নানা ধরনের ক্রিম ও লোশনের ভিড়ে আমরা এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কথা ভুলে যাই। তবে তেল ক্রিম লোশনের চেয়েও বহু গুণ ভালো কাজ দেয়। ত্বকের লাবণ্য ও যৌবন ধরে রাখতে জেনে নিন কিছু তেলের কথা।
১. কালিজিরার তেল
ঔষধি গুণসম্পন্ন কালিজিরার তেল মূলত রোগের নিদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সৌন্দর্যচর্চাতেও এটি পিছিয়ে নেই কোনো অংশে। বিশেষ করে যৌবনদীপ্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন কালিজিরার তেল। অন্যান্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি কালিজিরার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি২ ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২. আমন্ড অয়েল
রূপচর্চায় আমন্ড অয়েলের ব্যবহার বহুল পরিচিত এবং প্রতিনিয়তই এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলছে। ভিটামিন এ, বি এবং ই-এর অন্যতম একটি উত্স আমন্ড অয়েল। এ সবগুলো ভিটামিনই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন নামীদামী ব্যান্ডের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টগুলোতে এদের উপস্থিতি থাকে সরবে। বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বককে আরো সুন্দর করে তুলতে আমন্ড অয়েলের জুড়ি নেই। এটি ত্বকের কোষ পুনরায় গঠন করতে সাহায্য করে, বলিরেখাসহ বয়সের বিভিন্ন ছাপ যেমন ছোপদাগ, রঙের অসামঞ্জস্য ইত্যাদি দূর করে এবং ত্বকে উজ্জ্বল আভা নিয়ে আসে।
৩. অলিভ অয়েল
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার সেই সুদূর অতীত থেকেই। অলিভ অয়েলের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করার অন্যতম উপায় হলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা। অলিভ অয়েল খুবই উন্নত মানের ময়েশ্চারাইজার। নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক হয় তারুণ্যময়। সব ধরনের ত্বকের জন্য সমান উপকারী অলিভ অয়েল। ত্বকে পুষ্টি যুগিয়ে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারে এই তেল।
৪. তিলের তেল
ত্বকে বয়সের কুঞ্চন তথা বলিরেখা রোধ করতে নিয়মিত ব্যবহার করুন তিলের তেল। প্রতিদিন তিলের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করুন ও তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তিলের তেলের মাসাজ ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়াবে এবং ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলবে। তিলের তেল প্রাকৃতিক ভাবেই ত্বকের মৃত কোষ দূর করে দেবে এবং ত্বকে যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করবে ও ত্বক হয়ে উঠবে সজীব। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও তিলের তেলের জুড়ি নেই।