‘ব্রয়লার’ মুরগীর মাংস খেলে হবে ক্যান্সার এতে কোন ভুল নেই এটি আমার কথা নয় বিশেষজ্ঞদের কথা। বিষাক্ত ক্রোমিয়াম- হেক্সাভোলেট ক্রোমিয়াম-৬ যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
‘ইউএস এনভায়রোনমেন্ট প্রোটেকশন এজেন্সি ২৭শে ডিসেম্বর-২০১৪ তারিখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলে- ক্রোমিয়াম-৬ একটি বিষাক্ত যৌগিক পদার্থ। যাকে সনাক্ত করা হয়েছে “হিউম্যান কার্সিলোজেন” হিসেবে অর্থাৎ ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম এই ক্রোমিয়াম-৬।
প্রিয় পাঠক, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন ক্রোমিয়াম-৬ তো আমরা খাচ্ছিনা তা হলে ক্যান্সার হবে কীভাবে? আরো প্রশ্ন করতে পারেন ‘ব্রয়লার মুরগী’র মাংস খেলে কেন ক্যান্সার হবে? সে বিষয় নিয়েই এখন আলোচনা করব আমরা।
চামড়া শিল্পের চামড়া প্রসেসিং করতে প্রায় আড়াইশত কেমিকেল ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে ক্রোমিয়াম-৬ অন্যতম। চামড়ার বর্জ্য সংগ্রহ করে এক শ্রেণীর অসাধু পোল্ট্রী ফিড ব্যবসায়ীরা এই বিষাক্ত চামড়ার বর্জ শুকিয়ে তৈরী করে খাকে পোল্ট্রী ফিড।
এ ব্যাপারে জানার পর র্যাব ধানমন্ডির হাজারীবাগ থেকে আট হাজার কেজি বিষাক্ত মুরগীর খাবার সহ ৬ জনকে আটক করে। এ ছাড়া যে সব মুরগী খাঁচায় রেখে লালন-পালন করা হয় সে সব মুরগীকে এই বিষাক্ত খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। যা কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।
ইউএস এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন এজেন্সি তাদের গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশের ব্রয়লার মুরগী ছাড়াও যে সব পশুপাখিকে চামড়ার বর্জ্য দিয়ে তৈরী খাবার খাওয়াচ্ছে এমন পশু পাখির মাংস খেলে- ১) যৌগ ফুসফুস ক্যান্সার ২) ন্যাসাল ও সাইনাস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
এ ছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, এজমা, কাশি ও হাঁপানি রোগ হতে পারে। এছাড়া কিডনি ফেইলিউর করে শতভাগ। এছাড়াও লিভার, কিডনি, পাকস্থলি ও ত্বকের ক্ষতি সাধন করে। এ ছাড়ায় গবেষণায় দেখা গেছে ডিএনএ ড্যামেজ, জিন মিউটেশন ও এ্যাবরসন এর উপরেও প্রভাব ফেলে মাত্রাতিরিক্ত ক্রোমিয়াম যৌগ-৬।
এই মুহুর্তে প্রয়োজন বিষাক্ত পোল্ট্রি ফিড বন্ধ করে দেওয়া এবং এ ব্যাপরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া। তা না হলে এ জাতি বিলীন হয়ে যাবে। মেধাহীন হয়ে পড়বে। জ্ঞানী মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। হাসপাতালে সংকুলান হবে না ক্যান্সার রোগীর।