ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের পরই মেয়েদের বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কিন্তু বেড়ে যায়! আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
ঋতুকালে (ঋতুস্রাব চলাকালীন) বা পিরিয়ডের সময় মেয়েদের কী কী সমস্যা হয়, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের পরই মেয়েদের বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কিন্তু বেড়ে যায়! অনিদ্রার সমস্যা থেকে হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই! আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জার্নাল অব মেডিসিন’-এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ঋতুস্রাব বা মেনোপজের পর দাঁতের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া, মাড়ির নানা সমস্যা-সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঋতুস্রাব বা মেনোপজের পর ‘ওরাল হাইজিন’ নিয়ে আরও সতর্ক থাকা উচিত।
ঋতুস্রাব বা মেনোপজের পর অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। একধিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশ মহিলাই এ সময় অনিদ্রার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। তাই বেশির ভাগ মহিলাই এ সময় ক্লান্তি, অবসাদ, মাথাধরার মতো একাধিক শারীরিক অস্বস্তিতে ভোগেন।
দেরিতে কিংবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা মেনোপজ হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে ইস্ট্রোজেনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্সকদের মতে, ঋতুস্রাবের প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যেই ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হাড় ক্ষয়ে যায়।
তাই চিকিত্সকদের পরামর্শ, এই সময় ডায়েটে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে এই সময় সোডিয়াম কম খাওয়াই ভাল। সুস্থ থাকতে এই সময় কফি খাওয়ার পরিমাণ যতটা সম্ভব কমিয়ে দেওয়াই ভাল।
ঋতুস্রাব বা মেনোপজের পর শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৫ থেকে ৬৫ বছরের মহিলাদের বেশির ভাগের মধ্যেই কোনও না কোনও ধরনের হার্টের সমস্যা রয়েছে।
চিকিত্সকদের পরামর্শ, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল। এর সঙ্গেই মেনে চলুন সঠিক ডায়েট।
কমবয়সীদের তুলনায় বয়ষ্ক মহিলাদের ঋতুস্রাব বা মেনোপজের পর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট’-এর গবেষকদের দাবি, ৬০ বছরের পর প্রায় ২৫ শতাংশ মহিলার স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই স্তন ক্যানসার ঝুঁকি এড়াতে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে সপ্তাহে অন্তত ২ ঘণ্টা ব্যায়াম করা উচিত।