প্রতিটা মানুষই চায় অনেকদিন ধরে একদম সুস্থ সুন্দরভাবে বাঁচতে। সঠিকভাবে বলতে গেলে কমবেশী সকল মানুষের মনের ইচ্ছাটা এমনই হয়ে থাকে। স্বাভাবিকের চাইতে বেশিদিন ধরে বাঁচার ইচ্ছাটা যে কারোরই হতে পারে, তবে প্রশ্ন আসে সুস্থতা নিয়ে!
শারীরিক সুস্থতার ব্যাপারটা কারোই হাতে নেই এবং নিশ্চিত করে এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে, এটা মানতেই হবে, সঠিক খাদ্যাভাস একজনের জীবন, এবং শারীরিক সুস্থতার উপরে অনেকখানি প্রভাব ফেলে থাকে।
আজকের এই ফিচার থেকে জেনে নিন এমন পাঁচটি খাদ্য উপাদানের কথা, সেগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ প্রদানের পাশাপাশি নিশ্চিত করবে শারীরিক সুস্থতার ব্যাপারটিও।
১। ডিম
ডিম হলো প্রোটিনের সবচেয়ে দারুণ প্রাকৃতিক উৎস যা প্রত্যেকের শরীরের জন্য দরকারি। প্রোটিন শরীরের মাংশপেশী এবং তন্তু তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া হয়। কারণ শরীরের শক্তির জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি খাদ্য উপাদান। মাংসতেও প্রোটিন আছে। তবে মাংসের মতো ডিমে কোন চর্বি নেই। সে কারণে প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংসের পরিবর্তে ডিম খাওয়া অনেক বেশী উপকারী।
২। দুধ এবং দই
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এবং উপকারী সকল ধরণের মিনারেল এবং পুষ্টির অন্যতম দারুণ উৎস হলো দুধ। তবে নিয়মিতভাবে দুধ পান করার জন্য লো-ফ্যাট দুধ শরীরের জন্য ভালো। দুধ এবং দই উভয় খাবারেই প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এরই সাথে ভিটামিন-ডি এর অন্যতম দারুণ উৎস হলো দুধ। শরীরে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ভিটামিন-ডি খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। যা সাধারণত হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে।
৩। আঙ্গুর
পলিফেনল এর অন্যতম চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস হলো আঙ্গুর। আঙ্গুরে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ায় করে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য, ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদযন্ত্রের রোগ কমাতে আঙ্গুর সাহায্য করে থাকে।
৪। অলিভ অয়েল
মেডিটেরিয়ান অঞ্চলের খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল সবসময় রাখা হয়। দেখা গেছে যে, যাদের অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস নেই তাদের থেকে মেডিটেরিয়ান অঞ্চলের মানুষদের আয়ু তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী। অলিভ অয়েলে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা হৃদযন্ত্রের রোগ, স্ট্রোক, এবং উচ্চ রক্তচাপ এর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
৫। টমেটো
টমেটোর এমন কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যার কারণে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকা একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল, টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, যা অন্যান্য অনেক খাবারেই নেই। শরীরে রক্ত চলাচলে এবং ইলেক্ট্রিক চার্জ হৃদযন্ত্র ও অন্যান্য পেশীতে পৌঁছাতে টমেটোর পুষ্টি সাহায্য করে থাকে।