আমাদের সমাজে অনেক বিবাহিতা মহিলাকেই শুনতে হয় যে হাতে চুড়ি না পড়লে বা নাকে নাকফুল না পড়লে স্বামীর আয়ু কমে যায় বা স্বামীর অমঙ্গল হয়।ঠিক যে বিশ্বাস নিয়ে বিধর্মী মহিলারা শাঁখা-সিঁদুর পরে, আজও অনেক মুসলমান মা বোন সেই একই ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাসী হয়ে চুড়ি-নাকফুল পরেন।
কিন্তু ফিক্বাহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি অধ্যয়নে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মেয়েরা কান ও নাক ছিদ্র করে গহনা পরতে পারবে। কেননা কানে গহনা পরার রীতি নবী করীম (সাঃ) জীবিত থাকা অবস্থায়ও ছিল, তথাপি তিনি এটি নিষেধ করেননি।
প্রশ্নে উল্লিখিত ধারণাটি ভ্রান্ত, কুসংস্কার ও আল্লাহ তায়ালার কালাম পাকের বিপরীত। কারণ আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। সে সময়ের পূর্বে বা পরে কারো মৃত্যু হবে না। তাই ঐ সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য। [আদ-দুররুল মুখতার মাআ শামী- ৯/৬০২, ফাতওয়া হিন্দিয়া- ৫/৩৫৭,আল-বাহরুর রায়েক- ৯/৩৭৫, আহসানুল ফাতওয়া- ৮/১৯২, ফাতওয়া মাহমুদিয়া- ২৮/৩৫] গ্রন্থনা ও সম্পদানা : মাওলানা মিরাজ রহমান।
সৌজন্যে : মাসিক মুঈনুল ইসলাম