১) লখনৌয়ি নবাবী বিরিয়ানি
সুগন্ধি পানির জন্য উপকরণ :
১২ কাপ গরম পানি
২ টেবিল চামচ আদা কুচি
১টেবিল চামচ রসুন কুচি
হাফ টেবিল চামচ আস্ত গোলমরিচ
১০-১২টি এলাচ
২ টুকরা দারচিনি
১ চা চামচ আস্ত জিরা
১ চা চামচ মৌরি
১০টি লবঙ্গ
১চা চামচ জয়ত্রী
৩টি তেজপাতা
স্বাদমত লবণ
মুরগি রান্নার জন্য উপকরণ :
১ কেজি ওজনের মুরগি ছয় টুকরো করা
হাফ কাপ টকদই
৪-৫টি আস্ত কাঁচা মরিচ
স্বাদ মত লবণ
হাফ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা
২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
১কাপ দুধ
১টি তেজপাতা
৫টি এলাচ
৬টি লবঙ্গ
১টুকরা দারুচিনি
৬টি গোলমরিচ
১ চা চামচ জয়ত্রী শুকনো ভেজে হাত দিয়ে গুঁড়ো করে নেওয়া
তেল পরিমাণ মত
৩ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ চিনি
চালের জন্য উপকরণ :
৪ কাপ বাসমতি চাল ১ ঘন্টা পানিতে ভেজানো (২৪০মি.লি. এর কাপ)
৭কাপ আগে করে রাখা সুগন্ধি পানি
৪-৫টি লবঙ্গ
লবণ
৪ টেবিল চামচ ঘি
৪টি আলুবোখারা
১ মুঠো কিসমিস
অন্যান্য উপকরণ :
কাজু বাদাম
হাফ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা
আস্ত ৪-৫টি কাচামরিচ
দুধে ভেজানো জাফরান
পদ্ধতি :
-প্রথমেই পানির জন্য উপকরণগুলো একটি ছোট্ট পাতলা সুতি কাপড়ে বেঁধে ১২ কাপ পানিতে দিয়ে দিন। এবার এই পানি ফুটাতে দিন। অল্প পরিমানে লবণ দিন। পানি ফুটে উঠলে তাতে মুরগির টুকরোগুলো দিয়ে দিন। না ঢেকে মুরগি পানিতে আধা সেদ্ধ করুন। এরপরে মুরগি তুলে নিন। পানি মশলা সহ ফুটাতে থাকুন। যখন পানি কমে ৭ কাপ হবে তখন চুলা বন্ধ করুন। মশলার পোটলা তুলে ফেলে দিন।
-এবার মুরগির জন্য বেরেস্তা করে নিন। হাফ কাপ তেলে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে নিন। মুরগির জন্য যেসকল উপকরণ সেখান থেকে তেল ও ঘি বাদে সব দিয়ে মুরগি মাখিয়ে নিন। এবার ওই তেলেই ঘি দিয়ে গরম করে মাখিয়ে নেওয়া মুরগি ছেড়ে দিন। ভালো মত কষিয়ে রান্না করুন। লবণ চেখে দেখুন। একটু পানি দিয়ে রান্না করুন। হয়ে গেলে সামান্য ঝোল সহ নামান। কিছুটা কোরমা মত হবে দেখতে।
-এবার চালের জন্য একটি ননস্টিক বড় হাঁড়ি নিন। ঘি দিন। ঘি গরম হলে পানি ঝরানো চাল দিন। সুগন্ধি পানিটুকু ঢেলে দিন। ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। লবণ চেখে দেখুন। লাগলে আরো লবণ দিন। পানি যখন প্রায় শুকিয়ে আসবে তখন কিসমিস এবং আলুবোখারা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন। সম্পূর্ন পানি শুকিয়ে গেলে চুল বন্ধ করুন।
-একটি বড় হাঁড়িতে রান্না করা মুরগি অর্ধেকটা দিয়ে তার উপর রান্না করা চাল অর্ধেকটা ছড়িয়ে দিয়ে উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা,কাজুবাদাম ,কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিন। এর উপর বাকি মুরগি দিন। এবার উপরে আবার রান্না করা চাল দিয়ে ছড়িয়ে দিন। উপরে বেরেস্তা, কাঁচামরিচ,কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিন। সবশেষে জাফরান মেশানো দুধ ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে দিন।
-বড় পাত্রে পানি ফুটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে মাঝারি আঁচে ওই পাত্রের উপর বিরিয়ানির হাঁড়ি বসিয়ে দমে রাখুন ৩০ মিনিট। ব্যস! এবার পরিবারের সাথে উপভোগ করুন।
মনে রাখুন
-পেঁয়াজ বেরেস্তা পুড়িয়ে ফেললে বিরিয়ানির স্বাদ নস্ট হয়ে যাবে।
