ঘর সামলানো আর বাচ্চা মানুষর করার মাঝে নিজের শরীরের দিকে আর যত্ন নিয়ে ওঠা হতো না কল্যাণীর। যার ফল, ধীরে ধীরে ৮০ কিলোর কাছাকাছি ওজন।
প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও বাবার হার্ট-অ্যাটাকের পর শরীর-স্বাস্থ্যের গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেন কল্যাণী পরদেশি।
ফল, ২৮ কিলো ওজন কমিয়ে আজ নিজের সন্তানদের কাছে আদর্শ তিনি। কীভাবে ২৮ কিলো ওজন কমালেন কল্যাণী? ৭৮ কিলো থেকে ওজন কমানোর মিশন শুরু করেন কল্যাণী। ২ বছরের বেশি সময় ধরে শরীরের যত্ন না নেওয়ার সুদ একসঙ্গে মেটানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ব্রেকফাস্ট:
একটি বাটিতে ওটমিল। সঙ্গে ২টি ময়দাহীন ডিমের মাফিন।
লাঞ্চ:
ঝিংগা বা সমজাতীয় সবজির সঙ্গে নুডল। বাড়িতে বানানো মুরগির হালকা ঝোল এবং ইটালিয়ান মারিনারা সস্। অথবা গ্রিলড্ চিকেন স্যালাড। নিরামিষ খাবারের দিন, লো-ফ্যাট পনির, রুটি, হাফ প্লেট স্যালাড এবং হালকা ছোলা। এছাড়াও দিনে মাত্র ১ কাপ চা। তাও আধা চামচ চিনি দিয়ে।
কসরত:
পাওয়ার এক্সারসাইজ সপ্তাহে ৪ বার এবং কার্ডিও ২ বার। ওজন তোলার জন্য ডাম্ব-বেল এবং পুল-আপ বার-এর ব্যবস্থা রয়েছে। এভাবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ বাদে কসরত বন্ধ রেখে শুধু হাঁটায় জোর দেওয়া।
সিক্রেট:
ওজন কমানোর ফর্মুলাটা খুব সোজা। ৮০ শতাংশ ডায়েট এবং ২০ শতাংশ কসরত। খাওয়ার অভ্যাস না পালটালে ওজন কমবে না। তাই ওজন কমাতে সবচেয়ে জরুরি খাদ্যাভাস পালটানো।
সাদা চালের ভাত নয়। ব্রাউন রাইশই পরিবর্তন এনেছে। ময়দা জাতীয় কোনও খাবার চলবে না। পাস্তা, চিপস, চকোলেট ভুলে যেতে হবে। ফল ও সবজি’তে জোর দিতে হবে। জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে ফলের রস প্রাধান্য পাবে। আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। লক্ষ্য ও মনোযোগ হারালে চলবে না। এ সব মেনে চললে যে কেউ পারবে অতিরিক্ত ওজন কমাতে।”