মেয়েলী যে কোনো সমস্যা হলেই গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। আর গাইনি ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে অনেক নারীই কিছুটা দ্বিধাবোধ করেন। বিশেষ করে ডাক্তার যদি পুরুষ হয়ে থাকেন তাহলে অধিকাংশ সমস্যার কথাই জানাতে পারেন না নারীরা। গাইনি ডাক্তারের কাছে কিছু বিষয় লজ্জায় এড়িয়ে যান বেশিরভাগ রোগী। কিন্তু অত্যন্ত জরুরি এই তথ্যগুলো গাইনি ডাক্তারকে না জানালে অধিকাংশ সময়েই সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যায়না রোগ। জেনে নিন তেমনই কিছু বিষয় সম্পর্কে যেগুলো কখনই লুকানো উচিত না গাইনি ডাক্তারের কাছে।
পিরিয়ডের অনিয়ম
অনেকেই ডাক্তারের কাছে লজ্জায় পিরিয়ডের অনিয়ম সম্পর্কে জানাতে চান না। অনিয়মিত পিরিয়ড, দীর্ঘ সময় ধরে পিরিয়ড ইত্যাদি বিষয় গুলো ডাক্তারের কাছে বলতে লজ্জা পান বেশিরভাগ নারী। কিন্তু গাইনি ডাক্তারের কাছে অনিয়মিত পিরিয়ডের কথা এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই উচিত না। কারণ অধিকাংশ গাইনি সমস্যাই মাসিকের উপর প্রভাব ফেলে। তাই পিরিয়ড সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যাই ডাক্তারের সাথে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করা উচিত।
গর্ভপাত
অনাকাঙ্খিত সন্তান নিতে না চাইলে অনেকেই গর্ভপাত করিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরবর্তী জীবনে কোনো গাইনি সমস্যা হলে ডাক্তারকে গর্ভপাতের কথা না জানান না অনেকেই। গর্ভপাতের কারণে নানান রকমের গাইনি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন গাইনি সমস্যার সাথে গর্ভপাতের বিষয়টি সম্পর্কযূক্ত থাকতে পারে। তাই গাইনি ডাক্তারের কাছে গর্ভপাতের বিষয়টি লুকানো উচিত না একদমই।
যৌন আকাঙ্ক্ষার ঘাটতি
আপনার যদি স্বাভাবিক যৌন আকাঙ্ক্ষা না থাকে এবং এই ঘাটতি আপনি ও আপনার সঙ্গী অনুভব করতে পারেন তাহলে সেটা গাইনি ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। বিষয়টি কখনই গাইনি ডাক্তারের কাছে লুকানো উচিত না। কারণ নানান গাইনি সমস্যার কারণে যৌন আকাঙ্ক্ষার ঘাটতি হতে পারে যা অবহেলা করা একদমই উচিত না।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি
আপনি কোন পদ্ধতিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করেন, ঘন ঘন আই-পিল খেয়েছেন কিনা এইসব তথ্য অবশ্যই আপনার গাইনি ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে আপনার সঠিক শারীরিক সমস্যাটি নির্ণয় করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
একাধিক শারীরিক সম্পর্ক
আপনি যদি একাধিক সঙ্গীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন তাহলে সেই বিষয়টি আপনার গাইনি ডাক্তারকে বলুন। বিষয়টি লুকিয়ে গেলে আপনার গাইনি সমস্যা নির্ণয় করা সম্ভব নাও হতে পারে।
ধূমপান/নেশাদ্রব্য/মদ্যপান
আপনার যদি অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান কিংবা নেশা করার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে জানিয়ে দিন। কারণ এগুলোর প্রভাব আপনার গাইনি স্বাস্থ্যে পড়ে এবং বিষয়টি আপনার গাইনি ডাক্তারকে জানিয়ে দেয়া উচিত। এতে আপনার চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করতে ডাক্তারের সুবিধা হবে।