সুখী হতে চান? তাহলে সাবধান। সতর্ক থাকুন আর কিছু ব্যাপার খুব মনোযোগ দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে রাখুন। কথায় আছে, ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’। অর্থাৎ যাই করবেন না কেন খুব ভেবে চিন্তে করুন। যা বলবেন তাও খুব হিসেব করে বলুন। যত্রতত্র বকবক করলে কিন্তু অতি গোপন কিছু ব্যাপারও মুখ ফসবে বের হয়ে যায়, আর তখন আম ছালা দুটোই হারাতে হয়। তাই একটু সতর্ক থাকুন, দেখবেন আপনিও সুখী হচ্ছেন।
সুখী হতে চান? তবে এই ৪টি কথা কাউকে বলবেন না! দেখে নিন, সেই তালিকা।
১। আর্থিক ক্ষতি:
প্রথমেই তিনি বলেছেন, আর্থিক ক্ষতি যদি হয়, তবে তা কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, সকলেই শুনবেন তবে কেউ সাহায্য করবেন না। উল্টে আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু মানুষ জেনে যাবেন। ফল হবে, তারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করবেন। এ সময়ে যদি কেউ সাহায্য করার কথা বলে, জানবেন তিনি মিথ্যে বলছেন। চাণক্য আরও লিখেছেন, এ সমাজে দরিদ্র ব্যক্তিকে কেউ সম্মান করে না। তাই সম্মানহানিরও আশঙ্কা থাকে।
২। ব্যক্তিগত সমস্যা:
আর্থিক ক্ষতির মতো ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়। চাণক্য লিখছেন, যাঁরা নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে বাইরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাদের মাথা নিচু করতেই হয়। কারণ যাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে তারাই একদিন অপমান করবে। শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে রসাল আলোচনা, হাসি-তামাশা করা হবে।
৩। স্ত্রী-র চরিত্র:
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে এই বিষয়টি দেখিয়েছেন চাণক্য। তিনি লিখছেন, স্ত্রীর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন কথা মুখ ফস্কে বেরিয়ে যেতে পারে যা হয়তো বলতে চাওয়া হয়নি। তবে একবার কথা বেরিয়ে গেলে তা নিয়েই গুঞ্জন শুরু হবে। ক্রমে তা বড় আকার নেবে। পরিনামে যা কখনও ভালো হয় না। তাই নিজের স্ত্রী-র চরিত্র সম্পর্কে কখনও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়।
৪। অশিক্ষিত ব্যক্তির অপমান:
যদি কখনও অশিক্ষিত ব্যক্তির কাছে অপমানিত হন তা কখনও কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন না। চাণক্য লিখছেন, যদি এ কথা আলোচনা করেন মানুষ আপনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে ঠাট্টা-তামাশা করবে। যা আপনার আত্মসম্মানের পক্ষে হানিকর হবে। ক্রমে নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে থাকবেন।