এদেশের সবচাইতে সহজ সরল এবং সবচাইতে জনপ্রিয় মিষ্টিটি হলো রসগোল্লা। রসে টৈটম্বুর এই মিষ্টিটি ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসেন না এমন মানুষ হয়ত খুঁজেই পাওয়া যাবে না। মিষ্টিটি বাসায় তৈরির ইচ্ছে থাকলে আজ দেখে নিতে পারেন সহজ রেসিপিটি। এতে এক ঘন্টারও কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে রসগোল্লা।
উপকরণঃ
ছানা দেড় কাপ
ময়দা ১ টেবিল চামচ
চিনি ১ টেবিল চামচ
সুজি ১ টেবিল চামচ
শিরার জন্য
চিনি ২ কাপ
পানি ৭ কাপ
রসগোল্লা
প্রণালীঃ
১) রসগোল্লা তৈরির সবচাইতে দরকারি কাজটি হলো ছানা ভালো করে মাখিয়ে বা ছেনে নেওয়া। এর জন্য আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন ছানা। একটি পাত্রে ছানা, সুজি, ময়দা ও চিনি নিন। সুজি, ময়দা এবং চিনি একসাথে মিশিয়ে নিয়ে এরপর এর সাথে ছানা মাখিয়ে নিন খুবই ভালো করে। মনে রাখবেন ছানা ভালোভাবে মাখানো না হলে মিষ্টি ফেটে যাবে। ছানা মাখানো হয়েছে তা বোঝার একটি উপায় দেখানো হয়েছে ভিডিওতে। একটি মিষ্টি তৈরি করে দেখুন। এর গায়ে কোন ফাটল না থাকলে বুঝতে হবে ছানা মাখানো হয়েছে ভালোভাবে। আর মিষ্টির গায়ে ফাটল থাকলে আরো কিছুক্ষণ চটকে নিতে হবে ছানাটাকে। এরপর এই ছানা থেকে সবগুলো মিষ্টি তৈরি করে নিন।
২) এবার শিরা তৈরি করে নিন। পানি ও চিনি একসাথে একটি পাত্রে নিন। কম আঁচে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। রসগোল্লা তৈরির জন্য শিরা হবে পাতলা, একে কোনোভাবেই ঘন করা যাবে না।
৩) পানির সাথে চিনি মিশে গিয়ে শিরা ফুটে এলে এতে মিষ্টিগুলো দিয়ে দিন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এ সময়ের মাঝে মিষ্টিগুলো ফুলে আসবে। আলতো করে উল্টেপাল্টে দিন। এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে আঁচে রাখুন। চুলার জ্বাল বন্ধ করে দেখতে হবে মিষ্টি হয়েছে কিনা।
৪) একটি বাটিতে পানি নিয়ে এতে একটি মিষ্টি দিন। যদি মিষ্টি ভেসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে তা আরো কিছুক্ষণ শিরায় জ্বাল দিতে হবে। আর মিষ্টি ডুবে গেলে বুঝতে হবে তা একদম পারফেক্ট হয়েছে। তবে খুব বেশি সময় শিরায় জ্বাল দেওয়া যাবে না। তাহলে শিরা ঘন হয়ে মিষ্টি শক্ত হয়ে যাবে।
এবার এই মিষ্টির পাত্র ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন ৬-৭ ঘন্টা, এতে একদম দোকানের রসগোল্লার মত স্বাদ আসবে। ইচ্ছে করলে গরম গরম মিষ্টিটাও খেতে পারেন।