বাবা-মা নিঃসন্দেহে সন্তানের ভালো চান। তারপরেও অনেক সময় বাবা-মাও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ফলে বাবা-মা কোনো সিদ্ধান্তে যদি ভুল করেন, তার খেসারাত সন্তানকেই দিতে হয়। ‘টিন ডক্টর’ খ্যাত ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট বারবারা গ্রিনবার্গ অভিভাবকদের কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা করেছেন—
শাসন-সোহাগ: বেশিরভাগ বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা হয় সন্তানকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত, নাহলে উদাসীন। এগুলোর কোনটাই ভালো নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়া শাসন প্রয়োজন যেমন, আবার কখনও কখনও সোহাগও দরকার।
বুদ্ধিবৃত্তি: বেশিরভাগ অভিভাবক সন্তানকে ভালোভাবে গুরুত্ব দেন না। তার সন্তান একজন স্বতন্ত্র মানুষ। সে তার মতো হবে এবং হতে চাইবে। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভালো লাগা এবং বুদ্ধিবৃত্তি কতটুকু সেটা বুঝতে হবে। এমন নয় যে, কেউ জ্ঞানী বলে তার সন্তানকেও জ্ঞানী হতেই হবে।
উদ্বেগ প্রকাশ: সন্তানের প্রতি উদ্বেগ তার সামনে প্রকাশ করলেই সন্তান সঠিক পথে চলে না। বরং উদ্বেগটা মনের মধ্যে রেখে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বাবা-মার উদ্বেগ দেখে হাতেগোনা সন্তান সঠিক পথে চলে। তাকে হাত ধরে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হয়।
উপমা-তুলনা: সন্তানকে কোন উপমা দেয়া সবচেয়ে খারাপ। ‘স্মার্ট’, ‘ক্যাবলা’, ‘ভালো ছেলে’, ‘বাজে মেয়ে’ কথায় কথায় এমন বিচার করলে তার কুপ্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। এর সঙ্গে ‘অমুকের চেয়ে ভালো’ বা ‘তমুকের চেয়ে খারাপ’- প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হবে।
রোল মডেল: অভিভাবককে সবসময় ‘রোল মডেল’ হতে হয় না। যারা এ চেষ্টা করেন, তারা সন্তানের চোখে ছোট হয়ে যান। কারণ তাদের ঘাটতিগুলো সন্তানের চোখে ধরা পড়ে। তখন সন্তান তাদের অভিভাবকত্ব অস্বীকার করতে শুরু করে।
কেঁদো না : শিশু যখন মর্মাহত হয় বা ভয় পায় তখন কাঁদে। তাঁর কান্না থামানোর জন্য বেশির ভাগ বাবা-মাই বলে থাকেন “কেঁদো না” বা “কাঁদার মতো কিছু হয়নি”। এই কথাগুলো বলা ঠিক নয় কারণ শিশু প্রাথমিক ভাবে কান্না বন্ধ করলেও তার মনে এই ধারণা জন্মায় যে, তাঁর অনুভূতির সঠিক মূল্যায়ন আপনি করছেন না। তাই কেন কাঁদছে তার সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করুন এবং বুঝিয়ে বলুন।