কাফন শেষ করতে না করতেই অজগর সাপ এসে লোকটির কাফনটিকে পেঁচিয়ে ফেলল। কেউ তার (অজগর) পাশে পর্যন্ত ভিড়তে পারছিল না। কিছুক্ষণ পর সাপটি চলে গেলে লোকজন দেখতে পায় লাশটির মুখ কুচকুচে কালো বীভৎস রূপ ধারণ করেছে। অথচ লোকটির গায়ের রঙ ছিল ফর্সা।
অবশেষে মৃত ব্যক্তির বাবাকে জিজ্ঞেস করে জানা গেছে, সে (মৃত ব্যক্তি) কখনই নামাজ পড়তে চাইত না। আমি মনে করি এ ঘটনাটি অবিশ্বাস করা বা এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
কেননা, আল্লাহ অতীতেও এরূপ অনেক দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন তার গাফেল বান্দাদের সতর্ক করার জন্য।’ ওপরের ঘটনা ও পরবর্তীতে মহান আল্লাহতায়ালা ও তাঁর প্রিয় রাসুল (সা.)-এর বয়ানে নামাজ না পড়া ও তার সম্বন্ধে পবিত্র ইসলাম ধর্মে থাকা বিধিনিষেধ সম্বন্ধীয় একটি ধর্মীয় স্টেটাস উঠে এসেছে সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয় : আল্লাহ বলেন যেদিন কতকগুলো চেহারা হবে ঝক?ঝকে আর কতকগুলো চেহারা হবে মিসমিসে; তারপর যাদের চেহারা কালো হবে, তাদের ক্ষেত্রে তোমরা কী অবিশ্বাস পোষণ করেছিলে তোমাদের ঈমান আনার পর? অতএব যন্ত্রণার আস্বাদ গ্রহণ কর, যেহেতু তোমরা অবিশ্বাস পোষণ করেছিলে।’
সালাত পরিত্যাগ করা হচ্ছে কবিরা গুনাহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ গুনাহ।
রাসুল (সা.) বলেছেন :‘আমাদের ও তাদের (কাফেরদের) মাঝে চুক্তি হলো সালাত। তাই যে তা ত্যাগ করে, সে কাফের হয়ে গেল।’ [ইমাম আহমাদ ও সুনানের সঙ্কলকরা সহি ইসনাদ সূত্রে বুরাইদাহ (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন] আর রাসুল (সা.)-এর বাণী : ‘একজন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা।’
তিনি আরও বলেন : আর কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজেরই হিসাব নেওয়া হবে। নামাজের হিসাব ঠিক থাকলে অন্যান্য আমলও ঠিক থাকবে। আর যদি নামাজের হিসাব ভুল হয়, তাহলে অন্যান্য আমলেও ভুল হবে।
আল্লাহ বলেন :‘তোমরা নামাজগুলো ও মধ্যবর্তী নামাজকে (আছর) সংরক্ষণ কর এবং বিনীতভাবে আল্লাহর উদ্দেশে দন্ধায়মান হও।’ (সুরা বাকারা : ২৩৮) প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আসুন আমাদের প্রকৃত জীবনকে সাফল্যম-িত করার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ সময়ে আদায় করি, আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তওফিক ও শক্তি দান করুন। আমিন……