নানান কারণেই ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হতে পারে। যেমন- বাচ্চা হওয়ার পর, হুট করে ওজন বেড়ে গেলে, কোন অপারেশনের পর। স্ট্রেচ মার্ক হচ্ছে ত্বকের ওপরে ফাটা দাগ, যা সৃষ্টি হয় ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে গেলে। বলা হয়ে থাকে যে এই স্ট্রেচ মার্ক ক্ষত চিহ্নের মতোই, যা কখনো ভরাট হয় না বা মুছে যায় না। তাই সৌন্দর্য সচেতন সকলের কাছেই এটা এক বিভীষিকার নাম।
তবে সেই ধারণা আজ থেকে বদলে যাবে। কারণ পাঠকদের জন্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি দারুণ একটি পদ্ধতি। এই একটি কাজ রোজ করলে মাত্র ৭ দিনেই আপনি দেখবেন মুছে যেতে শুরু করেছে স্ট্রেচ মার্ক। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের ত্বকেই দারুণ কাজ করবে এই পদ্ধতি। আর হ্যাঁ, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই!
যা করবেন
অ্যালোভেরা জেল যতটা সম্ভব বিশুদ্ধ নেয়ার ব্যবস্থা করবেন। বাজারে যেসব অ্যালোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে কোন কাজ হবে না। সম্ভব হলে নিজে তৈরি করে নেবেন। অন্যথায় অনেক অনলাইন স্টোরে হাতে তৈরি জেল কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো বেছে নেবেন। গোলাপ জলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ক্যাস্টর অয়েল কোন ভালো বিদেশে কোম্পানির কিনে নিন। পণ্য যত ভালো হবে, তত ভালো ফল পাবেন।
ত্বক পানি দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিন। এই ভেজা ভেজা ত্বকে অ্যালোভেরা মাখবেন। তবে মাখার আগে প্রতি চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে আধা চা চামচ গোলাপ জল ৩/৪ ফোঁটা ভিটামিন ই এক্সট্রাক্ট মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী উপাদানের পরিমাণ নির্ণয় করুন।
ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি ভেজা ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ভালোভাবে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। এই ভাবে রেখে দিন অন্তত ১৫ মিনিট। ১৫ মিনিট পর ক্যাস্টর অয়েল নিন এবং আক্রান্ত স্থলে একই পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করুন।
এরপর একটি নরম তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন এবং সেই তোয়ালে জেল ও তেল ম্যাসাজ করা ত্বকের ওপরে দিয়ে রাখুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট। তোয়ালে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে প্রয়োজনে আবার গরম করে নিন। ভেজা তোয়ালে না রাখতে চাইলে হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ত্বকের ওপরে তোয়ালে দিয়ে তাঁর ওপরে হট ওয়াটার ব্যাগ রাখুন।৩০ মিনিট পর শাওয়ার নিয়ে ফেলুন বা স্থানটি মুছে নিন। না মুছলেও কোন সমস্যা নেই। মুছে ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম মেখে নিন।
টিপস-
পণ্য যত ভালো হবে, তত ভালো ফল পাবেন। উষ্ণ তোয়ালে ব্যবহার করাটা জরুরি।নিয়মিত ৭ দিন ব্যবহার করেই দেখুন। নিজের ত্বকের পরিবর্তনে অবাক হবেন নিঃসন্দেহে।
তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন-
নিল্যফার ইয়াসমিন (বিউটিশিয়ান ও অ্যারোমা থেরাপিস্ট)
রূপকথা’স বিউটি সিক্রেট
সূত্রঃ প্রিয় লাইফ