-ইচ্ছে করলে ঘি এর পরিমাণ আরো বাড়াতে পারেন।
-চাল সেদ্ধ করার সময় খুব বেশি যেন সেদ্ধ না হয়ে যায়।
-লবণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেহেতু ৩ বারে লবণ দেওয়া , তাই অল্প অল্প করে লবণ দিতে হবে।
২) সিন্ধি বিরিয়ানি
উপকরনঃ-
৫ কাপ বাসমতী চাউল(ধোয়ার পরে আধ ঘণ্টা রেখে দিন যাতে পানি গুলো নিষ্কাশন হতে পারে)।
১-১ ১/২ কেজি খাসির মাংস।
১/২ কেজি আলু (একটু বড় করে টুকরা করুন)।
১ ১/২ কাপ তৈল।
মাঝারি সাইজ এর ৩ টি টুকরা করা পেঁয়াজ।
২ চা চামচ রসুনের পেস্ট।
২ চা চামচ আদা পেস্ট।
১/২ কেজি টোম্যাটো কেটে নিন।
১০-১৫ টি আলুবোখারা।
২ চা চামচ লবণ।
৪ চা চামচ লাল মরিচের গুরা।
১০ টি লবঙ্গ।
৮ টি সবুজ এলাচি।
১০ টি গোল মরিচ।
২ চা চামচ জিরা।
২ টি দারুচিনি।
৪ টি কালো ছোট এলাচি।
২ টি তেজ পাতা।
২৫০ গ্রাম দই।
৬ টি কাঁচা মরিচ।
২ টেবিল চামচ ধনিয়া গুড়া।
২ টেবিল চামচ পুদিনা।
৩ টি উপসাগর পাতা।
৩ টি দারুচিনি লাঠি।
২ টি কালো ছোট এলাচি গুটি।
২ চিমটি কমলা খাদ্য রং।
১ টেবিল চামচ কাটা পুদিনা পাতা।
রান্নার পদ্ধতিঃ-
প্রথমে পেঁয়াজ গুলো কে তেলে ভেঁজে নিন, নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না বাদামী হচ্ছে।
বাদামী হওয়ার পরে ১/৪ অংশ উটিয়ে আনুন।
তারপর রসুন, আদা, টমেটো, আলুবোখারা, লবণ, লাল লঙ্কা গুঁড়া, লবঙ্গ, এলাচি, গোলমরিচ, জিরা গুড়া, দারুচিনি, এলাচ কালো গুটি এবং উপসাগর পাতা পেঁয়াজ এর সাথে তেলে বাজতে থাকুন।
টমেটো কে ভালো করে ভাঁজুন যতক্ষণ না টমেটো এর জল শুকিয়ে যাচ্ছে ।
তারপর মাংস,দই ঢেলে দিন আর আপনি যদি চান তাহলে এর সাথে জল ও দিতে পারেন।
মাঝারি ধরনের হিট দিতে থাকুন যতক্ষণ না মাংস এর পানি ঘনিভুত এবং মাংস সিদ্ধ না হচ্ছে।
অন্য পাশ দিয়ে আলু কে সিদ্ধ করুন এবং হাফ রান্না করে ফেলুন।
তারপর কাঁচা মরিচ, পুদিনা, ধনে পাতা, হাফ রান্না করা আলু সিদ্ধ মাংস এর উপর ঢেলে দিন।
এইবার অল্প হিট দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়তে থাকুন।
আপনার মাংস তৈরি হয়ে গেলে এক পাশে সরিয়ে রাখুন।
এইবার লবণ, উপসাগর পাতা, দারুচিনি লাঠি এবং কালো এলাচ দিয়ে চাল সিদ্ধ করার জন্য রান্নায় বসিয়ে দিন।
যখন আপনার চাউল অর্ধেক রান্না হবে এবং কে জল শুকিয়ে যাবে তখন এর উপরে ভাজা পেয়াজ, কাটা পুদিনা পাতা, খাদ্য রং, মাংস এর তরকারি ছিটিয়ে দিন।
তারপর ঢাকনা দিয়ে রাখুন, কম হিট দিবেন যতক্ষণ না আপনার চাউল পুরপুরি রান্না হচ্ছে।
ভাল করে সব কিছু মিক্স করুন।
মিক্স করা হলে আপনার টেস্ট অনুযায়ী আপনি লবণ, মসলা, ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।
আপনার রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
তৈরি হয়ে গেছে আপনার সুস্বাদু সিন্ধি বিরিয়ানি।
গরম গরম পরিবেশন করুন আপনার পরিবারকে।
৩) বাহরাইন মাটন বিরিয়ানি
ধাপ ১
উপকরণ :
১. মাটন লেগ ১টা,
২. পেঁপে বাটা ১ কাপ,
৩. টক দই ১ কাপ,
৪. ধনিয়াপাতা বাটা কোয়ার্টার কাপ,
৫. ধনিয়াগুঁড়া ২ চা-চামচ, কাঁ
৬. চা মরিচবাটা ২ টেবিল-চামচ,
৭. লবণ স্বাদমতো,
৮. আদা-রসুনবাটা ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালি :
> মাটন লেগ ভালো করে ধুয়ে নিন। লেগের কিছু দূর পরপর ছুরি দিয়ে কেটে দিন। ধাপ ১-এর সব কটি উপকরণ পুরো মাটন লেগে মাখিয়ে ফ্রিজে ৬ ঘণ্টা মেরিনেট করুন।
ধাপ ২
উপকরণ :
১. ঘি কোয়ার্টার কাপ,
