মা হতে চান না, এমন মেয়ে খুঁজে পাওয়া সত্যিই খুব মুশকিল। কিন্তু বর্তমানে মা হওয়াটাও অনেকটা লটারির মতো হয়ে গেছে। ব্যস্ত জীবন, অনিয়মের কারণে সর্বনাশ হতে চলেছে আমাদের এই সাধের স্বপ্নের।
অতীতে এক বা একাধিক, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তো ততোধিক সন্তানের মা হওয়াও কোনও ব্যাপার ছিল না। তবে যত সময় এগচ্ছে, ততই নারীদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে এসেছে। এর জন্য শুধুমাত্র অনীহা নয়, অনেকাংশেই দায়ী নানারকম সমস্যাও।
আপনি মা হতে চাচ্ছেন কিন্তু ‘অ্যান্টি বেবি পিল’ সেবন না করেও গর্ভবতী হচ্ছেন না?
তাহলে জেনে নিন এমন কিছু টিপস, যা আপনাকে গর্ভবতী হতে সাহায্য করতে পারে৷
‘গুড টাইমিং’ খুবই জরুরি
সবার ক্ষেত্রে এ কথা সত্য না হলেও, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের মাসিকের গড় চক্রকাল ২৮ দিন৷ অনেকের অবশ্য মাসিক অনিয়মিতও হয়ে থাকে৷ তাই ‘ওভুলেশন’ বা ডিম্বোস্ফোটনের সাতদিন পর্যন্ত স্বামী বা পার্টনারের সঙ্গে সহবাস করলে একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি৷
‘গুড টাইমিং’ কখন?
যদিও ডিম্বোস্ফোটনের একেবারে সঠিক সময় বোঝা কঠিন, তারপরেও বেশিরভাগ মেয়েরই ঋতুস্রাব শুরুর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ডিম্বোস্ফোটন হয়৷ অর্থাৎ এটাই সবথেকে উর্বর সময়৷ কাজেই হিসেব করে সেভাবে যৌনমিলন হলে নারী গর্ভবতী হতে পারে৷ তবে শরীরে অন্য কোনো সমস্যা থাকলে অন্য কথা৷
হতাশ হবার কিছু নেই
কিছুদিন চেষ্টার পর সফল না হলে মন খারাপ বা নিজেকে দায়ী করার কিন্তু কোনো কারণ নেই৷ অনেকের ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে৷ আসলে গর্ভধারণ নির্ভর করে নারী, তাঁর জননক্ষমতা, ওভুলেশন বা ডিম্বোস্ফোটনের তারিখ, নারীর সাধারণ স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার ওপর৷
ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন ট্যাবলেট
গর্ভধারণ কহজ করার জন্য, অর্থাৎ জননক্ষমতা বাড়াতে ও জরায়ু সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম মানা যেতে পারে৷ এক্ষেত্রে ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন৷ তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে৷
খাওয়া-দাওয়া
গর্ভধারণ করতে চাইলে খাওয়া-দাওয়ার ব্যপারেও কিছুটা সচেতন হতে হবে৷ যেমন আপনার খাবারের তালিকায় ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার থাকা জরুরি৷ তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও দুধ বা জাতীয় খাবারও গর্ভধারণে সহায়তা করে৷
মানসিক চাপকে দূরে রাখুন
সন্তান না হওয়ার কারণে অনেক নারী মানসিক চাপে ভোগেন৷ আবার আমাদের সমাজে পরিবার থেকেও চাপ আসে৷ এক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সিডো৷ কারণ জোর করে সন্তান ধারণ করা বা সন্তানের মা হওয়া যায় না৷ এছাড়া মানসিক চাপ থাকলে তা শেষ পর্যন্ত সন্তানের জন্যও মঙ্গলজনক হয় না৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।