খাঁটি দুধ চেনার উপায় জানতে চান? তাহলে আপনার জন্যই খাসফুডের আজকের এই আয়োজন।ভেজালমু’ক্ত দুধ কীভাবে চিনবেন? স্বা’স্থ্যকর শ’রীরের জন্য আমাদের প্রয়োজন খাঁটি গরুর দুধ। ছোট-বড় প্রায় সবারই প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় খাঁটি দুধ থাকা প্রয়োজন। গরুর দুধের কয়েকটি উপকারিতা হল- গরুর দুধ দে’হ শ’ক্তিশালী ও মন তরতাজা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কা’র্যকর।আ’হতদের দ্রুত আরো’গ্য লাভে গরুর দুধ অধিক ভূমিকা রাখে।মেধা ও
মনের ক্ষ’মতা বৃ’দ্ধিতে গরুর দুধের জুড়ি নেই।গরুর দুধ অবসাদ ও বিষণ্ণতা দূ’র করে।গরুর দুধ ভোক্তাকে দীর্ঘায়ু লাভে সহযোগিতা করে।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠন ও বিকাশে দরকারি।তবে গরুর দুধের উপকারিতা পেতে দরকার খাঁটি গরুর দুধ। দুধে পানি মিশ্রিত আছে নাকি তা কিভাবে বুঝবেন তা নিয়েই আজ আম’রা আলোচনা করব।
এখন আপনাদের সুবিধার্তে জা’নান হচ্ছে যে দুধে পানি মিশানো আছে তা কিভাবে বের ক’রতে হয়। সাধারণত এইটা বুঝতেই পারা যায় না দুধে অন্য কোনো পদার্থ মিশ্রিত আছে কিনা। এইটি পরিমাপ করার জন্য একটি যন্ত্র আছে যাকে ল্যাক্টোমিটার বলে।
আপনি এই যন্ত্রটি নিকটস্থ বাজারে হাতের কাছেই পেয়ে যাবেন। ল্যাক্টোমিটার পানি এবং দুধের সঠিক ঘনত্ব পরিমাপ করে। ল্যাক্টোমিটার খুবই উপকারী একটি যন্ত্র। এই পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে লাল রেখা দেখা যায় যেখানে পরিমাপের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নাম্বার দেয়া থাকে।
যখন এই লাল রেখা ৩০ নম্বরে থাকে তার মানে হচ্ছে দুধে অন্যান্য পদার্থের মি’শ্রণ খুব কম। যদি এই দাগ ৩০ এর উপর যায় তাহলে পরিমাপক যন্ত্র অনুযায়ী ১/৪ পানি , আরো উপরে গেলে অর্ধেক পানি অর্ধেক দুধ। লাল রেখাটি এর থেকেও উপরে যদি উঠতে থাকে তাতে বুঝা যাবে অল্প দুধ আর বাকিটুকু মিশ্রিত পানি।
ধ’রুন আপনি একটি দুধের পাত্রে ল্যাক্টোমিটার যন্ত্রটি প্রবেশ করালেন যদি লাল রেখাটি ৩০ এর ঘরে থাকে তাহলে দুধে পানির পরিমাণ খুব সীমিত অথবা নেই। এ থেকেই বোঝা যায় দুধটি খুব শুদ্ধ এবং শ’রীরের জন্য স্বা’স্থ্যসম্মত।সব মিলিয়ে বলা যায় নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলেই দুধের উপকারিতা পাওয়া সম্ভব না। দুধের সঠিক উপকারিতা পেতে প্রয়োজন খাঁটি গরুর দুধ।