২. তেল কোয়ার্টার কাপ,
৩. কাজুবাদাম বাটা কোয়ার্টার কাপ (চাইলে পেস্তাবাদাম, আমন্ড বাদাম দেয়া যেতে পারে),
৪. দুধ ১৫ লিটার,
৫. লবণ স্বাদমতো,
৬. হলুদ ১ চামচ,
৭. মরিচগুঁড়া ১ চামচ,
৮. ধনিয়াগুঁড়া ১ চা-চামচ,
৯. চিনি ১ চা-চামচ,
১০. জাফরান রঙ আধা চা-চামচ (ঐচ্ছিক),
১১. পেঁয়াজবাটা ২ কাপ,
১২. পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ,
১৩. আদা-রসুন ২ চা-চামচ,
১৪. কেওড়াজল ১ চা-চামচ,
১৫. শাহি জিরা আস্ত আধা চা-চামচ,
১৬. গরমমসলা (লবঙ্গ, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা) পরিমাণমতো,
১৭. ফ্রেশ ক্রিম ১ টিন।
প্রণালি :
হাঁড়িতে তেল ও ঘি গরম করে নিন।
মেরিনেট করা মাটন রোস্ট দুই দিকে ৩ মিনিট করে ভেজে নিন।
ভাজা হলে মাটন লেগকে সরিয়ে নিয়ে হাঁড়িতে বাকি তেল/ঘি দিয়ে দিন।
সেটা গরম হলে তাতে শাহি জিরাগুঁড়া, সব গরমমসলা ফোড়ন দিন।
তারপর পেঁয়াজবাটা দিয়ে কষাতে হবে ৫-৬ মিনিট। তাতে আদাবাটা,
বাদামবাটাসহ সব মসলা দিয়ে ভালোভাবে দুধ দিয়ে এক বার কষিয়ে নিন।
এরপর মাটন ভাজা লেগ সেই পাত্রে ছেড়ে দিয়ে মাঝারি আঁচে মাংস সেদ্ধ করে নিন।
সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ফ্রেশ ক্রিম, কাঁচা মরিচ, কেওড়াজল, গোলাপজল আর বেরেস্তা দিয়ে ২ মিনিট রেখে নামিয়ে ফেলুন।
ধাপ ৩
উপকরণ :
১. পোলাও চাল আধা কেজি,
২. বাদামবাটা ২ টেবিল-চামচ,
৩. কিশমিশ বাটা ২ টেবিল-চামচ,
৪. ঘি আধা কাপ,
৫. অল্প বাদামকুচি,
৬. লবণ, পানি, এলাচি, লবঙ্গ, দারুচিনি, কাঁচা মরিচ পরিমাণমতো।
প্রণালি :
ঘি গরম করে চাল ভেজে তাতে কিশমিশ বাটা, বাদামবাটা দিন।
গরম পানি দিন এবং বাকি উপাদান দিয়ে চাল ফোটার জন্য অপেক্ষা করুন।
চাল ফুটলে রান্না করা মাংস দিয়ে দমে রেখে পরিবেশন করুন।
৪) আফগান মুর্গ বিরিয়ানি
উপকরণ রাইস এর জন্যঃ
বাসমতি চাল ৪ কাপ,
লবণ ১ টেবিলচামচ,
লবঙ্গ–১০-১২টা,
লেবুর রস ১ চা চামচ,
ঘি ১ টেবিল চামচ।
উপকরণ মাংসের জন্যঃ
মুরগির মাংস ২ কেজি,
পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ,
আদাবাটা ১ টেবিলচামচ,
রসুন বাটা ১ টা আস্ত,
টকদই ১ কাপ,
গরমমশলা গুড়ো ১ চাচামচ,
লবণ ২ চাচামচ,
চিলি ফ্লেক্স ২ চাচামচ ,
লংকা গুড়ো ২ চাচামচ ,
জিরা(আস্ত) ১১ চাচামচ,
ধনে গুড়ো ১ চাচামচ,
তেজপাতা ৪ টা,
আলুবোখারা ১০/১২ টা,
কালো এলাচ ৪ টা লবঙ্গ ৪/৫ টা,
দারচিনি ১/২ টা,
শাহজিরা ১/২ চাচামচ ,
আস্তগোলমরিচ ১ চাচামচ,
জায়ফল(আধাভাঙ্গা) ২টা ,
এলাচ ১০/১২ টা,
জৈত্রী ১ চাচামচ,
জাফরান ১চিমটি
উপকরণ ভাপার জন্যঃ-
১ চাচামচ জিরা ,
অল্প করে কেওড়াজল ,
গোলাপজল ,
লাল/কমলাফুডকালার ,
পুদিনা পাতা
ধনে পাতা।
প্রণালীঃ
তেলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।তেল থেকে অর্ধেকেরও বেশি পেয়াজ তুলে টাওয়ালে আলদা করে রাখতে হবে।
তেলে মাংস ছেড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে , আদা- রসুন পেস্ট দিয়ে মাংস কিছুক্ষণ কষাতেহবে।
মুরগির জন্য রাখা সব মশলা দিয়ে ৩/৪ মিনিট ঢেকে রাখত হবে ,
কিছুক্ষণ পর জাফরান দিয়ে আবার ৩/৪ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে।
জল শুকিয়ে তেল আলাদা হলে তুলে রাখা বাকি পেয়াজ আর টক দই একসাথে পেস্ট করে নিয়ে সেটা মাংসতে দিয়ে দিতে হবে।
রান্না হয়ে গেলে ১ চা চামচ গোলাপ জল ও কেওড়া জল দিয়ে নামিয়ে রাখতে হবে।
পাত্রে বেশি করে জল নিয়ে সেটাতে লবণ আর লবঙ্গ দিয়ে ঢেকে রেখে জল ফুটাতে হবে।
