সাপ দেখলে ভয় পায় না, এমন মানুষ খুব কম আছে৷ কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার এই ছবিগুলো দেখলে মনে হতে পারে, সাপদের কাছে মানুষও কিছু কম ভয়ের নয়৷ এখানে সাপের চামড়া প্রস্তুত করা হয়৷ (সতর্কতা: কিছু ছবি ভীতিকর মনে হতে পারে)৷
কসাইখানা
পশ্চিম জাভার একটি সাপ মারার কারখানায় কর্মীরা সাপগুলোকে পরিষ্কার করছেন৷ সাপের মাংস শুকিয়ে, পরে চীন আর তাইওয়ানে রপ্তানি করা হয়, যেখানে সাপের মাংস খাবার এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷
গ্ল্যামারের জন্য
পশ্চিমে সাপের চামড়াকে গ্ল্যামারাস মনে করা হয়৷ ছবিতে পূর্ব জাভায় এক কর্মী একটি পাইথনের চামড়া ছাড়ানোর তোড়জোড় করছেন৷
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক
ইন্দোনেশিয়া সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাপের চামড়া রপ্তানি করে থাকে৷ বলা হয়, এসব সাপ ‘মানবিকভাবে’ পোষা হয়ে থাকে, কিন্তু বাস্তব বোধহয় কিছুটা আলাদা৷
চাহিদা
দুনিয়া জুড়ে সাপের চামড়ার চাহিদা দেখে ইন্দোনেশিয়ায় সর্পশিকারীরা স্বভাবতই আরো উৎসাহ পেয়েছে৷
সাপ থেকে চামড়া হওয়ার পথে
খোলা সাপের চামড়াগুলি পরিষ্কার করার পর গোল করে শুকাতে দেওয়া হয়েছে৷
শুকানো
সাপের চামড়া প্রথমে জলে ভিজিয়ে রেখে পরে রোদে শুকানো হয়৷ তবে চুল্লিতেও শুকানো যেতে পারে৷
নকশা
বড় সাপের চামড়া লোহার রড ঢুকিয়ে সিধে, অর্থাৎ সোজা করা হয় যাতে তার নকশাটা ঠিকমতো দেখা যায়৷
মহার্ঘ
রোদে চামড়া শুকানো হচ্ছে৷ পশ্চিমে এর দাম অনেক, কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা তার বিশেষ ভাগ পান না৷
অপর প্রান্তে
পাইথনের চামড়ার এই সাইকেলের স্যাডল কভারটির দাম কত জানেন? ২,০০০ ইউরো৷ প্রদর্শিত হচ্ছে জার্মানির কোলন শহরের একটি শিল্পমেলায়৷ সৌজন্যেঃ ডিডব্লিউ অবলম্বনে