ঘরোয়া পাঁচটি উপায়ে দূর করুণ পিরিয়ডের সময় প্যাড থেকে হওয়া স্কিন র‍্যাশ

পিরিয়ড বা মাসিক একজন নারীর স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। কৈশোরকাল থেকে অভ্যস্থ হলেও অসচেতনতার দরুন প্রতিনিয়ত আমরা পিরিয়ডকালীন সেনিটেশনে বিভিন্ন ভুল করি যা হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। আরেকটু সচেতনতাই পারে আমাদের এই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে।

পিরিয়ডের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্যাড পড়ে থাকতে থাকতে, স্কিন র‍্যাশের সমস্যা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। যেটা ভীষণ বিরক্তিকর। কিন্তু প্যাড ব্যাবহারের কিছু সাধারণ নিয়ম, আর কিছু ঘরোয়া উপায়ই এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যেগুলো আমিও মেনে চলি।

• এই ধরণের স্কিন র‍্যাশ থেকে মুক্ত থাকতে ভেতরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুব জরুরী। এটা শুধু পিরিয়ড চলা কালীন নয়। সবসময়ই ভেতরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা দরকার।

• প্রতিদিন স্নানের সময় গোপনঅঙ্গ পরিষ্কার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

• স্নানের পর ভালো করে শুকনো করে অবশ্যই মুছে নেওয়া। এক্ষেত্রে পরিষ্কার শুকনো সুতির কাপড় ব্যবহার করা ভালো।

• দিনে দুবার, স্নানের সময় এবং সারাদিন পর বাড়ি ফিরে আবার একবার পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এবং অবশ্যই শুকনো রাখবেন। কারন সারাক্ষণের এই ভেজা ভাব থেকেই স্কিন র‍্যাশ হয়।

একই প্যাড অনেকক্ষণ নয়

• অনেকেই দিনে মাত্র দুবার প্যাড বদলান। কিন্তু এটা একদমই ভালো নয়। একই প্যাড অনেকক্ষণ পড়ে থাকার কারনে স্কিন ইনফেকশন হয় মারাত্মক।

• দিনে তিন থেকে চার বার প্যাড বদলানো দরকার।

• একটা প্যাড চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশী ব্যবহার করবেন না। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অন্তর প্যাড বদলানো দরকার।

কটন প্যাড

• অনেকেই স্পেশাল আলট্রা ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এগুলো কিন্তু একদমই ভালো না।

• প্যাডের সিনথেটিক কাপড়, এছাড়াও এতে ব্যবহার করা হয় নানারকম কেমিক্যাল।

• যেগুলো কিনা লিকুইড ব্লাডকে জেলে পরিনত করতে পারে। এই ধরণের ক্যামিকাল থেকে শুধু র‍্যাশ নয়, আরও নানারকম সমস্যাও হতে পারে। এমনকি ক্যান্সারও।

• ব্যবহার করুন সাধারণ কটন প্যাড।

• প্ল্যাস্টিক লাইনিন দেওয়া প্যাড বা বিভিন্ন স্পেশাল প্যাডে নানারকম ক্যামিকালের পরিমাণ বেশী।

• এছাড়াও এইসব প্যাডে ব্যবহার করা হয় নানারকম কেমিক্যাল যুক্ত সুগন্ধি। যেটা স্কিন র‍্যাশের একটা অন্যতম কারন।

এই সময় কোনও টাইট প্যান্ট নয়

• পিরিয়ড চলা কালীন এমনিতেই সারাক্ষণ প্যাড পড়ে থাকতে হয়।
• তার ওপর যদি আবার টাইট জিন্স বা প্যান্ট পরা থাকলে কষ্ট আরও বেশী। এতে স্কিন র‍্যাশের সম্ভবনা আরও বেড়ে যায়।

• এইসময় ব্যবহার করুণ হালকা সুতির প্যান্ট।

• প্যান্ট অবশ্যই ভালো করে গরম জলে পরিষ্কার করে নেবেন। কাঁচা পরিষ্কার প্যান্ট পরবেন।

র‍্যাশের জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন

• যদি স্কিন র‍্যাশ হয়ে থাকে, তাহলে কিছু জিনিস ব্যবহার করতে পারেন।

• বরফ বা আইস কিউব পরিষ্কার সুতির কাপড়ে মুড়ে, র‍্যাশের জায়গায় ধীরে ধীরে লাগান।

• বেশ কিছু নিমপাতা জলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। জল একদম ঠাণ্ডা হলে, লাগান। বা ওই জল দিয়ে ধুতেও পারেন।

• গাছের পাতা থেকে ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে লাগাতে পারেন।

• অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খুব ভালো কাজ দেয় প্যাড থেকে হাওয়া স্কিন র‍্যাশ কমাতে। জাস্ট অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে তুলোর বল ডোবান। এবার এটা ধীরে ধীরে লাগান।

• এককাপ জলে পিপারমেন্ট টি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ঠিক যেভাবে টি ব্যাগে চা তৈরি করেন। জল ঠাণ্ডা করে, এই পিপারমেন্ট জল লাগান। কিচ্ছুক্ষণ পর তোয়ালে দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিন।

Related Posts

রোজা রেখে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কী করবেন!

রোজার মাসে সবাই যেন খাবারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। সারা দিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কি এই প্রতিযোগিতা? কে কত খেতে বা রান্না করতে পারে।…

গলার অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ১০টি সহজ উপায়…

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন তো জিনিসটা? আর ভাবছেন কী বাজে লাগছে মুখটা! অতিরিক্ত কী একটা ঝুলছে! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি গলায় জমে থাকা…

জানেন কি গরমে খাবারের চার্ট কেমন হওয়া উচিত?

গরমে অস্বস্তিতে সবাই। এরমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ঠিকঠাক খাবার চার্ট খুবই জরুরি-…

বয়স অনুযায়ী আপনার শিশুর প্রতিদিন কতটুকু পানি প্রয়োজন

বাচ্চার কতটুকু পানি প্রয়োজন সেটি আসলে নির্ভর করে বাচ্চার অবস্থা, ওজন ও বয়সের ওপর। জ্বর বা অসুখের সময় পানির বেশি প্রয়োজন। বেশি গরম পড়লে, খেলাধুলা করলে বেশি…

শারীরিক সৌন্দর্য বারাতে ও ওজন কমাতে রইল ১৪ টি সহজ ঘরোয়া উপায়

মাঝে মাঝে ব্যয়াম ও কখনো কখনো ডায়েট করে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করাটা আসলেই দুঃসাধ্য।শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের…

ওভেনের খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!

কম সময়ে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনই ভরসা। আধুনিক এই যন্ত্রটি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। নামমাত্র সময়ে ঠান্ডা খাবার গরম করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই।…