আপনাদের জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে আরো একটি রেসিপিগুচ্ছ। এটি হলো হরেক রকম শাকের রেসিপি। দেখে নিন শাকের ৯টি রেসিপি।
পুঁইশাক দিয়ে রুপচাঁদা
উপকরণ:
রুপচাঁদা মাছ ২ টা
পুঁই শাক প্রয়োজন মত
পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচা মরিচ ফালি ৮-১০ টা
হলুদ ১/২ চা চামচ
ধনে-জিরা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা সামান্য
তেল ১/২ কাপ
লবণ স্বাদ মতো
প্রণালী:
রুপচাঁদা মাছ ধুয়ে লবণ, হলুদ আর সামান্য রসুন বাটা দিয়ে মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। প্যানে তেল গরম করে মাছগুলোকে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
এবার ওই তেলে পিঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে পুঁই শাক সহ বাকি মশলা দিয়ে একটু নেরে চেরে ঢেকে দিয়ে রান্না করতে হবে।
ঘি দিয়ে কচি ডাঁটাশাক
উপকরণ:
কচি ডাঁটাশাক ২ আঁটি,
চিংড়ি মাছ ১০-১২টি (মাঝারি),
পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ,
রসুন কুচি ১ কোয়া,
কাঁচামরিচ ফালি ৩-৪টি,
ঘি ২ টেবিল চামচ,
লেবুর রস ১ চা চামচ,
শুকনো মরিচ ২টি,
হলুদ গুঁড়া সামান্য,
লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি:
ডাঁটাশাক ধুয়ে কুচি করে নিয়ে হলুদ গুঁড়া, লবণ, কাঁচামরিচ রসুন দিয়ে সেদ্ধ করুন। একটি ফ্রাইপ্যানে ঘি, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস, সামান্য লবণ ও চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজুন। ভাজা হলে তাতে ডাঁটাশাক ঢেলে দিয়ে নাড়ুন। ঘি ও ডাঁটাশাক মিশে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।
পাট শাকের বড়া
উপকরণ:
পাট শাক ১ কাপ
মসুর ডাল ১/২ কাপ
৩-৪ কাঁচা মরিচ কুচি
১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি
লবণ পরিমাণমতো
১/৪ চাচামচ হলুদ গুঁড়া
তেল ভাজার জন্য
প্রণালী:
মুসুর ডাল ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক, এরপর বেটে নিন(মিহি করবেন না )।
শাক ধুয়ে, ভালো করে পানি ঝরিয়ে দু’ভাগ করে কেটে নিন।
ডাল বাটা, শাক, কাঁচা মরিচ, লবন সব একসাথে মেখে নিন।
কড়াইয়ে তেলে গরম করে ডুবো তেলে মচমচে করে ভাজুন।
পাট শাকের বড়া বিকালের নাস্তায় অথবা ভাত ডালের সাথে পরিবেশন করুন।
পালং শাকের পাকোড়া
উপকরণ:
১০টি পালং শাকের পাতা,
১/২ কাপ বেসন,
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো,
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো,
১/২ চা চামচ মৌরির গুঁড়ো,
১/২ চা চামচ চাট মশলা,
লবণ,
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো,
এক চিমটি বেকিং সোডা (ইচ্ছা),
পানি,
তেল
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে বেসন, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, মৌরি, চাট মশলা, লবণ এবং চালের গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে নিন।
২। এরসাথে এক চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এতে পাকোড়াগুলো ফুলে উঠবে।
৩। এরসাথে পানি মিশিয়ে ঘন গোলা তৈরি করে নিন।
৪। চুলায় তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে বেসনের মিশ্রণে শাকের পাতাগুলো ডুবিয়ে তেলে দিয়ে দিন।
৫। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেল পালং পাকোড়া।
পুঁইশাক মিষ্টি কুমড়া মিক্স
উপকরনঃ
– হাফ কেজি মিষ্টি কুমড়া
– হাফ কেজি বা তার কম পুঁইশাক
– কয়েকটা চিংড়ি মাছ (মাছ শুধু স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে)
– মাঝারি তিনটে পেঁয়াজ কুঁচি
– এক চা চামচ রসুন বাটা
– হাফ চা চামচ আদা বাটা
– সামান্য হলুদ গুড়া
– সামান্য মরিচ গুড়া, ঝাল বুঝে
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– পরিমান মত লবন/পানি/তেল
প্রনালীঃ
কড়াইতে তেল গরম করে লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভাঁজুন। তার পর রসুন, আদা, হলুদ ও মরিচ গুড়া এবং হাফ কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিন। এমন ঝোল হয়ে গেলে চিংড়ি মাছ দিন।
কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। এবার ধুয়ে কেটে রাখা মিষ্টি কুমড়া দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে মিনিট ১০ এর জন্য ঢেকে রাখুন। কুমড়ার পানি বের হয়ে গা গা ঝোল হয়ে যাবে। এবার ধুয়ে কেটে রাখা পুঁইশাক দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। হাফ কাপ পানি দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১০ এর মত ঢেকে রাখুন। এমন অবস্থায় এসে যাবে। এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন। চাইলে ঝোল আরো কমিয়ে নিতে পারেন। তবে আমি সব সময় একটু ঝোল রাখি! ব্যস হয়ে গেল!
