ডুবো তেলে ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু তেলেভাজা খাবারের স্বাদই থাকে আলাদা। বিশেষ করে বিকেলে চায়ের সাথে এবং আড্ডায় একটু ভাজা খাবার না হলে একেবারেই চলে না। কিন্তু স্বাস্থ্যের দিকেও তো নজর দিতে হবে। তেলের কারণে কলেস্টোরল বেড়ে গেলে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা শুরু হয় যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু কেমন হয় যদি তেলেভাজা খাবারকে স্বাস্থ্যকর করে ফেলা যায়? হ্যাঁ, এটি সম্ভব। একটু বুদ্ধি খাটিয়েই তেলেভাজা খাবারকেও করে ফেলা যায় মোটামুটি স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
১) অলিভ অয়েলে ভাজুন
তেলেভাজা খাবারকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে চাইলে অলিভ অয়েলে ভাজুন। অলিভ অয়েল কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এবং এটি অন্যান্য তেলের তুলনায় স্বাস্থ্যকরও বটে।
২) পরিষ্কার তেল ব্যবহার করুন
তেল ঢেলে একবার তাতে ভেজে নিয়ে রেখে দিয়ে পুনরায় আবার ভাজার কাজে ব্যবহার করা স্বাস্থ্যকর নয়। এছাড়াও একবার ভাজার সময় ছোটছোট খাদ্য অংশ তেলে রয়ে যায় যা বারবার ভাজার ফলে আরও বেশি পুড়ে যায় এবং তেলকে পুষ্টিহীন অস্বাস্থ্যকর করে ফেলে। তাই একবার তেল ঢেলে তাতে একবারই ভাজার চেষ্টা করুন। অথবা তেলে খাদ্যের অংশ একেবারেই পড়তে দেবেন না।
৩) ময়দার পরিবর্তে ব্যবহার করুন চালের গুঁড়ো
তেলেভাজা খাবারের জন্য আমরা কোনো না কোনো ব্যাটার তৈরি করে নিই অথবা পাকোড়া ধরণের খাবার তৈরির সময় ময়দাই বেশি ব্যবহার করি। কিন্তু ময়দাতে থাকে গ্লুটেন যা খুব বেশি তেল শুষে নেয়। তাই এর পরিবর্তে চালের গুঁড়ো ব্যবহার করেও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন তেলেভাজা খাবার।
৪) বেকিং সোডা ব্যবহার করুন খাবারে
ভাজার জন্য ব্যাটার তৈরি বা পাকোড়ার মিশ্রনে অবশ্যই বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন যদি রেসিপিতে নাও থাকে তবুও। কারণ বেকিং সোডা ব্যবহারের ফলে ভাজার সময় তা গ্যাস বাবল তৈরি করে, যার ফলে তেল শোষণ কম হয়।
৫) সঠিক তাপমাত্রার তেলে ভাজুন খাবার
অনেকেই এই কাজটি করতে পারেন না। সঠিক তাপমাত্রার তেলে খাবার ভাজতে পারেন না অনেকেই। যখন তাপমাত্রা কম হয় তাহলে যতো দ্রুত খাবার হয়ে যাওয়ার কথা ততোটা হয় না, যার ফলে তেলে অনেকটা সময় রাখা হয়, এতে তেল বেশি ঢোকে খাবারে। আবার বেশি তাপমাত্রায় ভাজলে খুব সহজেই পুড়ে যায়। তাই সঠিক তাপমাত্রায় ভাজার চেষ্টা করুন খাবার। ডুবো তেলে ভাজার জন্য ৩২৫-৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট যথেষ্ট। তাই একটি কুকিং থার্মোমিটার অবশ্যই রাখবেন সাথে।