সৌন্দর্য্য ব্যাপারটা একদম ভেতর থেকে আসে। বাস্তব কথা বলতে কি মানুষ মানেই শৌখিন! ফেসিয়াল বা ফেসপ্যাক যাই বলুন অতটা কাজে আসে না যতটা না আপনার দৈনিক জীবন-যাপন বা খাদ্যভ্যাস আপনার উপর প্রভাব ফেলে।
সৌন্দর্য্য ৮০% নির্ভর করে আপনার খাদ্যভ্যাসের উপর বাকি ২০% নির্ভর করে বাহ্যিক যত্নের উপর। চলুন দেখে নিন কিভাবে ক্ষুদ্র কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে সবসময় নিজেকে সুন্দর রাখবেন।
সঠিক খাদ্যভ্যাস:
একজন মানুষ যত বেশি ভিটামিনযুক্ত খাবার খাবেন তিনি ততটাই ফিট এবং সুন্দর থাকবেন। তাই খাবারে শাক-সবজী এবং ফলের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। খাবার থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন এ, বি, ডি, সি, ইত্যাদি ত্বক এবং শরীরকে সুন্দর রাখবে।
পর্যাপ্ত ঘুম:
সুন্দর থাকতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম আপনাকে সুন্দর থাকতে সাহায্য করবে। সঠিক পরিমাণ ঘুম আপনাকে রাখবে টেনশনমুক্ত ও তরতাজা। তাই রাতজাগার অভ্যাস ও ত্যাগ করুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি:
ডি-হাইড্রেটেশন বা পানি স্বল্পতা আপনার ত্বক কে মলিন করে দেয় শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি দিয়ে। এবং প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীর ত্বক দুটোই থাকবে তরতাজা।
গ্রীণ টি:
চা- কফি ইত্যাদি আপনার ত্বক কালো করে দেয়। তাছাড়া দাঁতও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু গ্রীণ টি একদম ভিন্ন। এটি ত্বকের জন্য খুব ভালো, ওজন কমাতেও সাহায্য করে গ্রীণ টি। কোলেস্টরল কমাতেও কার্যকর এই সবুজ চা বা গ্রীণ টি। তাই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন গ্রীণ টি খেলে কতটা উপকার পাবেন আপনি।
সানস্ক্রিন লোশন:
রোদে পোড়া দাগ আপনার সৌন্দর্য্য নষ্ট করে তাছাড়া রোদের কারণে ত্বকে বলিরেখাও পড়তে পারে। তাই সবসময় সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। এবং ব্যাগে একটি সানগ্লাস রাখুন সবসময় তাহলে চোখও রোদ থেকে বাঁচবে।
জগিং বা ইয়োগা:
সৌন্দর্য্যের গোপন রহস্য হলো জগিং বা ইয়োগা। তাই প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ইয়োগা করার অভ্যাস করুন। এতে আপনি ফিট থাকবেন। তারুণ্য ধরে রাখতে সৌন্দর্য্যের কোন বিকল্প নেই। ইয়োগা আপনাকে সুস্থ থাকতেও সহায়তা করবে।
ছোট ছোট এই ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখলেই সব সময় সুন্দর থাকবেন আপনি। সৌন্দর্য্যের জন্য খুব একটা কষ্ট করতে হবে না আপনাকে।