আপনার মনে আছে হয়তো আপনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন ক্লাসে অনেক বাচ্চাদের হাতের লেখা এতটাই খারাপ ছিল যে শিক্ষক তাদের বলতেন ‘এটা কি হচ্ছে’ এবং তাদের রোজ হাতেরলেখার জন্য বকুনি খেতে হত। ঐ ক্লাসেই আবার কিছু বাচ্চা ভালো হাতের লেখার জন্য পরীক্ষায় ভালো নাম্বারও পেতো, সাথে সাথে শিক্ষকের মন জয় করে নিত।
এইরকম ও বলা হয়ে থাকে যে ভালো হাতেরলেখা ভালো চরিত্রের পরিচয় দেয়। এমন নয় যে ভালো হাতেরলেখা শুধুমাত্র ভগবানেরই হয়ে থাকে, যদি আমরা চাই তো নিজেদের পরিশ্রমের দ্বারা সব কিছুই করতে পারি। তারই একটি খুব সুন্দর উদাহরণ নেপালের এই মেয়ে প্রকৃতি মল্লা। ভালো হাতেরলেখা আপনি অনেকেরই দেখেছেন হয়ত, কিন্তু এই মেয়েটির হাতের লেখা এতটাই নিখুঁত যে কোন দিক থেকেই হাতে করে লেখা এটি মনে হবে না। এমন মনে হবে যে কম্পিউটারে লেখা প্রিন্টআউট।
বিশ্বাস না হলে আপনি নিজেই দেখে নিন –
প্রকৃতির হাতেরলেখা আজ সারা বিশ্বে প্রশংসা করা হচ্ছে –
বর্তমান যুগে ইন্টারনেটে প্রতিভার প্রচুর কদর। যদি আপনার মধ্যে কিছু আশ্চর্যজনক ক্ষমতা থাকে তো আপনার প্রতিভা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব দেখতে পারে। তাইজন্য প্রকৃতির সুন্দর হাতেরলেখা ইন্টারনেটে ছরিয়ে পরেছে এবং এখন সারা বিশ্বে প্রশংসা করা হচ্ছে।
এই স্কুলে প্রকৃতি পড়াশোনা করে –
এই সুন্দর হাতেরলেখার মালকিন প্রকৃতি নেপালের সৈনিক আবাসিক বিদ্যালয় থেকে নিজের পড়াশোনা সম্পন্ন করছেন।
প্রতিভার সন্মান দেয় সারা বিশ্ব –
যদি আপনার মধ্যে কোন প্রতিভা থেকে থাকে তাহলে বিশ্ব আপনার সন্মান অবশ্যই করবে। প্রকৃতির হাতেরলেখার জন্য নেপাল সরকার তাকে পুরষ্কার দিয়েছেন।
দেশের বাইরেও ছরিয়ে পরেছে প্রকৃতির হাতের লেখা –
প্রকৃতির হাতেরলেখা শুধুমাত্র নেপালেই নয় সারা বিশ্বে ছরিয়ে পরেছে। আজ প্রকৃতির নাম বিশ্বের আলাদা আলাদা সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়েছে।
হাতেরলেখায় উন্নতি করার জন্য সে অনেক অনুশীলন করেছে –
প্রকৃতির হাতেরলেখা ঈশ্বরের উপহার নয়, তার আত্মীয়দের মতে সে প্রতিদিন দুই ঘন্টা হাতেরলেখা লেখে।
নিখুঁতের পিছনে রয়েছে অনেক অনুশীলন –
আপনি শুনেছেন হয়তো শুধুমাত্র প্র্যাকটিস একটি ব্যক্তিকে নিখুঁত করে তোলে। প্রকৃতির নিখুঁত হাতেরলেখা তার কঠিন কাজের ফলাফল।
সেনাবাহিনীও তাকে পুরস্কৃত করেছেন –
নেপালের সরকার ছাড়াও প্রকৃতির হাতেরলেখা সেখানের সেনা কর্তৃক সম্মানিত হয়েছে।