জল ভালো ভাবে গরম হয়ে গেলে চাল দিয়ে তাতে ১ চা চামচ লেবুর রস আর ১ টেবিল চামচ ঘি দিতে হবে।
চাল ৬০% সিদ্ধ হলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
তারপর পাত্রে একটু জিরা ভেজে অর্ধেক চাল দিয়ে মুরগির মাংস আর তার উপর বাকি চাল দিতে হবে।
একেবারে উপরে খাবার রং, গোলাপ জল,কেওড়া জল , পুদিনা পাতা ও ধনে পাতা দিয়ে ৩০ মিনিট ভাপে রাখতে হবে।
হয়ে গেল আফগান মুর্গ বিরিয়ানি।
৫) মসলাদার খাসীর মাংসের দম বিরিয়ানি
উপকরণ:
# খাসির মাংস- দুই কেজি,
# পোলাও বা বাসমতী চাল- এক কেজি,
# আদা বাটা -তিন টেবিল-চামচ,
# রসুন বাটা- দেড় টেবিল-চামচ,
# পেঁয়াজ বাটা- চার টেবিল-চামচ,
# শাহি জিরা- বাটা এক টেবিল-চামচ,
# মরিচ গুঁড়া- এক চা-চামচ,
# পোস্তদানা বাটা- এক টেবিল-চামচ,
# পেস্তা-আমন্ড-কাজুবাদাম বাটা- এক টেবিল-চামচ,
# টকদই- এক কাপ,
# মিষ্টিদই- আধা কাপ,
# দারুচিনি- ছয় টুকরা,
# ছোট এলাচ- ছয় টুকরা,
# বড় এলাচ- চারটি,
# লবঙ্গ- আটটি,
# তেজপাতা- চারটি,
# কেওড়া জল- দুই টেবিল-চামচ,
# জাফরান- আধা চা-চামচ,
# পেয়াজের বেরেস্তা- আধা কাপ,
# কিশমিশ- এক টেবিল-চামচ,
# আলুবোখারা- আটটি,
# সাদা গোলমরিচ গুঁড়া- এক চা-চামচ,
# মাওয়া- সিকি কাপ,
# আলু- ৫০০ গ্রাম,
# কাঁচা মরিচ- ১০-১২টি,
# সরিষার তেল- সোয়া কাপ,
# ঘি- সিকি কাপ,
# ঘন দুধ- এক কাপ,
# গরম পানি- ছয় কাপ,
# লবণ- স্বাদমত।
প্রণালি:
# প্রথমে মাংস মাঝারি টুকরা করে নিতে হবে।
# এরপরে তা ধুয়ে নিয়ে লবণ মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
# ৩০ মিনিট পরে আবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
# এরপরে সব বাটা মসলা ও মরিচ গুঁড়া এক কাপ পানিতে গুলিয়ে নিতে হবে।
# মিশ্রণটি তারপরে ছেঁকে নিতে হবে।
# এরপরে মাংস গুলো বাটা মসলা ও মরিচের পেস্ট, বাদাম বাটা, পোস্তদানা বাটা, টক- মিষ্টিদই, লবণ ও আস্ত গরম মসলা দিয়ে ভাল করে মাখাতে হবে।
# মাংসের টুকরা ভালকরে মাখিয়ে তিন-চার ঘণ্টা রেখে দিয়ে ম্যারিনেট হতে দিতে হবে।
# মাংস ম্যারিনেট হতে হতে আলু গুলো ছিলে নিয়ে তাতে লবণ মাখিয়ে ঘিয়ে ভেজে নিতে হবে।
# আলু ভাজা হলে চাল ধুয়ে ২০-২৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে।
# ২৫ মিনিট পরে চাল থেকে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
# সেই সাথে কেওড়ার জলে জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে।
# এরপরে যে হাঁড়িতে বিরিয়ানি রান্না করতে হবে সেই হাঁড়িতে মাংস বিছিয়ে, মাংসের ওপর আলুবোখারা ও ভাজা আলু বিছিয়ে তার ওপর চাল দিয়ে দেবার পরে কাঁচা মরিচ, গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ, কিশমিশ, পেস্তা-আমন্ড-কাজু কুচি, কেওড়ায় ভেজানো জাফরান, সরিষার তেল, মাওয়া, দুধ, বেরেস্তা ও গরম পানি দিয়ে দিতে হবে। ঢেকে দিতে হবে।
# এরপর মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট, কম আঁচে ২০ মিনিট ও একদম অল্প আঁচে ২৫ মিনিট পর্যন্ত বিরিয়ানি দমে রাখতে হবে।
# রান্না শেষ হলে পরিবেশনের আগে ঢাকনা খুলে সিল করা রুটি ছুরির আগা দিয়ে উঠিয়ে নিতে হবে।
# ব্যাস! হয়ে গেল ধোঁয়া ওঠা গরম গরম দম বিরিয়ানি।
# কাবাব, বোরহানি ও সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন এই বিরিয়ানি
৬) নারিকেলের মোরগ বিরিয়ানি
উপকরণ:
ক.
