ছেলেদের শরীরের লোম নিয়ে মাথা ব্যথা না থাকলেও মেয়েদের খুব ভালো পরিমাণেই থাকে । বিশেষ করে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো লোমমুক্ত রাখার ব্যাপারে মেয়েরা খুবই সচেতন । হাত-পা তো আছেই, এছাড়াও আন্ডারআর্ম, বিকিনি লাইন এবং শরীরের যে কোন স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত লোম হতে পারে । আর সেটা পরিষ্কার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকেই ।
এই কাজে অনেক নারী বেছে নেন শেভিং পদ্ধতি, কেউ কেউ ব্যবহার করেন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশন, অনেকে আবার স্পর্শকাতর অঙ্গেও যন্ত্রণাদায়ক ওয়াক্সিং করিয়ে থাকেন । পদ্ধতি যেটাই হোক না কেন, স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো লোমমুক্ত করার সময়ে এই ৭টি টিপস মনে রাখতে হবে অবশ্যই । তাতে স্পর্শকাতর অঙ্গ লোমমুক্ত রাখা সহজ হবে, লোমমুক্ত করার পর জ্বালা পোড়া বা ব্যথা হবে না ।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক স্পর্শকাতর অঙ্গ কিভাবে লোমমুক্ত করবেন…
১) আপনার পদ্ধতি যদি শেভিং হয়ে থাকে, তাহলে উপযুক্ত রেজর ও ভালো শেভিং ফোম বেছে নেয়াটা খুবই জরুরী । যেন তেন রেজর ব্যবহার করবেন না । অনেকে দেখা যায় স্বামীর পুরনো রেজরটাই ব্যবহার করছেন । সেটাও করবেন না । এসব কাজের জন্য আলাদা রেজর রাখুন । এবং অবশ্যই ভালো রেজর । নাহলে ত্বকে ছিলে যাবে ।
২) এয়ার রিমুভাল ক্রিম বা লোশনের ক্ষেত্রে নিজের ত্বকের সাথে মিলিয়ে উপযুক্ত প্রসাধনীটি বেছে নিন । আজকাল প্রত্যেক স্কিন টাইপের জন্যই ভিন্ন ভিন্ন ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায় । বেশী শুষ্ক ত্বক বা বেশী ব্যথা পাওয়ার প্রবনতা থাকলে বাড়তি ময়েসচারাইজার যুক্ত ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন । এতে ব্যথা কম পাবেন ।
৩) যারা ব্যথা সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের জন্য ওয়াক্সিং না করাই ভালো । কেননা তাতে প্রচণ্ড ব্যথা হয় । বিশেষ করে স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যথা ও ত্বকের জ্বালাপোড়াটা অনেক সময় থাকে । তাছাড়া ঘন ঘন স্পর্শকাতর অঙ্গে ওয়াক্স করলে র্যাশ হবার প্রবনতা অনেক বেড়ে যায় ।
৪) যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন, তার অন্তত ঘণ্টা খানেক আগে কোন কোমল সাবান বা বডি ওয়াশ দিয়ে স্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন । ও তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন । এতে লোম পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে । খুব ভালো হয় ডাভ বা এই ধরণের খুবই কোমল ও ময়েশ্চারাইজার যুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে । যাদের গোপন অঙ্গের লোম বেশী মোটা বা শক্ত, তাঁরা পরিষ্কার করার সময় চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন । এতে সহজে শেভ করতে পারবেন, হেয়ার রিমুভালও সহজে হবে ।
৫) লোম পরিষ্কার শেষ ? এবার শুরু হবে বাড়তি যত্ন । পরিষ্কার করার পর উক্ত স্থানে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন । একু ম্যাসাজ করে করে লাগান । এটা ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করবে এবং ত্বকে যে কোন রকম জ্বালাপোড়া কম করবে । গ্লিসারিনের সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে লাগাতে পারেন ।
৬) লোম পরিষ্কারের পর বেশি জ্বালাপোড়া করলে পাতলা কাপড়ে বরফ বেঁধে উক্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন । এতে আরাম মিলবে আর অনাকাঙ্ক্ষিত র্যাশ হবে না ।
৭) স্পর্শ কাতর অঙ্গের লোম পরিষ্কার করার পর ( বিশেষ করে বিকিনি এরিয়া বা বগল ) বেশ অনেকটা সময় টাইট পোশাক পরবেন না। নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। নাহলে র্যাশ হতে পারে ।