পুরুষের জন্য উদ্ভাবিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি মানবদেহের জন্য নিরাপদ কী-না এ সংক্রান্ত পরীক্ষায় গবেষকরা সফলতা পেয়েছেন।
আমেরিকার নিউ অরলিন্সে একটি নেতৃস্থানীয় মেডিক্যাল সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
দিনে একটি করে খেতে হবে এই বড়ি। এতে আছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের দেহে শুক্রাণুর উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে কাজ করবে। পুরুষদের জন্য বর্তমানে কনডম এবং ভ্যাসেকটমি ছাড়া আর কোন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেই।
এন্ডোক্রিন ২০১৯ নামের সেই সম্মেলনে আরো বলা হয়, এ বড়ি বাজারে আসতে এক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যে মেয়েদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চালু হয়েছিল ৫০ বছরেরও বেশি আগে। কিন্তু পুরুষদের বড়ি চালু করতে এতো সময় লাগছে কেন?
অনেকে বলেন, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চালু করার ক্ষেত্রে ‘সামাজিক ও বাণিজ্যিক ইচ্ছার ঘাটতি’ আছে। কিন্তু একাধিক জনমত জরিপে দেখা গেছে যে অনেক পুরুষই বলেছেন যে যদি এরকম বড়ি পাওয়া যায় তাহলে তারা তা ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন।
সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাসম্পন্ন পুরুষের অণ্ডকোষে নতুন শুক্রাণু প্রতিনিয়তই তৈরি হতে থাকে, এবং এ উৎপাদন পরিচালনা করে নানা রকম হরমোন। পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি তৈরি করতে হলে এমনভাবে এ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে যাতে হরমোনের স্তর কমে গিয়ে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএ বায়োমেড যারা নতুন এই বড়ি তৈরি করেছে তারা বলছে, হয়তো তারা এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে। গবেষকরা বলছেন, তারা ৪০ জনের ওপর প্রথম পর্বের পরীক্ষা চালিয়েছেন, এবং তারা আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন।