শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় বাড়ির পরিবেশে স্নেহ মায়া মমতা ও ভালোবাসা কম পেলে একটি শিশু অন্যান্য সাধারণ শিশুদের তুলনায় অনেক বেশি রূঢ় অনেক বেশি নিষ্ঠুর অসামাজিক হয়ে ওঠে । সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভিনিয়া তাঁদের একটি গবেষণার রিপোর্টে এমন তথ্যই জানিয়েছে । শিশুদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করার পর তাঁরা এই তথ্য সামনে এনেছেন।
পেনসিলভিনিয়ার সাইকোলজিস্ট রেবেকা ওয়ালা ২২৭টি যমজ শিশুর ওপর গবেষণার কাজ শুরু করেন। একটি শিশুর ওপর তার বাড়ির পরিবেশ কী প্রভাব ফেলে এবং তার ফলে শিশুটির কী কী স্বভাবগত পরিবর্তন ঘটে তাই ছিল গবেষণার বিষয়। তাঁরা যমজ জুটির একটি শিশুকে বেশি কঠোর অনুশাসন ও কম স্নেহের পরিবেশে রেখে দেখেন।
অপর শিশুটিকে স্নেহ ভালোবাসার পরিবেশে রাখেন। দেখা গেছে, যমজ শিশুদের মধ্যে যে শিশুটি বাড়িতে কম স্নেহ,ভালোবাসা পেয়েছে এবং কঠোর অনুশাসনের পরিবেশে থেকেছে সেই শিশুটি হয়ে উঠেছে খুবই উগ্র। সামাজিক দক্ষতার বৈশিষ্ট্যগুলোও ওপর শিশুটির তুলনায় তার মধ্যে দেখা গেছে বেশ কম।
মিশিগান ইউনিভার্সিটির আরেক সমাজতত্ত্ববিদ প্রফেসর হাইড বলেছেন, যমজ হওয়ার কারণে দু’টি শিশুরই ডিএনএ-র বৈশিষ্ট এক তা সত্ত্বেও তাদের মধ্যে এই পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। সুতরাং, এই গবেষণার থেকে একটা বিষয় প্রমাণিত যে শুধুমাত্র জিনগত বৈশিষ্ট্যই নয় বরং একটি শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশও সমানভাবে দায়ী থাকে তার চারিত্রিক গুণাবলী গড়ে তোলার জন্য।
যদিও এখনও এই গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা কোনোরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি। তবু এটুকু বলাই যায় যে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার সময় স্নেহ ভালোবাসা পেলে পরবর্তী ক্ষেত্রে তার চরিত্রের সুষ্ঠু ও ইতিবাচক গুণগুলি অনেক বেশি পরিমানে লক্ষ্য করা যাবে।