সম’বয়সী মেয়েদেরকে বি’য়ে করলে যে সম’স্যা গুলো হতে পারে।

সম’বয়সী মেয়েদেরকে বি’য়ে করলে যে সম’স্যা গুলো হতে পারে।

স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের দ্বিগুণ হওয়াটা বেশ কিছুদিন আগেও ছিল স্বাভাবিক বিষয়। সময়ের পরিবর্তনে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে বয়সের কম ব্যবধানে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

বিয়ে মানে এখন শুধু সন্তানের জন্য নয়।একই বয়সে পুরুষটি তখন টাট্টু ঘোড়া। মধ্য-দুপুরে পুরুষটি তখন নিদারুণ অসহায়। দিশেহারা পুরুষের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব। অশান্তিতে শুরু হয় ডিভোর্সের সম্ভাবনা। সমবয়সে বিয়ে করা মানে অশান্তিকে দাওয়াত দেয়া।

পাত্রীর চেয়ে পাত্রের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর এবং বেশি হলে ১০ বছরের মধ্যে থাকা উচিত। ব্যতিক্রম ঘটনা থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আলোচনার মধ্যে আসতে পারে না। ব্যতিক্রম সবসময়ই ব্যতিক্রম।

তাই কিছু সমবয়সী দম্পতিও হতে পারেন দারুণ সুখীজীবনের সর্বাঙ্গীন সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, সফলতা-বিফলতায় সমান ভাগিদার খোঁজা। তাই সমবয়সীদের মাঝে বিয়ের ব্যাপারটা ইদানীং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।

একইসঙ্গে পড়াশুনা বা চাকরি করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা। সমবয়সী স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর মতো সবকিছু শেয়ার করা যায়।

নিজের ভালোলাগার বিষয়গুলো তার সঙ্গে মিলে যায় সহজেই। বিষয়গুলো আবার সব সময় একই রকম থাকে না।কখনও পড়তে হয় দারুণ বিপাকে। তাইতো অনেক অভিভাবকই মেনে নিতে পারেন না ব্যাপারটা। সমবয়সী বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু কমন সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখতে পায়, যা বিষিয়ে তুলতে পারে দাম্পত্য জীবনে।

অনেক সময় দেখা যায়, সমবয়সী পুরুষ মহিলার কাছে মানসিক দিক থেকে ভ্রাতৃতুল্য হয়। কিন্তু পুরুষটির আচরণে এসে পড়ে কর্তৃত্ব। যেহেতু নারীটি ওই পুরুষ থেকে পরিণতমনস্ক, সেই কারণে তার থাকে দিদিগিরি। অচিরেই শুরু হয়ে যায় ব্যক্তিত্বের সংঘাত।

আবার এমনো হয়, যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ে গড়ে ওঠা মেয়েটির নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান দেখানোর মানসিকতা থাকে না পুরুষটির। মেয়েদের যেহেতু পারিপার্শ্বিকতা বোঝার ক্ষমতা একটু বেশি।

ছেলেটির তুলনায় মেয়েটি যখন বেশি সচেতন তখন তা হয় দাম্পত্য জীবনে মতভেদ, জটিলতা ইত্যাদির কারণ হয়। একে অপরকে যথাযথ সম্মান দিতে নারাজ। আবেগের ভাটা পড়লে সম্পর্কের পরণতি হয় ডিভোর্সে।

তবে এই সংঘাতের মধ্যদিয়ে কেউ টিকে গেলে আসে আরেক ঝামেলা। দুজনেরই বয়স যখন ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। নারীদের জীবনে এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। নানা স্বাভাবিক সঙ্কট তৈরি হয় এ সময়।

সন্তান ধারনের ক্ষমতা হারায়, স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনিচ্ছা, ক্যালসিয়ামের অভাব ঘটে। একইসঙ্গে চলে মানসিক সমস্যা। এসবে তা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তারা ভাবতে শুরু করে, তার দেয়ার আর কিছু নেই। মনে চলে আসে বিষণ্ণতা। প্রাকৃতিক কারণে আগে পরিণত হওয়ায় নারীকে আগেই বার্ধক্য গ্রাস করে ফেলে।

Related Posts

মিষ্টি আলুর গুনাগুন ও চাষাবাদ পদ্ধতি

মিষ্টি আলুর গুনাগুন ও চাষাবাদ পদ্ধতি

মিষ্টি আলু খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার। মিষ্টি আলু শুধু সুলভ ও সহজলভ্য এবং সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। মিষ্টি আলু রান্না করে, সিদ্ধ করে কিংবা পুড়িয়ে খাওয়া…

বারান্দায় বা ছাদে করুন সহজে আলুর চাষ

বারান্দায় বা ছাদে করুন সহজে আলুর চাষ

আলু আমেরিকায় প্রথম পাওয়া যায়। এই উপমহাদেশেও আলু এসেছে উপনিবেশিকদের হাত ধরে। এই বাঙ্গাল মূলকেই প্রথম আলু চাষ শুরু হয়। কোলকাতা থেকে আস্তে আস্তে আলু ছড়িয়ে পরে…

বাড়ীর ছাঁদে টবে ব্রোকলি চাষ করার উপায়

বাড়ীর ছাঁদে টবে ব্রোকলি চাষ করার উপায়

দিন দিন আমাদের দেশে ব্রোকলি বেশ জনপ্রিয় সবজি হয়ে উঠছে। কেউ কেউ এটিকে সবুজ ফুলকপিও বলেন। পুষ্টিবিদদের মতে এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের সবজি। এই সবজিটি বেশ দুর্বল…

ঈগলের মতো দৃষ্টি থাকলেই ‘Curious’ খুঁজে পাবেন ‘Furious’ এর ভিড়ে

ঈগলের মতো দৃষ্টি থাকলেই ‘Curious’ খুঁজে পাবেন ‘Furious’ এর ভিড়ে

অতিরিক্ত কাজের চাপে আর হারাবেন না ধৈর্য্য। মনোনিবেশ করতে পারবেন সহজেই। আর এইভাবে আপনার সমস্ত বেসিক সমস্যা দূর করতে ফের নিয়ে আসা হয়েছে নতুন Optical Illusion। যেখানে…

চোখের ধাঁধা: এক পলকেই খুঁজে বার করতে হবে এখানে লুকিয়ে থাকা ‘Form’ শব্দটি

চোখের ধাঁধা: এক পলকেই খুঁজে বার করতে হবে এখানে লুকিয়ে থাকা ‘Form’ শব্দটি

আজকের এই ধাঁধার খেলায় ঝালিয়ে নিন আপনার মগজাস্ত্র। নিজের ব্রেনকে নিজেই করুন চ্যালেঞ্জ। আর এই সবটা করুন একটি মাত্র Optical Illusion-এর মাধ্যমে। একটু ধৈর্য্য সহকারে এই ধাঁধা…

চোখের ধাঁধা: ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ‘ICE’, রইল মাত্র ১০ সেকেন্ডে খুঁজে বার করার চ্যালেঞ্জ

চোখের ধাঁধা: ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ‘ICE’, রইল মাত্র ১০ সেকেন্ডে খুঁজে বার করার চ্যালেঞ্জ

একটুতেই অনেক বেশি রেগে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য দারুণ সুখবর। আপনাদের ব্রেন ও মন বরফের মতো ঠাণ্ডা রাখায় উপায় নিয়ে আজ হাজির হয়েছে । এই উপায়টি হল দারুণ…