আপনি কি মা হতে চান? তবে, রাত জেগে সিনেমা দেখা বা বই পড়ার অভ্যাস আজই ত্যাগ করুন। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রাতে বারবার আলো জ্বালানো হলে মেয়েদের ফার্টিলিটি হরমোন বা সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায়।
স্যান অ্যান্টোনিওর স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কেন্দ্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের সেলুলার বায়োলজির অধ্যাপক রাসেল জে রেইটার জানিয়েছেন, ‘মেয়েদের শরীরের প্রজনন ক্ষমতার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে, বিশেষ করে ভ্রুণের বৃদ্ধির জন্য অন্ধকার খুবই জরুরি।’ মস্কিষ্কের পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটনিন নামের এক ধরণের হরমোন নিঃসরণ করে৷ আর অন্ধকারেই এই গ্রন্থিটি বেশি কার্যকরী থাকে।
রেইটার জানান, ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মেলাটনিন অনেক শক্তিশালী একটি হরমোন। যখন মহিলাদের ডিম্বানু উৎপাদনের সময় হয় তখন এই হরমোন ডিম্বানু নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, যারা সন্তান ধারণে ইচ্ছুক তাদের কমপক্ষে আটঘণ্টা অন্ধকারে কাটানো প্রয়োজন। গবেষকেরা জানিয়েছেন, হরমোন নিঃসরণের জন্য অন্ধকারে থাকা জরুরি। তবে এক সঙ্গে ঘুমের কোন সম্পর্ক নেই। রেইটার জানিয়েছেন মেলাটানিন তৈরিতে অন্ধকার সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
এক এক জন মানুষের রাতের অভ্যাস এক এক রকম হয়ে থাকে, খাওয়ার পর কেও গান শুন্তে ভালবাসেন আবার কেও বই নিয়ে শুয়ে পড়েন, কেও বা খাওয়া শেষ করেই ঘুমাতে চলে যান।
এই গুলোর মধ্যে কোন গুলি শরীরের পক্ষে ভালো আর কোন গুলি ভালো না, সে গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা থাকতে পারে, কিন্তু একটি কাজ খাওয়া পর না শুতে গেলে হতে পারে গুরুতর শারীরক সমস্যা।
রাতে খেয়ে ওঠার পরে আর যা কিছু করুন বা না করুন ২ বা তার বেশি ঘন্টা জেগে থাকবেন না। যদি খাবারের পরে চার বা পাঁচ ঘন্টা পরে ঘুমাতে যান তাহলে শরীরে মেটাবলিজম রেটে গুরুতর পরিবর্তন আসে। এর ফলে রক্ত চাপের ইতর বিশেষ ঘটে এবং হাটের রোগ দেখা দিতে পারে, যদি রাতে খাবার খাওইয়া পরে অনেক ক্ষন জেগে থাকতে হয় তাহলে ফল বা অন্য কিছু খেয়ে নিন।
কিন্তু তার মানে এই না যে খাবারের সাথে সাথে ঘুমানোর কথা বলছি, তবে খাবারের পরে এক বা দুই ঘন্টা জেগে থাকলে কোন সমস্যা নেই।