গর্ভধারণ প্রত্যেক মেয়ের জন্য আনন্দের বিষয় । গর্ভধারণের সময়টিতে সবচেয়ে যে বিষয়টি নিয়ে মায়েরা চিন্তা করেন তা হলো “ ছেলে হবে নাকি মেয়ে ” । যদিও আধুনিক সময়ে কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভের সন্তানটির লিঙ্গ সম্পর্কে অনুমান করা যায় । এই পরীক্ষা ছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে কিছুটা বোঝা যায় আপনার অনাগত সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে ! এই লক্ষণগুলো দেখে আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন গর্ভের সন্তানটি ছেলে কিনা ?
১। পেটের অবস্থান
পেটের অবস্থা দেখে অনেকটা অনুমান করা যায় আপনার সন্তানটি ছেলে হবে কিনা । আপনার পেটটি নিচের দিকে ঝুঁকে থাকলে বুঝতে হবে আপনার গর্ভের সন্তানটি ছেলে ।
২। ইউরিনের রঙ
গর্ভকালীন সময়ে ইউরিনের রঙ পরিবর্তিত হয়ে থাকে । বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় মায়ের ইউরিনের রঙ গাঢ় হলুদ রঙের হলে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে । আর যদি কিছুটা সাদাটে রঙের ইউরিন হয় তবে তা মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে ।
৩। ব্রণের প্রকাপ
গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের হরমোনাল পরিবর্তন অনেক বেশি হয়ে থাকে । যার কারণে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয় । ব্রণ তাদের মধ্যে অন্যতম । গর্ভকালীন সময়ে ব্রণের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তবে ছেলে সন্তান হবার সম্ভাবনা রয়েছে ।
৪। স্তনের আকৃতি
স্তনে দুধ আসার কারণে গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি পায় । অধিকাংশ নারীদের বামদিকের স্তন ডানদিকের স্তন থেকে বড় হয় । গর্ভে ছেলে সন্তান থাকলে ডানদিকের স্তন বড় হয়ে থাকে বামদিকের স্তনের চেয়ে ।
৫। পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হওয়া
গর্ভকালীন সময়ে কী আপনার পায়ের পাতা সারাক্ষণ ঠাণ্ডা হয়ে রয়েছে ? তবে এটিও কিন্তু ছেলে সন্তান হবার আরেকটি লক্ষণ ।
৬। হার্ট রেট
গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকরা প্রায় সময় বাচ্চার হার্ট রেট মেপে থাকেন । এই সময় যদি বাচ্চার হার্ট রেট প্রতি মিনিটে ১৪০ বিট থাকে , তবে বুঝতে পারবেন গর্ভের বাচ্চাটি ছেলে ।
৭। চুলের বৃদ্ধি
মায়ের চুল দেখেও অনুমান করা সম্ভব গর্ভের সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে । মায়ের চুলের বৃদ্ধি যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় , তবে গর্ভের সন্তানটি ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
৮। খাওয়ার ইচ্ছা
এইসময় মায়েদের ক্ষুধা লাগার পরিমাণটা কিছুটা বেশি থাকে । আর গর্ভে যদি ছেলে সন্তান থাকে তবে টক বা লবণাক্ত খাবার বেশি খেতে ইচ্ছা করে ।
৯। ঘুমানোর অবস্থান
গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা অনেক বেশি ক্লান্ত থাকেন , যার কারণে শোয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েন । ঘুমানোর সময় যদি বেশিরভাগ সময় বাম দিকে ফিরে ঘুমিয়ে থাকেন , তবে বুঝতে পারেন আপনার ছেলে সন্তান হতে পারে ।
১০। শুকনো হাত
শুষ্ক , রুক্ষ হাত এমনই আরেকটি লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয় ।
১১। মর্নিং সিকনেস কম হওয়া
অনেক নারীরা এইসময় মর্নিং সিকনেস অনুভব করে থাকেন । যদি আপনার সকালবেলা বমি বমি ভাব কম অনুভূত হয় অথবা মর্নিং সিকনেস কম হয়ে থাকে তবে ছেলে সন্তান হবার সম্ভাবনা রয়েছে ।
১২। ওজন বৃদ্ধি
এইসময় ওজন বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক । কিন্তু ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে পেট কিছুটা ফুলে গেলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । মেয়ে সন্তান গর্ভে থাকলে সাধারণ মায়ের সারা শরীরেই মেদের হার বৃদ্ধি পায় , এমনকি মুখেও ।
সুত্র : মম জংশন