আমাদের দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। এছাড়াও শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। কিন্তু ঠিক কি কি কারণে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করতে পারবেন, জানেন কি? আসুন জেনে নেয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে, যা হয়তো আপনার জানা নেই।
কাচা লবন খাবেন না
অনেকেই খাবারে লবণ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়াও অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে।
পানি পান করুন
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়। যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। সুতরাং পরিমিত পানি পান করুন।
যে ৫টি খাবার কিডনি সুস্থ রাখবে
সারা বিশ্বে ১৯৫ মিলিয়ন নারী-পুরুষ কিডনির সমস্যায় ভোগেন। শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে মৃত্যুর মধ্যে এই কিডনি সমস্যা একটি বড় সমস্যা, বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে। এমন বেশ কিছু খাবার আছে যা খেলে আপনার কিডনি ভাল থাকবে।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো স্বল্প বিস্তর আলোচনা-
১। আপেল- আপেল শুধু আপনার কিডনিই ভাল করেনা ব্রেনও ভাল থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রাও আয়ত্তের মধ্যে থাকে। আপেলে থাকে ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। তাই কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভাল রাখতে রোজ আপেল খান।
২। রসুন- শুধু স্বাদ বাড়ানো নয় রসুনের আরও বেশ কিছু গুন রয়েছে। রসুন আপনার কিডনি ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ রসুন কিডনি ফেইলিয়রের লক্ষণ যেমন রেলাল রেপরফিউজন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করে।
৩। হলুদ- এলার্জি থেকে ত্বককে রক্ষা করা ত্বককে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি কিডনির রক্ষাও করে হলুদ। তাই রোজ খাবারের সঙ্গে বা কাঁচা হলুদ খান।
৪। গাজর- গাজর কিডনির জন্য এক অপরিহার্য ও অনবদ্য ওষুধ। শরীরে রক্তাল্পতা দূর করে গাজর, চোখের জ্যোতি ফেরায় গাজর, ভিটামিন সি এ ভরপুর গাজর কিডনি থেকে টক্সিনস বাইরে বের করে দেয়। গাজরে থাকে পেক্টিন যা কিডনি ফেইলিওরের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
৫। আদা- কিডনিকে আরও কার্যকরী করতে আদা খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কিডনিকে ভাল রাখতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা কিডনিতে রক্তের চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতা আরও বেড়ে যায়।