তরমুজের মধ্যে ৯০ ভাগই জল। তার মানে এই নয়, দাম দিয়ে তরমুজ কিনে পুরো টাকাটাই জলে গেল। হাইড্রেশানের সেরা উত্স হওয়ায়, আমাদের শরীরের কোষকে হাইড্রেটস করে।
pH-এর ভারসাম্য রক্ষা করে। citrulline থাকায় ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যাতেও তরমুজ দারুণ কাজ দেয়। যে কারণে একে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলে। তরমুজের মতো এর দানাও ফেলনা নয়।
তরমুজের দানা জলে ফুটিয়ে মাত্র ২দিন খান, রাতারাতি পরিবর্তনে নিজেই বিস্মিত হবেন। ফ্যাটি অ্যাসিড, বেসিক প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও আয়রনের মতো মিনারেলস। আবার ভিটামিন বি-এরও প্রায় পুরোটাই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
থিয়ামিন, নিয়াসিন এবং ফলিক অ্যাসিড। ক্যালরি রয়েছে মাত্র ৬০০ গ্রাম।মূত্রনালির রোগে তরমুজের দানা অত্যন্ত ভালো কাজ দেয়। কিডনির পাথরকে প্রসাবের সঙ্গে বাইরে বের করে দেয়।
যে ভাবে খাবেন:-
তরমুজের দানাগুলো এক জায়গায় জড়ো করে, ভালো করে ধুয়ে দু-লিটার জলে ১৫ মিনিট ধরে
ফুটিয়ে চায়ের মতো তৈরি করে নিন। পরপর দু-দিন খেয়ে, তৃতীয় দিন বিশ্রাম দিন। আবার দু-দিন মিশ্রণটি পান করুন। এ ভাবে কয়েক সপ্তাহ খেলেই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
তরমুজের দানার আরও কিছু গুণাগুণ:-
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: তরমুজের দানায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। এই ম্যাগনেসিয়াম হার্টকে সঠিক ভাবে চালনা করে। রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি বিপাকেও সাহায্য করে। হার্টের অসুখ ও হাইপার টেনশনের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে, তরমুজের দানার তুলনা নেই।
অকাল বার্ধক্য দূর করে: তরমুজের দানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অকাল বার্ধক্য দূর করে। ত্বককে তাজা রাখে। ব্রণর সমস্যা দূর করে। যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁরাও এটি ময়শ্চারাইজিং ক্রিমের মতো ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের গোড়া মজবুত করে: তরমুজের দানায় উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। যা চুলের গোড়াকে মজবুত করে তোলে। জেল্লা আনে।
ভিটামিন B6-এর ঘাটতি পূরণ করে: B6 হল ভিটামিন বি-এর মধ্যে সবথেকে জটিল। যার কাজ হল কার্বোহাইড্রেটকে শক্তিতে রূপান্তর করা। এর অভাবে বেরিবেরি অসুখ হয়। তরমুজের দানা এই ঘাটতি পূরণ করে।
প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের জোগান দেয়: শরীরের জন্য অ্যামাইনো অ্যাসিড একটি জরুরি উপাদান। আর্জিনিন এবং লাইসিনের মতো অ্যামাইনো অ্যাসিডের অন্যতম উত্স হল তরমুজের দানা। লাইসিন ক্যালসিয়ামকে শুষে নিয়ে হাড়ের গঠন মজবুত করে। টিস্যুকে ঠিক রাখে।
স্মৃতিবিভ্রমে: কিছুই মনে রাখতে পারছেন না, আজকাল সবই ভুলে যান। নিয়মিত তরমুজের দানা খাদ্যতালিকায় রেখে দিন। কয়েক দিনের মধ্যে ফারাক নিজেই বুঝবেন। স্মৃতিশক্তি চনমনে হয়ে উঠবে।
পুরুষের ফার্টিলিটির ক্ষমতা বাড়ায়: তরমুজের দানায় রয়েছে লাইকোপেন। যা পুরুষের উর্বরতা শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
নখ ভঙ্গুর?: চিন্তা না-করে তরমুজের দানায় ভরসা রাখুন। দুর্বল নখ শক্তপোক্ত হবে।
গ্যাস্ট্রিকের’ ওষুধ খাচ্ছেন ? থামুন ! বাঁচতে চাইলে পড়ুন…! (স্বাস্থ্য তথ্য)
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো হল পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। খাবার সময়মতো খাওয়া হয়না, বাইরের ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া, জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেয়।
পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বুক ও গলা জ্বালাপোড়া বা পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে গ্যাস্ট্রিকের ধরনের ওষুধ সেবনে আমাদের কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করলেন গবেষকরা।
গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআইএস) জাতীয় ওষুধ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ তৈরি করে।
নিউইয়র্কের স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক প্রদীপ আরোরা ও তার গবেষক দল ৭১ হাজার ৫১৬ রোগীর পরীক্ষা করেন, যাদের মধ্যে ২৪ হাজার ১৪৯ জন দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত।
এসব রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পিপিআইএস জাতীয় ওষুধ সেবন করেছেন। পিপিআই জাতীয় ওষুধ ব্যবহারকারী মধ্যে ১০ শতাংশের কিডনি রোগীর ঝুঁকি বাড়ায় এবং ৭৬ শতাংশের ক্ষেত্রে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
প্রদীপ অরোরা বলেন, রোগীদের বৃহৎ একটা অংশ পিপিআইএস জাতীয় ওষুধ সেবন করেন। যারা স্বাস্থ্য সেবা দেন তাদের এই জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা উচিৎ।
একটি পানীয় যদি অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করে, তবে কেমন হয়? ভাবছেন এটি কী করে সম্ভব? এটি সম্ভব, একটি পানীয় রক্তচাপ হ্রাস করবে, ডায়াবেটিস কমিয়ে দেবে এমনকি এই একটি পানীয় শরীরে ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করবে! এটি দেহের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে।
-একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার নিন। এর সাথে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু এবং ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টের সাথে এক গ্লাস জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন । এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পেতে জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়…
আলুর রসঃ
= গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার অন্যতম ভাল উপায় হল আলুর রস। আলুর অ্যালকালাইন উপাদান গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণগুলো রোধ করে থাকে।
= একটি বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করে নিন। এর গ্রেট করা আলু থেকে রস বের করে নিন। এরপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিশিয়ে নিন। এই পানীয় দিনে ৩ বার পান করুন। প্রতি বেলায় খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিন আলুর রস। তবে অন্তত ২ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।
আদাঃ
= আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়।
= আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেয়ে নিন।
= আদা কুচি করে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেকে রাখুন, এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে চায়ের মতো বানিয়ে নিন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করুন উপকারিতা পেতে।
৪. আপনি চাইলে আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়েও খেতে পারেন।
ইঃ
= প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন।
= দই আমাদের পাকস্থলীকে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অনতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
= আপনি চাইলে কলা, দই ও মধু একসাথে পেস্ট করে খেতে পারেন দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার জন্য।
-একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার নিন। এর সাথে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু এবং ১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টের সাথে এক গ্লাস জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন ।
মানুষের দেহের প্রধান অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হল লিভার। দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় লিভারের সুস্থতা অনেক জরুরী। কিন্তু কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে লিভার। এরই ফলাফল হিসেবে লিভার ড্যামেজের মতো মারাত্মক সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই। এই অঙ্গটি নষ্ট হওয়ার পিছনে কারণগুলি দেখে নেওয়া যাক৷
– দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা দুটোই লিভার নষ্টের কারণ। এতে শারীরিক সাইকেলের সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটতে থাকেএবং তার মারাত্মক বাজে প্রভাব পরে লিভারের উপরে।
– অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেও কুড়েমি করে প্রস্রাবের বেগ হলেও বাথরুমে না গিয়ে তা চেপে শুয়েই থাকেন। এতে লিভারের উপরে চাপ পড়ে এবং লিভার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।
– অতিরিক্ত বেশি খাওয়াদাওয়া করা লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর । অনেকেই আবাব বহুক্ষণ সময় না খেয়ে একবারে অনেক বেশি বেশি করে খেয়ে ফেলেন। এতে হঠাৎ করে লিভারের উপরে চাপ বেশি পরে এবং লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশংকা থাকে।
– সকালের খাবার না খাওয়ায় লিভার পক্ষে ক্ষতিকর। যেহেতু অনেকটা সময় পেট খালি থাকার কারণে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে লিভারও।
– অনেক বেশি ঔষধ খেলে লিভার নষ্ট হয়৷ বিশেষ করে ব্যথানাশক ঔষধের জেরে লিভারের কর্মক্ষমতার হ্রাস পায়ে। এছাড়াও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ক্ষতি হয় লিভারের। এতে করে লিভার ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়।
– কেমিক্যাল সমৃদ্ধ যেকোনো কিছুই লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু আলসেমি ও মুখের স্বাদের জন্য আমরা অনেকেই প্রিজারভেটিভ খাবার, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি যা লিভার নষ্টের অন্যতম কারণ।
– খারাপ তেল ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার বা পোড়া তেলের খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে।
– অতিরিক্ত কাঁচা খাবার খাওয়াও লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যেমন আপনি যদি খুব বেশি কাঁচা ফলমূল বা সবজি খেতে থাকেন তাহলে তা হজমের জন্য অতিরিক্ত কাজ করতে হয় পরিপাকতন্ত্রের। এর প্রভাব পড়ে লিভারের উপরেও। সুতরাং অতিরিক্ত খাবেন না।
– অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্য পান করা লিভার নষ্টের আরেকটি মূল কারণ। অ্যালকোহলের ক্ষতিকর উপাদান সমূহ লিভারের মারাত্মক ক্ষতির কারণ।