লাউশাক ভর্তা
উপকরণ:
✿ লাউয়ের পাতা ৬-৭টা,
✿ নারকেল কুড়ানো ৪ চা চামচ,
✿ সরিষা ২ চা চামচ,
✿ সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা,
✿ প্রয়োজনমতো লবণ।
প্রণালী:
লাউশাক ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করুন। শাকের সাথে কাঁচামরিচও সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার নারকেল কুড়ানো, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পানি ছাড়া বেটে ভর্তা তৈরি করুন।
পালংশাক ভর্তা
উপকরণ:
✿ পালংশাক ২০০ গ্রাম ,
✿ কাঁচা মরিচ/ শুকনা মরিচ ভাজা ৫ থেকে ৬ টি
✿ পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ।
✿ লবণ ও সরিষার তেল -নিজের পছন্দ মত।
প্রণালী:
প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে চেটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন। শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভর্তা অনেক সুস্বাদু লাগে।
পালং পোলাও
উপকরণ:
পোলাওয়ের চাল দুই কাপ।
পালংশাক-কুচি দুই কাপ।
আধা কাপ হাড় ছাড়া মুরগির মাংস।
১টি ডিম।
পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ।
কাঁচামরিচ কয়েকটি।
ধনেপাতার কুচি ৬ টেবিল-চামচ।
আদাবাটা বা ছেঁচানো ১ টেবিল-চামচ।
রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ।
গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ।
লবণ স্বাদ অনুযায়ী।
তেল ৫ টেবিল-চামচ।
এক টেবিল-চামচ ঘি।
সয়া সস ২ টেবিল-চামচ।
লেবুর রস ১ চা-চামচ।
পানি পরিমাণমতো।
পদ্ধতি:
সামান্য পানিতে চাল ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করুন। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি নরম বা বেশি সিদ্ধ না হয়। ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে চালগুলো ঝরঝরে করে ফেলুন এবং পানি ঝরিয়ে রেখে দিন।
পালংশাক সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। তারপর ধনেপাতার কুচি সামান্য লবণ দিয়ে পালংশাক ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একটি ডিম ফেটিয়ে সামান্য তেল দিয়ে ডিমের ঝুরি বানিয়ে রাখুন। লক্ষ রাখবেন যেন ঝরঝরে হয়।
এবার কড়াইতে তেল গরম করুন, এক চামচ ঘি দিতে পারেন। তেল গরম হয়ে গেলে প্রথমে এক চিমটি লবণ দিয়ে পেঁয়াজকুচি, আদাবাটা ও রসুনকুচি ভাজুন। সঙ্গে মুরগিগুলো দিয়েও ভেজে নিন।
এবার ধীরে ধীরে পালংশাক-ধনেপাতার পেস্ট দিয়ে ভাজুন। তারপর পানি ঝরিয়ে রাখা ভাত ছিটিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন।
ভাত সাত থেকে আট মিনিট ভেজে সয়া সস, গোলমরিচ ও লেবুর রস দিন। এবার ডিমের ঝুরি (যা আগে করে রাখা হয়েছিল) দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত পালং পোলাও।
ছোট বাচ্চাদের মুরগির স্টক দিয়ে, ভাত নরম করে এই পালং পোলাও খাওয়াতে পারবেন। যা খুবই পুষ্টিকর হবে।
মুরগির স্টক তৈরি:
একটি ছোট মুরগির হাড় নিয়ে ১০ থেকে ১২ কাপ পানিতে একটু লবণ, আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। এভাবে তৈরি হবে মুরগির স্টক।
মাশকলাই এর ডালে পালং
উপকরণ:
পালং শাক ২৫০ গ্রাম
মাশকলাই ডাল ১০০ গ্রাম
রসুন বড় ৫-৬ কোয়া
আদা ১ ইঞ্চি টুকরা
লবণ স্বাদমত
হলুদ ১/২ চা চামচ
কাঁচা মরিচ ৩-৪ টা
পেয়াজ কুচি বড় দুই টা
তেল ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
প্রথমে ডাল ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ডাল ও পালং শাক হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন (ওভার কুক বা ঢাকনা দিয়ে রান্না করলে শাকের সবুজ ভাবটা থাকে না)। রসুন কোয়া ও আদা আগুনে ঝলসে নিয়ে পরিষ্কার করে বেটে নিন। (এইটাই শাকের আসল স্বাদ নিয়ে আসবে)
এরপর প্যানে তেল দিয়ে গরম হলে রসুন কুচি দিয়ে লাল হলে পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়ুন। পিঁয়াজ ভাজা হয়ে নরম হয়ে এলে পুড়িয়ে রাখা আদা-রসুন বাটা দিয়ে নাড়ুন। এরপর সেদ্ধ শাক ডাল দিয়ে নাড়ুন। তেল ভালো মত মিশে গেলে লবণ চেক করে লাগলে দিন না লাগলে ওকে বলে গরম ভাত বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।