চিনি সম্পর্কে সকলেই জানেন, প্রত্যেকেই চিনি ব্যবহার করেন। চিনিকে আমরা খাদ্য উপকরণ হিসাবেই জানি। সব রান্নাতেই প্রায় আমরা চিনি ব্যবহার করে থাকি। চিনি হল মিষ্টি তৈরীর প্রধান উপাদান। চিনি দিয়ে তৈরী খাবার গুলি যতটাই সুস্বাদু হয় ঠিক ততটাই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত চিনি খেলে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন – সুগার, ডায়বেটিস ইত্যাদি।
কিন্তু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার দ্বারা দেখা যায় যে চিনি শরীরের জন্য অপকারী হলেও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ব্রিটেনের বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কা ফুসকো ওয়েক্সলার বলেন যে শ্যম্পুর সাথে যদি চিনি মিশিয়ে শ্যম্পু করা যায় তাহলে চুল ঘন, কালো, মজবুত ও সুন্দর হয়।
চুলের বৃদ্ধিও হয় এবং পরিষ্কার থাকে। ফলে চুল আগের থেকে বেশি সিল্কি ও ঝলমলে দেখতে লাগে। শুধু শ্যম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে চুলে কোন ঔজ্জ্বল্য থাকেনা। শ্যম্পুর সাথে চিনি মিশিয়ে চুল ধুলে চুল উজ্জ্বল হবে এবং চুলের আদ্রতা বজায় থাকবে।
চুলের গ্রোথ কিভাবে হবে এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা অনেক পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষার পর মারি ক্লেয়ার নামে এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি শ্যাম্পুর সাথে এক চা চামচের মতো চিনি মিশিয়ে মাথার ত্বকে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করা হয় তাহলে মাথায় খুস্কি সমস্যা দূর হয়।
চিনি এমন একটি জিনিস যার ভালো দিক খারাপ দিক দুটোই আছে। এর আরও অনেক কার্যকারিতা আছে। চিনি শুধু রান্না করা আর চুলের গ্রোথ বারানোর কাজেই লাগে না। চিনি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও উপকারী।
নিয়মিত যদি ত্বকে চিনি ম্যাসেজ করা যায় তাহলে ত্বকের কালো দাগ, চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল, ওপেন পোরস এর সমস্যা দূর হয়। সব ধরনের ত্বকে দারুন স্ক্রাব হিসাবে কাজ করে চিনি। অলিভ অয়েলের সঙ্গে চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রন মুখে কিছুক্ষন লাগিয়ে রাখুন। রাখার পর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন।
চিনি গ্লাইকোলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস। রোদে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের চিকিতসায় গ্লাইকোলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। তাই রোদে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদি আপনি এই টিপস গুলি মেনে চলেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যে আপনার ত্বকে এবং চুলে চোখে লাগার মতো পার্থক্য দেখতে পাবেন।