শান্তিপুর্ণ সংসার গড়ার পুর্ব শর্ত হলো সুন্দর দাম্পত্য জীবন, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় বলা যায় একে। কারণ দাম্পত্য একদিনের সম্পর্ক নয়, বরং একে চিরকালের বলেই ধরা হয়। মা-বাবার পরই যে মানুষটির সাথে আমরা সবচাইতে বেশি ঘনিষ্ঠ থাকে, তিনি হচ্ছেন জীবন সঙ্গী।
তবে একটি প্রেমের আনন্দ ও শান্তি ধরে রাখা যতটা সহজ, দাম্পত্যে ততটাই কঠিন! তারপরও সবাই নিজের দাম্পত্য সম্পর্কে সুখী হতে চান। তাই আসুন আজ জেনে নেয়া যাক সুখী দাম্পত্যের ৬টি কাজের কথা।
সকালে জেগে ওঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া/
হ্যাঁ, সকালে সবারই খুব তাড়াহুড়া থাকে এবং ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে অনেকেই হিমশিম খান। বলাই বাহুল্য যে মেজাজও খিঁচরে যায়। তবে সকালে নিজের স্বামী বা স্ত্রীকে কখনোই ধমক দিয়ে বা রাগ করে ঘুম ভাঙাবেন না।
কেননা, ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই রাগারাগি যে কোনো মানুষের মন বিষণ্ণ করে তোলে এবং আপনার প্রতি তাকে নিজের অজান্তেই বিরূপ করে তোলে। প্রিয় মানুষটির ঘুম ভাঙতে যদি দেরি হয়, বিরক্ত হবেন না মোটেও। আর হলেও প্রকাশ করবেন না।
সকালের ভালোবাসা/
সম্পর্ক বিষয়ে অভিজ্ঞ যে কোন গবেষকরাই একটা কথা বলেন যে সকালের আদর, ভালোবাসা দাম্পত্যকে অনেক বেশী মধুর করে তোলে। যেসব দম্পতিরা সকালে যৌন মিলন করেন, তাদের পরস্পরের প্রতি মমতা বেশী হতে দেখা যায়।
এক সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতা/
খুবই ভালো হয় যদি দু’জনে মিলে সকালে মর্নিং ওয়াক করতে পারেন। সংসারের যন্ত্রণা থেকে দূরে সকালে কিছুটা সময় পাশাপাশি হাঁটলেন দুজন। এতে স্বাস্থ্য রক্ষা তো হলোই, সাথে নিজেরা একটু নিরিবিলি কথা বলার ও সময় কাটানোর সুযোগ পেলেন। দেখবেন এতে অনেক মনের কথাই জানা হবে পরস্পরের।
নাস্তা হওয়া চাই অবশ্যই একত্রে/
যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ১০ মিনিট সময় বের করে একত্রে নাস্তা করুন সকালে। একজন নাস্তা করবেন, আরেকজন ঘুমিয়ে থাকবেন এমনটা যেন না হয়। সন্তানদের সাথে নিয়েই বসুন দু’জনে।
অপ্রীতিকর সবকিছু বাদ/
সকাল বেলায় সংসারের সব ঝামেলা নিয়ে আলোচনা করবেন না, গত রাতের ঝগড়াও সকালে টেনে আনবেন না। দোষারোপ করা, রাগারাগি করে ইত্যাদি সব ভুলে যান। নতুন করে সময় শুরু করুন। শুধু শুধু পুরনো ঘটনা টেনে এনে বর্তমানের সুন্দর সময়গুলো নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না।
বিদায়ের আগে মিষ্টি ভালোবাসা/
আজকাল প্রায় সব পরিবারেই স্বামী-স্ত্রী দু’জনে চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাই সকালের পর অনেকটা সময়ের জন্য আলাদা হয়ে যান তারা। তাই এ সময় বিদায়টা নিন সুন্দর করে।
একটু চুমু, একটু আলিঙ্গন, একটু আদর ইত্যাদি ছোট ব্যাপার গুলো বাকি দিন ঘরে ফিরে আসার তাগিদ ধরে রাখবে পরস্পরের মাঝে। তাছাড়া সুন্দন মুহূর্ত নিয়ে বের হলে সারাটাদিন মনটাও সুন্দর থাকবে।