বিয়ের দু বছরের মাথায় স্ত্রীকে সম্পক্তি ‘উপহার’ দিতে চায় একমাত্র ছেলে। কিন্তু ছেলের আনা সম্পত্তির সব কাগজে সই করে দিতে রাজি হননি বৃদ্ধ বাবা-মা। আর তারই প্রতিবাদে বাবা-মায়ের উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ উঠল ছেলে-বউমার বিরুদ্ধে। গালিগালাজ থেকে শুরু করে থুতু ছেটানো, ছেলে-বউমার হাতে বেধড়ক মার, গত কয়েকমাস ধরে এসবই সহ্য করতে হয়েছে শিলিগুড়ির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও স্ত্রীকে। শিলিগুড়ির চার্চ রোডের এই ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে এল সম্ভ্রান্ত পরিবারের গার্হস্থ্য হিংসার ছবি।
শিলিগুড়ি চার্চ রোডের পুরনো বাসিন্দা প্রসাদ আগরওয়াল ও তাঁর স্ত্রী রত্না। শিলিগুড়ির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তিনি। তাঁদের একমাত্র সন্তান কুশল বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেন। কুশল এলাকায় বিজেপি নেতা বলেও পরিচিত। প্রথমে সব ঠিকঠাক চললেও, সমস্যা শুরু হয় কয়েক মাস আগে। অভিযোগ, কুশল একদিন তাঁর বাবা-মায়ের কাছে সম্পত্তির অধিকার চেয়ে আইনি কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে সই করে দিতে বলেন। কিন্তু সই করে দিতে রাজি ছিলেন না প্রসাদ আগরওয়াল।
অভিযোগ, এরপর থেকেই ছেলে-বউমার অত্যাচারের শিকার হতে হয় বৃদ্ধ দম্পতিকে। সম্পত্তির অধিকার দিতে রাজি না হওয়ায় সম্প্রতি বাবা-মাকে মারধর করতেও ছাড়েননি কুশল ও তাঁর স্ত্রী।
এদিন আইনজীবীকে ফোন করে প্রসাদ আগরওয়াল। সে কথা জানতে পেরেই বাবা-মাকে আরও মারধর করেন কুশল ও তাঁর স্ত্রী। পরে আইনজীবী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ওদিকে, শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন কুশলের স্ত্রী। পরে আক্রান্ত মা রত্না আগরওয়ালও পাল্টা অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগ দায়ের পরই পলাতক কুশল ও তাঁর স্ত্রী। ঘটনা দেখে হতবাক পড়শিরা।