আল্লাহ তাআলা মানুষকে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আরাম-ব্যারামসহ বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। এসব অবস্থায় বান্দা আল্লাহ তাআলার ওপর কতটা নির্ভরশীল, তা পরীক্ষা করাই আল্লাহ তাআলা উদ্দেশ্য। খুশী ও কষ্ট উভয় সময়ে আল্লাহর প্রশংসা করাও ইবাদত।
মানুষ খুশীর সময় বা অতিআনন্দে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যায়। আবার যখন চরম দুঃখ কষ্টে পতিত হয় তখন কেউ কেউ আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে আবার কেউ কেউ আল্লাহ তাআলার ওপর নাখোশ হয়। আল্লাহ তাআলাকে গাল-মন্দ করে। যার কোনোটিই ঠিক নয়।
মানুষের উচিত খুশী ও কষ্ট উভয় সময়ে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় তথা প্রশংসা করা। যখনই মানুষ আল্লাহর প্রশংসায় লিপ্ত হয় তখন সুখী মানুষ আরো শান্তি ও সস্থিবোধ করে আর দুঃখী মানুষ সুখের সন্ধান পায় অথবা ধৈর্যধারণ করার রসদ খুঁজে পায়। যার বিনিময়ে রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের অনেক ফায়েদা।
এ কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে খুশী ও কষ্টে শুকরিয়া বা আল্লাহর প্রশংসা আদায় করার পদ্ধতি শিখিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
• হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুশীর সময় বলতেন-
উচ্চারণ : ‘আল-হামদু লিল্লাহিল্লাজি বিনি’মাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত’
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যার অনুগ্রহে সব শুভকাজ সম্পন্ন হয়।’
• আর কষ্টের সময় বলতেন-
উচ্চারণ : ‘আল-হামদু লিল্লাহিল্লাজি আলা কুল্লে হাল।’
অর্থ : সর্বাবস্থায় সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য।’ (ইবনে মাজাহ)
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের প্রথম সুরায় তাঁর নিজের প্রশংসার মাধ্যমে বান্দাকে মাওলার প্রশংসা শিখিয়েছেন। যাতে মানুষ সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলা প্রশংসা করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে খুশীর এবং কষ্টের সময় তাঁর শেখানো ভাষায় প্রিয়নবির উল্লেখ করা প্রশংসা বাক্য দ্বারা শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূত্রঃ জাগো নিউজ