রাসুল (সা) প্রায় সময়ই সাহাবাদের নসিয়ত করতেন। সেগুলো মানব জীবনের জন্য পাথেও। হেদায়েত, আল্লাহভীতি, সুস্থতা, ধন-সম্পদ আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত।
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।‘(আল ইমরান: ৩১-৩২).
উপরের আয়াতে, যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সা.) দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে – তাকে আল্লাহ্ অবিশ্বাসী বলেছেন।
সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ তাআলার নিকট এ নেয়ামত লাভের জন্য প্রার্থনা করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। কারণ স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার নিকট এ বিষয়গুলোর প্রার্থনা করেছেন। যা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য শিক্ষা।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা; ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আ’ফাফা; ওয়াল গেনা।
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে হেদায়েত কামনা করি; এবং আপনার ভয় তথা পরহেজগারি কামনা করি; এবং আপনার কাছে সুস্থতা তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্য্ কামনা করি। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকাল-সন্ধ্যায় হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে হেদায়েত, তাকওয়া, সুস্থতা এবং ধন-সম্পদ অর্জনের শক্তি-সামর্থ্য অর্জন করতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
‘মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না’।(সুরা হুজুরাত:২)
এখানে আল্লাহ বলেছেন যে, রাসূলের (সা.)-এর কথার উপর কথা বললে [যার ভিতর ভিন্ন মত পোষণও আসবে] আমাদের আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে।