দিন দিন মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে। যান্ত্রিক জীবনের স’ঙ্গে অভ্যস্ত হতে হতে স্বা’ভাবিক জীবন যাপনে খেই হারিয়ে ফেলছে মানুষ। দিনের বেলা হাড়ভা’ঙা খাটুনির পরও রাতের বেলাটাকেও ছাড়ছেন না অনেকে । তখনও
কাজ করে চলেছেন অবিরত। ফলত খুব স্বা’ভাবিকভাবেই আ’সছে ঘুমের ব্যাঘাত। আবার আধুনিকতার ছোঁয়াও রাত জেগে পড়াশুনা সিনেমা দেখারও প্র’বণতাও বেড়ে চলেছে। অনেকেই আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধ’রে রাতেরবেলা পড়াশুনা ক’রতে
ভালোবাসেন। সবমিলিয়ে বিবিধ উদ্দেশ্য মানুষের দেরিতে ঘুমানোর অভ্যাস হয়ে গেছে। আর একদিন দুইদিন এরকম করার ফলে পরবর্তীকালে অভ্যাসের বসেই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চাইলেও ঘুম আ’সছে না।
তাই নিদ্রাহীনতা সহ নানারকম রো’গে ভু’গছেন মানুষ। দরকার মু’ক্তি। আর আপনি এরকম স’মস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। শুধু খেয়াল রাখু’ন ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু নি’ষেধাজ্ঞার ওপর। যেগুলো ভুলেও ক’রতে যাবেন না।
১. রাতে অতিরি’ক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না। তাতে গ্যাস্ট্রিকের স’মস্যা দেখা দেয়। এর ফলে ঘুমেরও বি’ঘ্ন ঘ’টে। এছাড়া হ’জম না হলে পরের দিন সকাল থেকে আপনার গ্যাসের স’মস্যা হতে পারে।
২. শোবার আগে মিন্ট ফ্লেভারযুক্ত টুথপেস্টে দাঁত মাজা উচিত নয়। কারণ শিরশিরানি থেকে যায়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘ’টে। সাধারণ টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
৩. শুয়ে বি’ছানায় বই পড়া ভালো অভ্যাস, কিন্তু খুব রোমাঞ্চকর কোনো গল্প বা উপন্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ঘুমানোর আগে গ’ভীর চিন্তা করা উচিত নয়।
৪. চা-কফি খাবেন না। এই সমস্ত পানীয়তে যে ক্যাফিন থাকে, তা ঘুম আসার পথে বা’ধা সৃষ্টি করে। আর বেশ দেড়িতে ঘুম আসে।
৫. ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করবেন না। যদি শোবার আগে গোসল করার অভ্যাস থাকে, তাহলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ঠাণ্ডা লে’গে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৬. বিড়ি-সিগারেট খাবেন না। সিগারেট বা বিড়িতে যে নিকোটিন থাকে, তা ঘুম আসতে বা’ধা দেয়। অনেক রাত পর্যন্ত আপনাকে জাগিয়ে রাখে।
৭. বি’ছানায় শুয়ে মোবাইল ব্যবহার করবেন না। মোবাইল থেকে যে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয়, তা ঘুম আসার পথে অসুবিধা সৃষ্টি করে। করলেও নাইট মোড অন করে রাখু’ন।
৮. মদ্যপান করবেন না। রাতে শোবার ঠিক আগে মদপান না করাই ভালো।