এক কথায় এঁরা খুবই সংবেদনশীল এবং আবেগপ্রবণ হন। কিন্তু সমাজের বড় অংশটাই এঁদের দুর্বল বলে মনে করে। মনোবিদরা আবার অন্যরকম মনে করেন।
মানুষ মাত্রই তাঁর অনুভূতি ও আবেগ থাকা স্বাভাবিক। কারওর বেশি থাকে, কারও বা কম। কেউ আবার আবেগপ্রবণ হলেও তা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। আবার অনেকেই আছেন, যাঁদের অন্যের দুঃখ দেখেও চোখে জল আসে। এক কথায় এঁরা খুবই সংবেদনশীল এবং আবেগপ্রবণ হন। কিন্তু সমাজের বড় অংশটাই এঁদের দুর্বল বলে মনে করে।
মনোবিদরা আবার অন্যরকম মনে করেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে মনোবিদরা জানতে পেরেছেন, যাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁদেন তাঁদের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে।
• মনের মধ্যে কোনও কষ্ট জমে থাকলে তা খুবই ক্ষতিকারক। উল্টোদিকে যাঁরা কেঁদে নিজের কষ্ট বের করে ফেলতে পারেন, তাঁদের পক্ষে সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসাও তুলনামূলক ভাবে সহজ। জীবনে বড় কোনও ধাক্কা খাওয়ার পরে মুহূর্তের জন্য কাঁদলেও, এঁরা সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসেত পারেন সহজে।
• অনেকের ধারণা যাঁরা কাঁদেন তারা ভীতু হন। কিন্তু মনোবিদরা উলটো মনে করেন। তাঁদের মতে, যাঁরা কাঁদেন, তাঁরা সাহসী হন। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে তাঁরা ভয় পান না। অনেকে কান্না চেপে রাখেন নিজেকে দুর্বল হিসেবে লোকের সামনে দেখাতে চান না তাই। কিন্তু যাঁরা সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে মেনে নিয়ি কাঁদতে ভয় বা লজ্জ্বা পান না তাঁরাই সাহসী।
• যাঁরা বেশি কাঁদেন তাঁরা জীবনে সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হন। এঁরা জানেন কেঁদে মনের ভার হালকা করলে জীবনের পথে চলতে তাঁদের সুবিধাই হবে। উল্টোদিকে যাঁরা না কেঁদে, কষ্ট ভিতরে আটকে রাখেন তাঁদের মাথায় ও জীবনে সেই কষ্ট বেশি প্রভাব ফেলে।