সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে গলায় ব্যথা অনুভব করছেন। এই ব্যথা সাধারণত টনসিল ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে টনসিল ইনফেকশন হতে পারে। টনসিল হল জিভের পিছনে গলার দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে জিনিসটি দেখা যায় সেটাই টনসিল।
এটি দেখতে মাংসপিণ্ডের মত মনে হলেও এটি মূলত এক ধরণের টিস্যু। এই টনসিল মুখ,গলা, নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টনসিলের প্রদাহ হয়ে থাকে।
সর্দি-কাশির ভাইরাসগুলো এই সংক্রামণের জন্য দায়ী। ইনফেকশন বেড়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
তবে ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা টনসিলের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
১। লবণ পানি
গলা ব্যথা বা টনসিল ইনফেকশন দূর করার সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হলো লবণ পানি।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া ধবংশ করার সাথে সাথে গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
এটি তিন ঘন্টা পর পর করুন।
২। আদা চা
এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এটি পান করুন।
আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান ইনফেকশন ছড়াতে বাধা প্রদান করে। এর সাথে সাথে ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে।
৩। লেবুর রস এবং মধু
২০০ মিলিগ্রাম গরম পানিতে লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, আধা চা চামচ লবণ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
যতদিন গলা ব্যথা ভাল না হয় তত দিন পর্যন্ত এটি ব্যবহার করুন।
টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি বেশ কার্যকরী।
৪।মেথি
মেথি টনসিলের ব্যথা রোধ বেশ উপকারী।
এক লিটার পানিতে তিন চা চামচ মেথি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট জ্বাল দিতে থাকুন।
কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। মেথি গলা ফুলা এবং ব্যথা কমিয়ে দেবে।
৫। গ্রিন টি
এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ গ্রিন টি পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
এবার এটি আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে চা পান করুন। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই চা পান করুন।
সবুজ চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে দেয় এবং টনসিলের ব্যথা ধীরে ধীরে কমিয়ে থাকে।