পোলাওয়ের চাল ১ কেজি,
এলাচ ৪টি,
দারুচিনি ৪টি,
তেজপাতা ৪টি,
নারিকেলের ঘন দুধ চালের দেড় গুণ,
লবণ পরিমাণমতো,
চিনি ১ টেবিল চামচ,
পামতেল কোয়াটার কাপ।
খ.
মোরগ ৩ কেজি,
টক দই ১ কাপ,
পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ,
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ,
লবণ পরিমাণমতো,
গোলাপজল ১ টেবিল চামচ,
আলুবোখারা ৫টি,
মিষ্টি দই কোয়াটার কাপ,
আলু ৩টি মাঝারি সাইজের,
জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা চামচ,
মাওয়া গুঁড়া আধা কাপ,
নারিকেল বাটা ১ চা চামচ,
বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ,
গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ,
কিশমিশ ১০ পিস,
কাজুবাদাম ১০ পিস,
নারিকেল কুচি পরিমাণমতো,
কয়লা ৪ টুকরা,
কাঁচা মরিচ ১২টি,
দুধ আধা কাপ,
পামতেল ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি:
ক. পোলাও রান্না
১. চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. প্রেশার কুকারে ঘি দিয়ে তাতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবণ দিয়ে একটু ভাজা হলে নারিকেলের দুধ দিন।
৩. পোলাও ফুটে উঠলে চিনি দিন।
খ. মোরগ রান্না
১. মোরগ ৪ টুকরা বা পছন্দমতো টুকরা করে নিতে পারেন।
২. আধা কাপ দুধের ভেতর জয়ত্রি গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, বাদাম বাটা, নারিকেল বাটা, গোলাপজল দিয়ে গুলিয়ে রাখুন।
৩. গরম তেলে বা ঘিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিন। আলু ভেজে নিন। বাদাম, কিশমিশ, নারিকেল ভেজে নিন। কাঁচা মরিচ সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিন।
৪. মোরগের মাংসের মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, টক দই, লবণ, তেল, আদা, রসুন, আলুবোখরা, পোস্তদানা বাটা দিয়ে মাখিয়ে রান্না করুন। মাংস একটু সিদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ, আলু দিয়ে মাংস রান্না করুন। তারপর তেল উঠে এলে নামিয়ে নিন।
৫. তারপর পোলাও কুকার থেকে ১ ভাগ রেখে মাংসের লেয়ার দিয়ে কিশমিশ, বাদাম, নারিকেল কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, তার ওপর আবার পোলাও দিয়ে আবার মাংসের লেয়ার একইভাবে ৩টি লেয়ার দিয়ে ওপরে দুধে ভেজানো মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে কয়লার আগুনে ঘি দিয়ে পোলাওয়ের ওপর ১০-১৫ মিনিট দমে দিন। তারপর পছন্দমতো ডেকোরেশন করে পরিবেশন করুন।
৭) ইলিশ বিরিয়ানি
উপকরণ :
১. পোলাওয়ের চাল ৪০০ গ্রাম,
২. ইলিশ মাছ ৬ টুকরা,
৩. পানি ঝারানো টক-মিষ্টি দই আধা কাপ,
৪. আদাবাটা আধা চা-চামচ,
৫. মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ,
৬. পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ,
৭. বিরিয়ানির মসলা ১ টেবিল চামচ,
৮. আস্ত এলাচ ৪টি,
৯. দারুচিনি ২ সেমি, তিন টুকরা,
১০. তেজপাতা ২টি,
১১. লবঙ্গ ৩টি,
১২. লবণ স্বাদ মতো,
১৩. তেল বা ঘি ১ কাপ,
১৪. কাঁচামরিচ ৪,৫টি,
১৫. আলু বোখারা ৪টি,
১৬. লেবুর রস ১ টেবিল চামচ,
১৭. কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালি :
> চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত গরম পানিতে লবণ দিয়ে চাল আধা সিদ্ধ করে মাড় ঝরিয়ে আলাদা পাত্রে রেখে দিতে হবে। মাঝারি আকারের টুকরা করে মাছ কেটে, ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
> অর্ধেক তেল ও ঘিয়ের সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে মাছ মেখে ১০ মিনিট মেরিনেইট করে রাখুন। একটি প্যানে ম্যারিনেইট করা মাছ অল্প আঁচে ১০ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে।
> এবার পাতিলের মধ্যে মাছগুলো সাজিয়ে উপরে আলু বোখারা ও কাঁচামরিচ দিয়ে আধা সিদ্ধ ভাতের সঙ্গে কিশমিশ মিশিয়ে উপরে দিয়ে বাকি তেল ও ঘি ভাতের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে।
> এবার আলাদা করে রাখা ভাতের মাড় উপরে ঢেলে দিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন মাড় ভাতের নিচে থাকে।
