অসময়ে আলুর বিকল্প নেই। সকালের নাস্তায় দ্রুত আলু ভাজি, দুপুরে ভাতের সাথে আলু ভর্তা, স্ন্যাক্স হিসেবে আলুর চপ, আর মাছ-মাংস বা ডিম রান্নায় আমিষের পাশাপাশি তো আছেই। কিন্তু শুধু আলু দিয়েই যে রোস্ট তৈরি করে ফেলা যায়, তা কখনও ভেবেছেন ? খাবার টেবিলে আমিষের অনুপস্থিতি একবারেই ভুলিয়ে দেবে ঝটপট এই আলুর মাসালা রোস্ট। দেখে নিন রেসিপিটি।
উপকরণ :
– ৩/৪টি বড় আলু
– দেড় টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো/কর্ন ফ্লাওয়ার
– ১ টেবিল চামচ তেল
– সিকি চা চামচ হিং/কাসুরি মেথি
– ১ চা চামচ জিরা
– সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– আধা চা চামচ ধনে গুঁড়ো
– সিকি চা চামচ জিরা গুঁড়ো
– পৌনে এক চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– লবণ ১ চা চামচ
– ১ টেবিল চামচ টাটকা ধনেপাতা কুচি
প্রণালী :
১) দ্রুত আলু সেদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রেশার কুকার। কুকারে ২ কাপ পানি দিন। আরেকটি পাত্রে ধোয়া আলু নিয়ে এই পানির ওপর রাখুন। আলু পানিতে দেবেন না। ঢাকনা লাগিয়ে দিন। বেশি আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। ২টি হুইসেল আঁচ কমিয়ে রাখুন ৮-১০ মিনিট। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে এলে ঢাকনা খুলে নিন। চামড়া ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন।
২) কিউব করা আলু একটি বড় পাত্রে নিন। এতে চালের গুঁড়ো দিন এবং পাত্রটি সাবধানে টস করুন যাতে আলুর কিউবে সমানভাবে চালের গুঁড়ো মেখে যায়।
৩) একটি ছোট পাত্রে লবণ, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৪) তলাভারি একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিন। জিরা ফুটতে থাকলে আঁচ কমিয়ে ফেলুন। এতে মশলার মিশ্রণ দিয়ে দিন। তেলের সাথে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কিন্তু সাবধান থাকুন যেন মশলা পুড়ে না যায়।
৫) চালের গুঁড়ো মাখানো আলুর কিউবগুলোকে এবার মশলার মাঝে ছেড়ে দিন। কম আঁচে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ওপরটা মুচমুচে লালচে-সোনালি হলে নামিয়ে নিন।
ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাত বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম।
টিপস :
– এক চিমটি গরম মশলা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন
– মশলা দেবার সময়েই লবণ দিয়ে দিন, পরে দেবেন না
– চালের গুঁড়ো না থাকলে কর্ন ফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু চালের গুঁড়ো দিলে ক্রিস্পি ভাবটা ভালো আসবে