রাস্তা ঘাটে এমনকি বাজারে গেলেই চোখে পড়ে মোরব্বা । সেটা হলো কুমড়োর মোরব্বা । খোলামেলা বিক্রি হওয়ায় ধুলো বালির উপদ্রব থাকে অনেক বেশি । তবে এমন মজার মিষ্টান্ন স্বাস্থ্যকর উপায়ে নিজ হাতে বানাতে পারেন আপনিও । নিজেদের খাওয়ার সঙ্গে অতিথি আপ্যায়নেও সেরা । এখন অনেক চালকুমড়াও পাওয়া যাচ্ছে অনেক বেশি । তাই চেষ্টা করে দেখুন ।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কুমড়া দিয়ে মোরব্বা বানানোর রেসিপিটি…
উপকরণ :
চালকুমড়া
চিনি
দারুচিনি ও এলাচ
তেজপাতা ও ঘি
পরিমাণ :
চালকুমড়া – ২ কেজি
চিনি – ৭৫০ গ্রাম
দারুচিনি ও এলাচ – ২/৩ টি
তেজপাতা – ২ টা
ঘি – সামান্য
মজার মিঠাই , কুমড়ার মোরব্বা
প্রণালী :
- ভালো ভাবে পাকা চাল কুমড়া খোসা এবং বীজ ফেলে দুই ইঞ্চি পুরু করে লম্বা ফালি করতে হবে ।
- এবার কাঁটা চামচ দিয়ে উভয় দিকে ভালো করে কেচে নিন ।
- পুরো কুমড়া কেচে নেয়া হলে দুই বা তিন ইঞ্চি লম্বা করে ছোট ছোট আকার দিতে হবে ।
- এবার একটা পাত্রে পানি দিয়ে কুমড়া গুলো হালকা ভাবিয়ে নিতে হবে ।
- তারপর ঠান্ডা হলে কুমড়ো যতটা পারা যায় চিপে পানি ফেলে দিন ।
- এবার আলাদা একটা কড়াইতে চিনি ঢেলে হালকা পানি আর মসলায় মৃদু আঁচে নাড়তে থাকুন ।
- আগুনের মাত্রা বেড়ে গেলে চিনি পুড়ে কালো হয়ে যাবে ।
- তাই মৃদু আঁচে চিনি গলে পানি হয়ে গেলে চিপে রাখা কুমড়ার টুকরো ছেড়ে দিন ।
- এবার একই আঁচে ধৈর্য ধরে নাড়তে থাকুন । খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায় ।
- আস্তে আস্তে পানি শুকিয়ে কুমড়ার গায়ে আঠা হয়ে লেগে আসবে ।
- প্রায় শুকিয়ে এলে নামিয়ে বড় ট্রেতে মোরবাবা গুলো আলাদা আলাদা করে পাশাপাশি রেখে ঠান্ডা হতে দিন ।
প্রতিটি মোরব্বার ঠিক যতটুকু চিনিতে আবৃত হওয়া প্রয়োজন ততটুকুই লেগে থাকবে । বাকি চিনি কড়াইতে থেকে যাবে । এবার মোরব্বা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কাঁচের বয়ামে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যাবে । দীর্ঘদিন রেখে খেতে চাইলে নরমাল ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন । যখন তখন মিষ্টি মুখ আর বাচ্চাদের বায়না মেটাতে দারুণ উপযোগী কুমড়ার মোরব্বা ।