> আটা গুলে পাতিলের ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ করে দিন। বেশি আঁচে পাঁচ মিনিট রান্না করতে হবে। এরপর চুলায় তাওয়া বসিয়ে মুখবন্ধ হাঁড়িটি তাওয়ার উপর বসিয়ে দিয়ে আঁচ কমিয়ে আরও ৩০ মিনিট রান্না করুন।
> রান্না হয়ে গেলে বড় পাত্রে উল্টে পরিবেশন করুন।
৮) তান্দুরী চিকেন বিরিয়ানি
উপকরণ:
তান্দুরির জন্য:
মুরগিঃ ১ টি
তন্দুরি মশলাঃ ২ টেঃ চামচ
লবণঃ পরিমাণমতো
টক দইঃ আধা কাপ
তেলঃ ১/৪ কাপ
মরিচ গুঁড়াঃ ১ টেঃ চামচ
ধনিয়াপাতা ও বেরেস্তাঃ পরিবেশনের জন্য পরিমাণমতো
বিরিয়ানির জন্য:
পোলাওয়ের চালঃ ২ কাপ
ঘিঃ আধা কাপ
শুকনা মরিচঃ ৩/৪ টি
টক দইঃ ১/৪ কাপ
আদা বাটাঃ ১ চা চামচ
এলাচিঃ ২/৩ টি
রসুন বাটাঃ ১/২ চা চামচ
প্রণালী:
তন্দুরি তৈরি:
আস্ত মুরগি ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
সব মশলা মাখিয়ে মেরিনেট করুন ১ ঘন্টা।
এবার ওভেনে ১৬০ ডিগ্রিতে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট গ্রিল করুন।
হয়ে গেলে নামিয়ে টুকরা করে নিন।
বিরিয়ানি তৈরি:
চাল আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন।
ঘি বাদে বাকি সব ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
হাঁড়িতে ঘি দিয়ে ব্লেন্ড করা মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন।
এবার গ্রিল করা মুরগির টুকরাগুলো দিয়ে ১০ মিনিট দমে রেখে দিন।
উপরে সেদ্ধ চাল দিয়ে ঢেকে রাখুন মাঝারি আঁচে
১০ থেকে ১৫ মিনিট উল্টে দিন।
হয়ে গেলে নামিয়ে ধনেপাতা ও বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন।
৯) সবজি বিরিয়ানি
উপকরণ:
বাসমতি চাল- ৩ কাপ
আলু ১/২ কাপ
ফুলকপি ১/২ কাপ
বরবটি ১/২ কাপ
গাজর ১/২ কাপ
মটরশুঁটি ১/২ কাপ
ধনেপাতা কুচি ১/২ কাপ
কাজু বাদাম ১০ টা
টক দই ২ টেবিল চামচ
টমেটো ১ (ব্লেন্ড করে রাখুন)
মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
আদা বাটা- ১ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা – ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
কাঁচামরিচ – ৫-৬ টা
তেল, ঘি পরিমানমত
আলু বোখারা – ৫-৬ টা
লবণ পরিমানমত
আস্ত গরম মসলা (এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ)
তেজপাতা – ২ টুকরা
পদ্ধতি:
সব সব্জি ভাল করে ধুয়ে কিউব করে কেটে নিন।
এবার ১/২ চা চামচ লবণ দিয়ে সব্জিগুলো অল্প ঘিতে হাল্কা করে ভেজে একটি প্লেটে তুলে রাখুন।
এবার চাল ধুয়ে ছাকনিতে পানি ঝরাতে দিন।
একটি বড় পাত্রে ৬ কাপ পানি ফুটান।
পানি ফুটতে শুরু করলে ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে দিন।
১/২ চা চামচ লবণ ও সব আস্ত মসলাগুলো দিয়ে ভাত ফুটিয়ে নিন।
তারপর ভাত ছাকনিতে নিয়ে পানি ঝরাতে রাখুন।
যেই পাত্রে বিরিয়ানি করবেন তাতে ঘি তেল গরম করে পেঁয়াজ বাদামী করে ভেজে নিন।
পেঁয়াজের মাঝে সব বাটা মসলা, গুঁড়া মসলা, ব্লেন্ড টমেটো ও লবন দিয়ে ভাল করে তেল আলাদা হয়ে আসা পর্যন্ত কষান।
তারপর টক দই দিয়ে মসলার সাথে ভাল করে মিশান।
এবার কাজু বাদাম ও ভাজা সব্জিগুলো দিয়ে আস্তে আস্তে মসলার সাথে ভাল করে মিশান।
অল্প পানি দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিয়ে ৫-৬ মিনিট বা সবজি হাল্কা নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
তারপর অর্ধেক ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও ১ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন।
বিরিয়ানি লেয়ার করে দমে দেয়ার জন্য, অর্ধেক সব্জি পাত্র থেকে উঠিয়ে রাখুন।
প্রথমে পাত্রের অর্ধেক সব্জির উপর অর্ধেক রান্না করে রাখা ভাত দিন।
কাঁচামরিচ, আলুবোখারা, বাকি ধনেপাতাকুচি ও ভাজা পেঁয়াজগুলো ভাতের উপর বিছিয়ে দিন।
তারপর বাকি সব্জিগুলো দিয়ে তার উপর সব ভাত দিয়ে দিন।
তারপর পাত্রের ঢাকনা ভাল করে আটকিয়ে দিন যেন ভাপ বের হতে না পারে।
খুব অল্প আঁচে আনুমানিক ১০ মিনিট মত বিরিয়ানি দমে দিন।
বিরিয়ানি হয়ে গেলে, পরিবেশন করুন।
