গবেষণা দেখায় যে, আমাদের ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাবের অনেক কারণ রয়েছেঃ ঘুমের ঘাটতি, সূর্য রশ্মি, চাপ, ব্যায়ামের অভাব, বায়ু দূষণ এবং অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার এগুলোর মধ্যে অন্যতম। আজকের আয়োজনের অতিপরিচিত এই জিনিসগুলো আপনার ত্বককে করবে আরও উজ্জ্বল ও সুন্দর! চলুন দেখে আসা যাক-
১. কলার খোসাঃ চুল ও ত্বকের যত্নে কলার ব্যবহার এখন আর অজানা নয়| তবে অনেকেরই জানা নেই, রূপচর্চায় কলার খোসাও বেশ কার্যকর। কলার খোসায় রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এরপর থেকে কলা খেয়ে আর খোসা না ফেলে কাজে লাগান ত্বকের যত্নে।
কলার খোসা
২. মধুঃ মধুর গুণের কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি।ত্বক উজ্জ্বল করতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। তবে ত্বকের যত্নে মধুর জুড়ি নেই। মধু ত্বক নরম রাখে, বলিরেখা ও কালচেভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।
মধু
৩. বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা ব্রণ দূর করার পাশাপাশি দূর করে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করতেও জুড়ি নেই বেকিং সোডার।
বেকিং সোডা
৪. শসাঃ শসার প্রায় পুরোটাই পানি। এছাড়া ভিটামিন সি ও নানা ধরনের গুণসমৃদ্ধ শসা ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে। ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য শসা স্লাইস করে চোখের উপর দিয়ে রাখতে পারেন।
শসা
৫. লেবুঃ এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, আপনার ত্বক এক নিমিষেই উজ্জ্বল হয়ে যাবে।
লেবু
৬. অ্যালোভেরাঃ শুধু তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বক নয়, শুষ্ক ত্বকের যত্নেও অ্যালোভেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর, মসৃণ ও মোলায়েম করে তোলে।
অ্যালোভেরা
৭. আলুঃ আলুর রস ও আলুর পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের যত্নে। আলুতে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, আয়রন এবং পটাশিয়াম ত্বকের যত্নে অনন্য।
আলু
৮. অলিভ অয়েলঃ গ্রিক মহাকবি হোমার অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলকে তুলনা করেছেন তরল স্বর্ণের সঙ্গে। এক সময় যুক্তরাজ্যে অলিভ অয়েল তৈরি হলেও এখন সারা বিশ্বেই এই তেল বেশ জনপ্রিয়। এই তেল খুব সহজেই ত্বকের গভীরে পৌঁছে আর্দ্রতা বজায় রাখে।
অলিভ অয়েল
এর ক্লিনজিং ইফেক্ট (পরিষ্কারক প্রভাব)- এর কারণে ত্বকে ময়লা জমতে পারে না। রাতে শোবার আগে অলিভ অয়েল মুখে ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করে একটি টিস্যু পেপার দিয়ে হালকা করে মুছে নিলে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে এবং ভালো নাইটক্রিম হিসেবে কাজ করবে।
৯. কমলার খোসাঃ কমলার খোসা দরকারী ভিটামিন ও পুষ্টি সরবরাহ করে ত্বক ব্রণমুক্ত রাখে। গোলাপজল বা দইয়ের সাথে কমলার খোসা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে সপ্তাহে ২ বার ২০ মিনিট করে মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দেখবেন আপনার ত্বক ফিরে পাবে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা।
কমলার খোসা
১০. গ্রীন টিঃ সবুজ চা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি যদি কিছু সবুজ চা দিয়ে বরফ খন্ড তৈরী করেন, তাহলে আপনি প্রতিদিন আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং রিফ্রেশ করতে তা ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রীন টি
১১. দুধঃ ক্লিওপেট্রা, প্রাচীন সৌন্দর্য কিংবদন্তির রুপের রহস্য ছিল দুধ এবং মধু দিয়ে গোসল। কাঁচা দুধ আপনার ত্বককে সুন্দর করে তুলতে পারে কারণ এতে প্রয়োজনীয় ফ্যাট, ভিটামিন, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকে। দুধ একটি প্রাকৃতিক ক্লিনার এবং ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে।
দুধ
১২. টুথপেস্টঃ ব্রণ ও ব্রণের দাগ উঠাতে টুথপেস্ট বেশ কার্যকরী। আক্রান্ত স্থানে হালকা টুথপেস্ট লাগিয়ে শুকানোর সাথে সাথে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ চলে যাওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টি হবে না কোন দাগও। তবে টুথপেস্ট বেশিক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখা উচিত নয়। কারণ টুথপেস্টে থাকা সোডিয়াম লাউরিল সালফেট, ট্রাইক্লোসন, এবং সোডিয়াম ফ্লোরাইড মুখে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
টুথপেস্ট
সূত্রঃ ব্রাইট সাইড।