মেয়ে মাত্রই নির্দিষ্ট বয়স পার হওয়ার পর ঋতুস্রাবের মুখোমুখি হতে হয়। মহিলাদের এই ঋতুচক্রের উপরই নির্ভর করে অনেক কিছু। অথচ, এই বিষয়টিতে আমরা মহিলারা অনেক ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দিয়ে থাকি। অনেকেরই হয়ত জানা নেই ‘পিরিয়ডস’ অর্থাৎ ঋতুস্রাব-ই মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দিতে পারে।
ঋতুস্রাবের রক্তের রংঃ সাধারণত, ঋতুস্রাবের রক্তের রং হয় উজ্জ্বল লাল। তবে যদি রক্তের রং কালচে হয় তবে ধরে নিতে হরমোনের সমস্যা রয়েছে। কিংবা যদি রক্তের রং হালকা গোলাপী বর্ণের হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কম ক্ষরণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার ‘অস্টিওপরোসিস’ এর সমস্যা হতে পারে। তবে অনেক সময় সঠিক পুষ্টির অভাবেও এমনটা হয়।
ঋতুস্রাবের রক্তপাতের গতিঃ অনেকসময় আপনি হয়ত ঋতু্স্রাবের অতিরিক্ত রক্তপাত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যদি একদিনে দুই থেকে তিনটি স্যানিটারি প্যাড লাগে এটি স্বাভাবিক। তবে যদি ছয় থেকে আটটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন এটি স্বাভাবিক নয় এবং এটি রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া হওয়ার চিহ্ন।
তবে আবার যদি কেবল একটি প্যাড ব্যবহার করেন এটিও তেমন স্বাভাবিক নয়। যেকোনো ধরনের সংক্রমণ এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা ইউটেরাসে টিউমারের লক্ষণ এটি। তাই রক্তপাতের গতিতে যেকোনো পরিবর্তন এলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবঃ সাধারণত ২৮ থেকে ৩৫ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়। এই সময়টির গণনা শুরু হয় ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকেই। তবে এক্ষেত্রে যদি কোনও হেরফের হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঋতুস্রাবে ব্যথাঃ যদি ঋতুস্রাবের সময় অল্প স্বল্প ব্যাথা খুবই স্বাভাবিক। তবে হঠাৎ যদি অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করেন যেটা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় তাহলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।