১০) চিংড়ি বিরিয়ানি
উপকরণ :
১. চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম,
২. বাসমতি চাল ৫০০ গ্রাম,
৩. টক দই ৩ টেবিল চামচ,
৪. বেরেস্তা ৩টা পেঁয়াজের,
৫. হলুদ গুঁড়া ১/২ টেবিল চামচ,
৬. মরিচ গুঁড়া হাফ টেবিল চামচ,
৭. ঘি ২ টেবিল চামচ,
৮. রসুন-আদা পেস্ট ২ টেবিল চামচ,
৯. লবণ পরিমাণ মতো,
১০. পুদিনা পাতা স্বাদমতো,
১১. ২ টেবিল চামচ কুকিং অয়েল।
বিরিয়ানী মসলা করতে লাগবে :
১. শাহী জিরা ১ টেবিল চামচ,
২. দারু চিনি ৪ টা স্টিক,
৩. এলাচি ৫ টা,
৪. লবঙ্গ ৪ টা,
৫. মৌরি ১ টেবিল চামচ।
> সব কিছুকে তেল ছাড়া টেলে নিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে।
প্রণালি :
> চিংড়িকে গরম মসলা, দই , আদা রসুন, তেল দিয়ে ৩ ঘন্টা মেরিনেট করে রাখবেন। তারপর পানি ছাড়া শুকনা করে রান্না করে নিন ১০/১৫ মিনিট।
> চালকে এলাচি, দারুচিনি , গোলাপ জল দিয়ে হাফ বয়েল করুন।
> ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে রাখুন।
> একটি ভারী তলার হাঁড়িতে এখন লেয়ার করে চাল, পেঁয়াজ, চিংড়ি, বেরেস্তা পুদিনা পাতা দিয়ে ঢেকে দমে রাখুন ২০ মিনিট।
> চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।
১১) ছোলার বিরিয়ানি
উপকরণ:পোলাওয়ের চাল আধা কেজি,
ছোলা সিদ্ধ ২৫০ গ্রাম,
পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ,
আদা বাটা ২ টেবিল চামচ,
রসুন বাটা ১ চা চামচ,
কাঁচা মরিচ ১ চা চামচ,
তেজপাতা ২টি,
এলাচ ৪টি,
দারুচিনি ছোট ২ টুকরা,
লবঙ্গ ৩টি,
ঘি আধা কাপ,
কাজুবাদাম ২ টেবিল চামচ,
কাঠবাদাম ২ টেবিল চামচ,
কিশমিশ ২ টেবিল চামচ,
পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ।
প্রণালী:
১. কড়াইয়ে ঘি গরম করে আদা, রসুন, লবণ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও ছোলা দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন।
২. এবার ঘিয়ে চাল ভেজে পোলাও রান্না করে নিন।
৩. পোলাও রান্না হয়ে গেলে ছোলা দিন।
৪. কাজু, কাঠবাদাম, কিশমিশ ও ঘি দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট দমে রাখুন।
৫. নামানোর আগে বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন।
১২) বিফ কোপ্তা বিরিয়ানি
উপকরণ :
বিফ কিমার জন্য :
বিফ কিমা ৮০০ গ্রাম,
ডিম ১টি,
ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ,
গরম মসলা গুঁড়া হাফ চামচ,
গোল মরিচ গুঁড়া ২ চিমটি,
আটা-রসুন পেস্ট হাফ চামচ,
লবণ ও মরিচ গুঁড়া পরিমাণ মতো,
লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ।
পোলাওর জন্য :
বাসমতী চাল ৪০০ গ্রাম,
স্লাইস পেঁয়াজ ১০০ গ্রাম,
দারুচিনি ৫ পিস,
বে লিফ ৩ পিস,
রসুন বাটা ২ চা চামচ,
আদা বাটা ২ চা চামচ,
তরল দুধ ২০০ মিলি গ্রাম,
ঘি ৫০ গ্রাম,
পানি ৯০০ গ্রাম,
ছোট এলাচ ২ পিস।
প্রস্তুত প্রণালি :
কোপ্তা :
ডিম, ধনে গুঁড়া, গরম মসলা, গোল মরিচ গুঁড়া, হলুদ, আদা, রসুন পেস্ট, লবণ পরিমাণ মতো, লেবুর রস এবং মাংসের কিমা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
একটি পাত্রে তেল দিয়ে এটিকে রান্না করুন।
তারপর হয়ে গেলে একপাশে নামিয়ে রাখুন।
পোলাও :
পোলাও করতে পেঁয়াজ ব্যারেস্তা, ছোট এলাচ, দারুচিনি, রসুন পেস্ট, আদা বাটা সব কিছু একসঙ্গে মিশিয়ে চাল দিয়ে দিন।
এবার এর সঙ্গে দুধ দিয়ে দিন। তারপর পানি দিয়ে ১২ মিনিট রান্না করুন।
তারপর এর সঙ্গে আগে রান্নাকৃত কোপ্তা দিয়ে হালকা আঁচে ১৫ মিনিট রান্না করুন।
১৩) ফিশ বিরিয়ানি
উপকরণ :
মাছ এক কেজি,
ঘি এক কাপ,
হলুদের গুঁড়ো চার চা চামচ,
পেঁয়াজ কুচি পাঁচটি,
ধনিয়া গুঁড়ো দুই চা চামচ,
লবঙ্গ ছয়টি,
টকদই এক কাপ,
কিশমিশ দুই টেবিল চামচ,
বাসমতি চাল পাঁচ কাপ,
বাদাম কুচি পাঁচ টেবিল চামচ,
মরিচের গুঁড়ো চার চা চামচ,
দারুচিনি দুই টুকরো,
টমেটো কুচি পাঁচটি,
পানি তিন লিটার,
লেবুর রস দুই মিলিলিটার
লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি :
প্রথমে মাছে লেবুর রস ও হলুদের গুঁড়ো মেখে মেরিনেটের জন্য ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রেখে দিন।
