শিশুর ওজন, খাওয়া-দাওয়া এসব নিয়ে চিন্তিত নন এমন বাবা-মা খুঁজে পাওয়া রীতিমত দুষ্কর। শিশুর ওজন কম হলে তো কথাই নেই। নিমিষেই দুশ্চিন্তা বেড়ে হয়ে যায় বহুগুণ। চলুন, দেখে নেয়া যাক এই অবস্থায় কী করতে পারেন?
১. খুব সাধারণ কথায় আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করুন। শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যসম্মত সব খাবার। শিশুর খাবারের ক্যালরির মাত্রা নিয়ে নিশ্চিত হোন যে, তা আপনার সন্তানের চাহিদা পূরণ করছে কিনা।
২. শিশুকে যাই খাওয়ান না কেন, কখনো জাঙ্কফুড বা ফাস্টফুডের প্রতি আসক্ত যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। তা না হলে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে আগ্রহী করতে কষ্ট হবে।
৩.খাবারের সময়কে আনন্দময় করে তুলুন। শিশুকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে কোনো রকমের তাড়াহুড়া করবেন না। পরিবারের সবাই একসঙ্গে শিশুকে নিয়ে খাবার খেতে বসুন।
৪. খাবার রান্না ও বিভিন্ন রকমের রেসিপির ব্যাপারে, খাবার পরিবেশনের সময় শিশুর সাহায্য নিন। এতে সে খাবারে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর শিশুকে বারবার খাবার খেতে উৎসাহিত করুন, যা ওজন বাড়াবার মূল চাবিকাঠি।
৫. শিশুর ওজন বাড়াতে যেসব খাবারগুলো খুব দরকার তার একটি তালিকা জেনে নেয়া যাক-
– দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার যেমন ঘি, পনির, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি।
– প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, বাদাম, শিমের বিচি।
– শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন আলু, ভাত, রুটি ইত্যাদি।
৬. আপনার শিশু যদি খুব বেশি বেঁছে খায় আর ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেতে না চায়, তাকে ক্যালরি সমৃদ্ধ যেসব ড্রিংক পাওয়া যায় তা খেতে দিন। তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
৭. নিশ্চিত হোন যে আপনার সন্তান শুধু সাধারণ পানি বা পানীয় খেয়েই দিন পার করছে না। এতে শিশুর খিদে কমে যায়। শিশুর খাবার গ্রহণেও অনিয়ম দেখা যায়।
৮. শিশুর বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হতে নিয়মিত শিশুর ওজন মাপুন।