ওজন কমানোর বিষয়টা বেশ গোলমেলে। সকলের জন্য সব পদ্ধতি কাজ করে না, সবাই একই পদ্ধতিতে ওজন কমাতে পারেন না। কারো এক রকম ডায়েটে কাজ দিলে অন্য কারোই আবার সেটায় ওজন বাড়ে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও তাই।
তাছাড়া লিঙ্গ ও বয়স ভেদেও ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে আছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। তবে রয়েছে এমন কিছু উপায়, যেটা অবলম্বন করলে যে কারো ওজন কমতে বাধ্য। জেনে নিন ওজন কমানোর এমনই ১০টি উপায়, যেগুলোতে কষ্টও বিশেষ হয় না।
১) স্ন্যাক্স হোক বেক করা
সমুচা, রোল, চিকেন ফ্রাই খেতে ভালো লাগে? অবশ্যই খান। তবে ডুবো তেলে না ভেজে খান ওভেনে বেক করে। ব্যবহার করতে পারেন এয়ার ফ্রায়ার।
২) ক্ষুধা পেলেই ফল কিংবা সবজি
দিনে ৩ বেলা খাবারের ফাঁকে ক্ষুধা পেলে ফল ও সবজি ছাড়া আর কিচ্ছু খাবেন না।
৩) মিষ্টি খাবার না খেয়ে মিষ্টি ফল
মিষ্টি খেতে খুব ভালো লাগে। মিষ্টি খাবার বাদ দিয়ে খান মিষ্টি ফল।
৪) তরল ক্যালোরিকে না বলুন
পানীয় থেকে ক্যালোরি গ্রহণকে একেবারেই না বলুন। জুস, মিল্ক সেক, কোমল পানীয় ইত্যাদি সবকিছু বর্জন করুন। ডাবের পানি বা এমন প্রাকৃতিক ফলের রস চলতে পারে।
৫) দাঁত মাজার পর কিচ্ছু খাবেন না
রাত জেগে থাকলে অনেকেরই নানান রকমের খাবার খেতে ইচ্ছা করে। একটা ছোট্ট ট্রিক করুন। ডিনারের পর পরই দাঁত মেজে ফেলুন এবং দাঁত মাজার পর কিচ্ছু খাবেন না।
৬) পানীয় কেবল পানি
সম্ভব হলে সকল পানীয় খাওয়া বাদ দিন। কেবল সাদা পানিটাকেই করে নিন সঙ্গী।
৭) একটু খানি পরিশ্রম
ব্যায়াম করার সময় পান না? ঘরের কাজ গুলো নিজেই করুন। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ভাঙুন। শপ্ল দূরত্বে হেঁটে যান।
৮) দিনে একবার কার্বোহাইড্রেট
ভাত কিংবা রুটি যাই খান না কেন, দিনে একবার খান এই ধরণের খাবার। বাকি সময়ে কেবল মাছ মাংস ও সবজি। খেতে পারেন ওটমিল।
৯) ঘুমটা পর্যাপ্ত
পর্যাপ্ত না ঘুমালে বা রাত জাগলে ওজন বাড়ে। তাই ঘুমটা নিয়ে আসুন রুটিনের মাঝে।
১০) বিদায় করুন চিনিকে
চা-কফি বা শরবত খেতে ভালো লাগে? খান, তবে চিনি দিয়ে নয়। ব্যবহার করুন সুগার ফ্রি।