প্যানে দুই টেবিল চামচ ঘি দিয়ে গরম করুন।
এতে বাসমতি চাল ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভেজে নিন।
এখন এতে লবণ, হলুদের গুঁড়ো ও তিন লিটার গরম পানি দিন।
অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রখুন।
অন্য একটি প্যানে ঘি দিয়ে তাতে কিশমিশ ও বাদাম ভেজে বাটিতে তুলে রাখুন।
এখন এই ঘিতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এর মধ্যে মরিচের গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন।
এখন এতে মেরিনেট করা মাছগুলো দিয়ে পাঁচ থেকে আট মিনিট রান্না করুন।
এক কাপ পানি, টমেটো কুচি ও টকদই দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে নিন।
এবার একটি বড় প্যানে প্রথমে ঘি দিয়ে পোলাও, মাছ, কিশমিশ ও বাদাম লেয়ার করে দিন।
এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পাঁচ থেকে আট মিনিট চুলার ওপর দমে রাখুন।
ব্যস, তৈরি হয়ে গেল ভিন্ন স্বাদের ফিশ বিরিয়ানি।
১৪) ডিম বিরিয়ানি
উপকরণঃ
– দেড় কাপ বাসমতি চাল (ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে আর মোটামুটি ৭০% সেদ্ধ করে রাখতে হবে)
– ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কুচি করে কাটা
– ৪ টেবিল চামচ তেল
– দেড় চা চামচ জিরা
– ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
– দেড় টেবিল চামচ কাজুবাদাম– সিকি কাপ দই
– ৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
– ১টা মাঝারি পিঁয়াজ বেরেস্তা করা
– লবণ স্বাদমতো
– জিরা গুঁড়ো দেড় টেবিল চামচ
– ৪টা কাঁচামরিচ মাঝখান থেকে চিরে রাখা
– দেড় টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
– ৩ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
– দেড় চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– আধা টেবিল চামচ পুদিনা পাতা (শুকনো)
– ৬টা ডিম, (শক্ত করে সেদ্ধ করা এবং অর্ধেক করে কাটা)
– জাফরান অল্প, এক টবিল চামচ উষ্ণ দুধে ভেজানো
– ২ চা চামচ লেবুর রস
প্রণালীঃ
এগ মাসালা
কড়াইতে তেল গরম করে নিন।
তেল গরম হবার সাথে এতে দিয়ে দিন আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো, সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ।
এতে পাশাপাশি বসিয়ে দিন ডিমগুলোকে। যতক্ষণ না দুদিকে সমানভাবে সোনালি না হয় ততক্ষণ ফ্রাই করে নিন ডিম।
মাঝারি আঁচে ফ্রাই করবেন। নামিয়ে রাখুন।
মাসালা গ্রেভি
১) বড় একটা কড়াইতে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিন। এতে জিরা দিয়ে দিন।
এগুলো ফুটে উঠলে কাঁচামরিচ দিয়ে ১০ সেকেন্ড ভেজে নিন।
এরপর দিন পিঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা এবং কাজুবাদাম।
ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না পিঁয়াজ নরম হয়ে আসে।
২) এরপর যোগ করুন অন্যান্য সব মশলা।
প্রথমে দিন ধনে গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো।
এরপর দেবেন হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা, জিরা গুঁড়ো এবং।
এরপর টক দই দিয়ে মিশিয়ে রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ না তেল ওপরে উঠে আসে।
৩) তেল উপরে উঠে আসলে দ্রুত এতে ডিমগুলো দিয়ে দিন।
দইয়ের গ্রেভিতে মাখিয়ে নিন ডিমগুলোকে।
৪) এরপর সেদ্ধ বাসমতী চালের ভাত ওপরে দিয়ে দিন।
ডিমের ওপরে সমান করে সাজিয়ে দিন ভাত।
এর ওপরে আরেক স্তরে দিন বেরেস্তা, ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা।
একটু পানি ছিটিয়ে দিন যাতে বেশি শুকনো হয়ে না যায়।
ওপরে শক্ত করে ঢাকনা দিয়ে দিন এবং একদম কম আঁচে দমে রাখুন ১৫ মিনিট।
৫) ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে লেবুর রস চিপে দিন।
আলতো হাতে চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন যাতে ডিমের মশলা এবং রাইস মিশে যায়।
তৈরি হয়ে গেলো এগ বিরিয়ানি।
অন্য কোন তরকারি ছাড়াও শুধু সালাদ বা রায়তার সাথে একে পরিবেশন করতে পারেন।