।
২. পাঁউরুটি:
ভুলেও পাঁউরুটি ফ্রিজে রাখবেন না। বরং একটা বাক্স কিনে এনে তাতে স্টোর করবেন। এমনটা না করলে পাঁউরুটিকে বেশি দিন তাজা রাখতে পারবেন না। সেই সঙ্গে এর গুণাগুণ এবং স্বাদও খারাপ হয়ে যাবে।
৩. মশলা:
সাধারণত ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন পরে না মশলাকে। তবু অনেকে মনে করেন এমনটা করলে নাকি দীর্ঘদিন পর্যন্ত মশলা তাজা থাকে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ভুল। বরং ঠান্ডা জায়গায় মশলা স্টোর করলে এর ভিতরে থাকা ভোলাটাইল তেল শুকিয়ে যায়। ফলে স্বাদ কমতে শুরু করে।
৪. লেবু:
ফ্রিজে রাখলে কয়েকদিনের মধ্যে লেবু শুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে এর মধ্যে থাকা একাধিক স্বাস্থ্যকর উপাদানের কার্যকারিতাও কমতে শুরু করে। তাই লেবুর গুণাগুণকে কাজে লাগিয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এবার থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন এটিকে।
৫. তরমুজ:
অনেকে ভাবেন তরমুজ ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এই ফলটিকে ঠান্ডায় রাখা মাত্র নষ্ট হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শুকিয়ে যায় এর ভিতরের জলও। তবে একবার তরমুজ কেটে ফেললে দুদিন পর্যন্ত সেটিতে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
৬. পেঁয়াজ:
এই সবজিটিকে ফ্রিজে রাখলে কি হতে পারে জানা আছে? প্রথমত, পেঁয়াজটা নষ্ট হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, এর মধ্যে থাকা বেশ কিছু কেমিক্যালের রদবদল ঘঠবে। ফলে ফ্রিজে রাখা পিঁয়াজ খেলে শরীর খারাপ হবেই!
৭. টমাটো:
বাজার থেকে কিনে আনা ব্যাগ ভর্তি টমাটো নষ্ট করে দিতে চান কি? না তো! তাহলে ভুলেও এই সবজিটি ফ্রিজে রাখবেন না। আসলে ঠান্ডা জায়গায় রাখলে টমাটোর সব উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এটি খারাপ হতেও শুরু করে।
৮. রসুন:
দীর্ঘদিন যদি রসুনকে ভাল রাখতে চান, তাহলে ভুলও ফ্রিজে রাখবেন না এই সবজিটিকে। আসলে ঠান্ডা জয়গায় রাখলে রসুনের আয়ু কমে যায়। সেই সঙ্গে এর স্বাদও নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। তাই তো এবার থেকে একটা কাগজের ব্যাগে রসুনকে স্টোর করে রাখবেন। যখন প্রয়োজন পরবে, তখন কেটে নেবেন।
৯. কফি:
অনেকেই কফির বোতল বা প্যাকেট ফ্রিজে রেখে থাকেন। এমনটা আর করবেন না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কফি পাউডারের মধ্যে থাকা আদ্রতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে কফির স্বাদ একেবারে খারাপ হয়ে যায়।
১০. বাদাম:
ফ্রিজে বাদাম রাখার অভ্যাস এখনই ত্যাগ করুন। কারণ এমনটা করলে এর উপকারিতা কমে যায়। সেই সঙ্গে বাদামের স্বাদ এবং মুচমুচে ভাবও নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। তাই আপনার প্রতিদিন যদি বাদাম খেতে ইচ্ছা করে তাহলে রোজ অল্প করে কিনে আনবেন। এমনটা করলে আপনার টেস্ট বার্ডেরাও খুশি হবে, সেই সঙ্গে শরীরেরও উপকারে লাগবে।