সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া আর ভোর বেলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুম থেকে উঠে পড়া স্বস্থের পক্ষে ভালো।ন্তু বর্তমান ব্যাস্ততার যুগে সবাই ভীষণ ব্যাস্ত। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া এখন অতীতের গল্প মাত্র। সারাদিনের বাকি থাকা কাজ শেষ করতে অথবা আগামী দিনের কিছু কাজ এগিয়ে রাখতে কম বেশি রাত জাগতেই হয়।
এর ফলে সকালে ঘুম ভাঙতে চায়না। এটা প্রায় প্রতিদিন হতে হতে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে মানুষ কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। যারা এই অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পরেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস ত্যাগ করা খুব সহজ ব্যাপার নয়, আবার একেবারে অসম্ভবও নয়।
তারা চেষ্টা করলেই নিজেদের এই বদঅভ্যাস পাল্টাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫ লক্ষ মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা ব্যাক্তিদের চেয়ে রাতজাগা মানুষের মৃত্যু আগে হয়। আর যারা বেশি রাত পর্যন্ত জাগে আর সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে তারা বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতার স্বীকার হয়।
যারা দীর্ঘদিন ধরে রাত জাগার সাথে অভ্যস্ত তাদের সেই অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য কিছু টিপস রইল। রাতে খাওয়ার পর বিছানায় যাওয়ার আগে আপনি যদি হালকা গরম জলে হাত মুখ ধুয়ে নেন তাহলে আপনার একটা ফ্রেশ ফিলং আসবে।
তারপর বিছানায় গেলে খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে। এছাড়াও আপনি ঘুমনোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। রাতে গরম দুধ খেলে আপনার ভালো ঘুম হবে। আপনি বিছানায় শুলেও যদি ঘুম না আসে তাহলে মৃদু গান শুনতে পারেন অথবা কোন বই পড়তে পারেন।
বিছানায় যাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। যদি সম্ভব হয় একটু হাটাহাটি করে নিন। আর শোবার এক ঘন্টা আগে থেকে মোবাইল, টিভি বা অন্যান্য কোন ডিভাইস ব্যবহার না করাই ভালো। কারন এসব ডিভাইস থেকে আসা আলো মস্তিস্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়।
অফিসের কাজ কমানোর জন্য সেই কাজ বাড়িতে না নিয়ে আসাই ভালো। অফিসের কাজ শেষ করার জন্য রাত জেগে অনেকেই কাজ করে তা শেষ করার চেষ্টা করেন, এটা অভ্যাসে পরিনত হয়।
বর্তমান যুগে রাত জেগে চ্যাটিং, ভিডিও দেখা, গেম খেলা ইত্যাদি করতে প্রায় অর্ধেক রাত কেটে যায়। তারপর ঘুমিয়ে ঘুম ভাঙ্গে অনেক দেরিতে। তার ফলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয় এর ফলে আপনার চোখ ও ত্বকে সমস্যাও হতে পারে।