হাত ও পেট মোটা হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ঝামেলায় ভুগে থাকেন। আর সমস্যা হচ্ছে, ডায়েট বা ব্যায়াম করে হাত বা পেটের মেদ সহজে কমানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া অনেকের পক্ষে ডায়েট করা সম্ভব হয় না, অন্যদিকে ব্যায়ামও করারও সময় বা সুযোগ নেই। অনেকেই জানেন না কোন ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন। সবমিলিয়ে হাত ও পেটের মেদ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকেই।
কিন্তু না, মন খারাপের দিন শেষ। কেননা এই হাত ও পেটের মেদ কম করার জন্য আছে একটি মাত্র কৌশল। এই কৌশলটি অবলম্বন করতে আপনাকে ডায়েট করতে হবে না, ব্যায়াম করতে হবে না, জিমে যেতে হবে না। নিজের ঘরে বসেই খুব সহজে ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন হাত ও পেটের মেদ, একই সাথে ওজন কমে শরীরটাও হয়ে উঠবে ঝরঝরে।
কী করবেন? করবেন একটি সাধারণ কাজ। আপনার বাড়িতে নিশ্চয়ই ঘর মোছার জন্য কাজের বুয়া আছে? এই কাজের বুয়ার বদলে ঘর মোছার কাজটি আজ থেকে আপনিই করুন। খুব ভালো হয় যদি দিনে দুইবার ঘর মুছতে পারেন। দুবার না পারলে অন্তত একবার অবশ্যই মুছুন। তবে দুবার মুছলে উপকার বেশী পাবেন।
ঘর মোছার সময়ে আপনার হাত ও পেটের ব্যায়াম তো হয়ই, একই সাথে সম্পূর্ণ শরীরেরও ব্যায়াম হয়। ওজন কমানোর মূল শর্ত অধিক ক্যালোরি পোড়ানো। আর ঘর মুছলে খুব অল্প সময়েই দেহ থেকে অনেক বেশী ক্যালোরি ঝরে যায়। ফলে ওজন কমতে থাকে।
অন্যদিকে কোন বিশেষ স্থানের মেদ কমানোর পূর্বশর্ত হচ্ছে, সেই স্থানে চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম বা পরিশ্রম করা। ঘর মুছলে আপনার হাত ও পেটে চাপ পড়ে, যা উক্ত স্থানের মাসল গুলোকে কর্মক্ষম করে তোলে ও চর্বি পুড়িয়ে আপনাকে করে তোলে স্লিম।
টিপস –
কেবল ঘর মুছলেই হবে না, একটি ছোট্ট উপায় মেনে কাজটি করলে আরও কার্যকরী হবে। ঘর মোছার শুরুতে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করে নেবেন। আবার ঘর মোছা শেষ হলে আরও এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। এই কুসুম গরম পানি আপনার দেহ থেকে ক্ষতিকর চর্বি ও টক্সিক উপাদান বের করে দেবে। নিয়ম করে কিছুদিন ঘর মুছুন, মাত্র এক সপ্তাহেই দেখতে পাবেন যে মেদ কমতে শুরু করেছে।
ঘর মোছার পাশাপাশি আরও করতে পারেন জানালা দরজা পরিষ্কার করা, বিছানা পাতা ইত্যাদি কাজ।