চুল নিয়েই যত চিন্তা। কিন্তু যত্ন নিতে গিয়ে ক্ষতিকর ক্যামিকেলের ব্যবহার, ঘন ঘন আয়রন করা, হেয়ার ড্রাইয়ার ব্যবহার ইত্যাদি কারণে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক। এমনকি চুল পড়তে পড়তে একসময় পাতলা হয়ে যায় মাথার তালু! পরে চুল পড়া থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই নানা রকম হেয়ার ট্রিটমেন্ট করেন।
ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার মূল্যবান চুলের ট্রিটমেন্টে করেন তাহলে হয়তো আপনাকে অকালে চুলহীন হতে হবে না।
আসুন জেনে নিই কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে চুল ঘন করবেন কিভাবে –
তেলঃ
চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি উপকারী হচ্ছে তেল। তেল বলতে সাধারণত আমরা নারিকেল তেলকেই বুঝে থাকি। তবে চুল ঘন করার জন্য কিছু তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করলে কার্যকরী ফল পাবেন।
১. আমণ্ড অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল
২. তিলের তেল ও সরিষার তেল
৩. অলিভ অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েল
* রাতে ঘুমানোর আগে এই তেলের মিশ্রণ হালকা গরম করে মাথার তালুতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। চুলের প্রতিটি গোঁড়ায় যেন তেল পৌঁছায় সেজন্য একটু সময় নিয়ে দিবেন। যদি সারারাত রাখা সম্ভব না হয় তাহলে গোসলের ১ ঘণ্টা আগে চুলে তেল দিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২ বার করুন। দেখবেন ১ মাসের মধ্যেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুলের পাতলা ভাব কমে আসবে।
পেঁয়াজঃ
নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজ খুবই উপকারী। যাদের চুল পরে যাচ্ছে তারা সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরাঃ
অ্যালোভেরা থেকে জেল বের করে নিন। ৪ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে চুলের প্রতিটি গোঁড়ায় লাগিয়ে নিন। চুল ঘন করার সাথে এটি আপনার চুলের আগা ফেটে যাওয়াও রোধ করবে।
ডিমঃ
ডিমে আছে প্রোটিন যা চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে পুষ্টি যোগায় এবং চুল ঘন হতে সাহায্য করে। একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার চুলে হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লাগাতে হবে। তারপর একটি মোটা দাঁতের চিরুনির সাহায্যে সাবধানে চুল আঁচড়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট রেখে নরমাল পানিতে শ্যাম্পু করে নিন।
যেদিন চুলে ডিম দিবেন সেদিন আর কন্ডিশনার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এভাবে সপ্তাহে ১ বার করুন।
মধুঃ
মাথার ত্বকের জন্য খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে মধু। তবে চুলে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মধু খুবই আঠালো, সেজন্য খুব অল্প পরিমাণে (৪-৫ চামচ এর বেশি না) মধু নিয়ে চুলের গোঁড়ায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।