সংসার টিকে থাকে বিশ্বাস আর ভালোবাসার ওপর। সংসারে দু’জন দু’জনের প্রতি থাকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল। সুখ আর সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে জীবনের বাকিটা সময় একসঙ্গে কাটাতে চান সবাই। আর্থিক উন্নতি, সন্তান জন্মদান, লালন পালনসহ জীবনের সব কিছুই থাকে সে পরিকল্পনায়।
এই পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে দাম্পত্য সুখ অনিবার্য একটি সত্যের নাম। এই সত্যকে টিকিয়ে রাখতে কৌশলী হতে হয় দুজনকেই। আর তাই একে অপরের কাছে কিছু অতীতের বিষয় গোপন রাখতেই হয়।
পুরোনো প্রেম:
বিয়ের আগে বুঝে হোক আর না বুঝে হোক দুয়েকটি প্রেমে অধিকাংশ ছেলেমেয়ে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। কিছু প্রেমের ক্ষেত্রে আবার গভীরতাও থাকে অনেক। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ভাগ্যের লেখনি নিয়ে যায় অন্য কোনো ঠিকানায়।
বিয়ের পর এসব ঘটনা কোনো ক্রমেই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা ঠিক নয়। বরং পুরোনো প্রেমকে ভুলে যেতে হবে সুখে থাকার জন্য। কারণ সুখের দাম্পত্য জীবনে আপনার পুরোনো ঘটনা হতে পারে সঙ্গীর জন্য জলন্ত চিতার মতো অসহনীয়।
পরিবারের দুর্নাম:
নিজের পরিবারের দুর্নাম কখনোয় সঙ্গীর সঙ্গে আগ বাড়িয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়। দাম্পত্য জীবনে সামান্য কলহে সেটিই হতে পারে ইস্যু। আপনিই ঘায়েল হতে পারেন আপনার বলা কথাতে। তাই ভবিষ্যতে অশান্তি বাড়াতে না চাইলে নিজের পরিবার সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে এসব আলোচনা না করাই মঙ্গল।
বন্ধুদের সম্মান:
নিজের বন্ধুদের সম্পর্কে কোন গোপন কথা বা তাদের কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে আপনি ছিলেন এমন কথা ভুলেও সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। বিয়ের পরেও যারা বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, তাদের উচিৎ সঙ্গীর চোখে বন্ধুদের সম্মান রক্ষা করা।
ভালো কাউকে খুঁজছিলেন:
আপনি হয়তো সঙ্গী হিসাবে আরও অন্যরকম কাউকে খুঁজছিলেন। হয়তো মনে মনে অন্য কাউকে ভেবেছিলেন। এসব কথা নিজের সঙ্গীকে একদমই বলার দরকার নেই। এমনকি বলার চিন্তাও করবেন না।
কারণ আপনার কথাতেই সঙ্গীর মনে অনেক কষ্ট জমে যেতে পারে। নিজেকে ছোট ভাবতে পারে এমন কথা শুনে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকেও সে যথার্থ মূল্য দিতে চাইবে না।
অপক্ক দুষ্টুমি: কম বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে নানা ধরণের দুষ্টুমি করতে পারেন। কিন্ত বর্তমানে তার ছিটেফোটাও আপনার মধ্যে নেই। যেমন অ্যালকোহল খাওয়া, পর্ণ আসক্ত হওয়া ইত্যাদি।
যদি বয়সের সঙ্গে এসব বাজে অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে থাকেন, তাহলে আর অতীতের কথা সঙ্গীকে জানানোর প্রয়োজন নেই। এসব কথা জানলে হয়তো অকারণেই আপনার প্রতি তার খারাপ ধারণা জন্মাতে পারে।